রিশাব পান্টকে দেখলে বাঁহাতি শেবাগ মনে হয়: ইনজামাম
রিশাব পান্টকে দেখলে বাঁহাতি শেবাগ মনে হয়: ইনজামাম
পান্টকে দেখলে শেবাগের কথা মনে পড়ে ইনজামাম উল হকের। |
অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভারতের সিরিজ জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান রাখেন রিশাব পান্ট। দুই সিরিজে আহামরি রান না করলেও ম্যাড়ম্যাড়ে উইকেটে বাউন্ডারির ফুলঝুড়ি ছুটিয়ে প্রতিপক্ষের মনোবলই ভেঙে দেন এই উইকেটরক্ষক। তাই পান্টের ব্যাটিং দেখলে শেবাগ বাঁহাতে ব্যাট করছেন বলে মনে হয় পাকিস্তানি কিংবদন্তী ইনজামাম উল হকের কাছে।
রিশাব পান্ট প্রসঙ্গে হার্শা ভোগলে একবার বলেছিলেন “রিশাব কোন ভুল শট খেলে আউট হচ্ছে সেটা না দেখে মাঠে তার দাপুটে ব্যাটিং দেখুন।” এই ক্রিকেট বিশ্লেষকের সাথে এখন একমত হবেন অনেকেই।
পান্টের ব্যাটিংয়ে নেই দ্রাবিড়ের মতো ব্যাকরণ অনুসরণ কিংবা বিরাট কোহলির ফুটওয়ার্ক। কিন্তু পাগলাটে ব্যাটিংয়ে তাদের চেয়েও মাঝে মাঝে বেশি কার্যকর এই তরুণ। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে শেষ টেস্টে টিম পেইনদের সত্যিকার ব্যাথা দিয়ে ছেড়েছেন রিশাব পান্ট। এই উইকেটরক্ষকের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে সেদিন রেকর্ড সংখ্যক রান তাড়া করে সিরিজ নিশ্চিত করে ভারত।
এদিকে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ টেস্টে তার কীর্তি ছিল আরও বড়। আহমেদাবাদের যে উইকেট নিয়ে জো রুটদের অভিযোগের শেষ নেই সেখানেই বুক চিতিয়ে লড়াই করে গেলেন স্পার্টানদের মতো। ব্যাটকে তরবারি বানিয়ে বিঁধে গেলেন জেক লিচ, বেন স্টোকসদের বুকে। আন্ডারসনের বলে যে শটে সেকেন্ড স্লিপ দিয়ে বল পাঠালেন মাঠের বাইরে তার ক্রিকেটীয় নাম এখনও দিতে পারেনি কেউ। ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাটিং করে ১১৮ বলেই হাঁকিয়েছেন ঘরের মাঠে নিজের প্রথম শতক।
তারপর থেকেই পান্ট বন্দনায় মেতে উঠেছে ক্রিকেট বিশ্ব। তাকে নিয়ে সর্বশেষ মুখ খুললেন চিরশত্রু পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ইনজামাম উল হক। জানালেন, পান্টের ব্যাটিং দেখলে তার শেবাগের কথা মনে পড়ে।
ইনজামাম আরও বলেন, “দীর্ঘদিন পর আমি এমন একজন ক্রিকেটার দেখলাম যার উপর চাপের কোন প্রভাব পড়ে না। ১৪৬ রানে ছয় উইকেট পড়লেও পান্ট তার নিজের খেলা খেলে গেছে। পিচ কেমন সেটা মাথায়ও আনেনি। স্পিন ও পেসার উভয়ের বিপক্ষে সে সমান কার্যকর। পুরো সময় তার ব্যাটিং উপভোগ করেছি আমি। ”
শেবাগের সাথে পান্টের তুলনা করে ইনজামাম বলেন, “শেবাগও কোন কিছুকে পাত্তা দিতনা। পিচ কেমন বা কে বোলিং করছে সেটা না দিয়ে শেবাগ নিজের ব্যাটিং করে যেতো। বাউন্ডারিতে ফিল্ডার থাকলেও সে ব্যাট চালাতে দ্বিধা করতোনা। শেবাগের পর প্রথম এমন ক্রিকেটার দেখলাম যে অন্য কিছুকে পরোয়া করেনা।”
ইনজামাম পাকিস্তানের অধিনয়াক থাকাকালীন নিজের ক্যারিয়ারের সেরা ফর্মে ছিলেন শেবাগ। ২০৪ সালে মুলতানে ৩০৯ রান করে পাকিস্তানকে অসহায় বানিয়েছিলেন এই ডানহাত ব্যাটসম্যান।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশি বোলারদের আধিপত্য
- ফুটবল দিয়ে মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই বড় অর্জন: শেষ সাক্ষাৎকারে ম্যারাডোনা
- পৃথিবীর দিকে হাত বাড়াও ঈশ্বর, ফুটবল ঈশ্বর তোমার দিকে হাত বাড়িয়েছে
- এভারিস্তো: যে ব্রাজিলিয়ানকে সমান ভালোবাসে রিয়াল-বার্সা
- ফিরে যাচ্ছেন সাকিব
- দেশের ফুটবল আবারও সালাউদ্দিনের হাতে
- ফিরলেন মুমিনুল-মুশফিকও, উইকেটে শেষ দুই স্বীকৃত ব্যাটসম্যান
- আইপিএল ২০২০
সূর্য কিরণে পুড়লো রাজস্থান - ঠিক হলো এল ক্লাসিকোর দিনক্ষণ
- কাল শুরু হচ্ছে ৫ দলের লড়াই
বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে কোন দল কেমন, সম্ভাব্য একাদশ