বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে শ্রীলংকাকে ২৪৭ রানের টার্গেট দিল টাইগাররা
বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে শ্রীলংকাকে ২৪৭ রানের টার্গেট দিল টাইগাররা
দেশের প্রচন্ড দাবদাহে প্রশান্তি এনেছে দ্বিতীয় দিনের মতো বৃষ্টি। তবে মুশফিক নিশ্চয়ই খুশি হতে পারেননি এতে। কারণ তার অষ্টম ওয়ানডে সেঞ্চুরি যে আটকে ছিল ঘূর্ণিঝড় ইয়াস সৃষ্ট বৃষ্টি বাধায়৷
আধা ঘন্টা বন্ধ থাকার পর খেলা শুরু হতেই চামিরাকে চার মেরে শতক আদায় করেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল। আর শেষমেষ দলও পায় লড়াই করার মতো ২৪৬ রানের স্কোর।
মুশফিক শেষ পর্যন্ত থামেন ১২৫ রানে। তার ১২৭ বলের ইনিংসে ছিল ১০ বাউন্ডারি। দলের রান আরও বাড়াতে পারতেন মুশফিক যদি অন্য প্রান্ত থেকে সঙ্গ পেতেন। সাউফুদ্দিন-শরিফুলদের আসা যাওয়ায় তা আর হয়ে ওঠেনি।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ পায় উড়ন্ত সূচনা। ইসুরু উদানার করা প্রথম বলেই আসে বাউন্ডারি। থার্ড আম্পায়ার চেক করে দেখেন এটা ছিল নো বল। ফ্রি হিটে আসে আরেক বাউন্ডারি। পরে একটি ওয়াইডের পর আবারও চার। ফলে ম্যাচের প্রথম দুই বলে ১৪ রানের বিরল দৃশ্য দেখা যায়।
কিন্তু পরের ওভারেই টাইগারদের দুশমন হয়ে আসেন পেসার দুস্মান্ত চামিরা। তার প্রথম বলেই এলবিডব্লিইউ হয়ে সাজঘরে ফেরেন তামিম ইকবাল। চামিরার দ্রুত গতির নিচু হয়ে আসা বলটি গিলে লাগে তামিমের প্যাডে। আম্পাায়ার আউট না দিলে রিভিউ নেয় শ্রীলংকা। দেখা যায় বল গিয়ে লাগছে লেগ স্ট্যাম্পে।
তার তিন বল পরই একই পরিণতি হয় সাকিব আল হাসানের। বল তার প্যাড ছুঁলে লিটন দাসের পরামর্শে রিভিউ না নিয়ে মাঠ ছাড়েন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
পাওয়ার প্লে শেষে স্কোর ছিল ৪৪-২। তারপরের ওভারে আসে ৫ রান। তবে দ্বাদশ ওভারের প্রথম বলেই আউট হন লিটন। সান্দাকেন করা প্রথম বলটি ছিল অনেকটা শর্ট ও বাইরে। কিন্তু ব্যাট চালিয়ে পিছনে পয়েন্টে থাকা হাসারাঙ্গার মুঠোবন্দি হন লিটন।
৭৪ রানে মোসাদ্দেকও সাজঘরে ফেরার পর হাল ধরেন মুশফিক-মাহমুদুল্লাহ। প্রথমে দেখেশুনে খেললেও ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে রানের গতি। প্রথম ১০০ রান যেখানে আসে ২৫ ওভারে পরের ৮ ওভারেই আসে ৫০ রান।
ধনাঞ্জায় ডি সিলভাকে দুই ওভারে দুই ছক্কা হাঁকিয়ে বড় কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। কিন্তু বড়ই দুর্ভাগ্য তার, লাকসান সান্দাকানের বলে স্কুপ করতে গিয়েছিলেন, বুঝতে পেরে নিজের বাঁহাত বাড়িয়ে দেন লঙ্কান কিপর কুশাল পেরেরা। বল গিয়ে তার মুঠোবন্দি হয়। সাজঘরে ফেরার আগে ৫৮ বলে ৪১ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে নেমে বাউন্ডারি দিয়ে রানের খাতা খোলেন আফিফ হোসেন। পরে চামিরার ওভারে আসে আরও এক চার। একই কাজ ইসুরু উদানার ওভারে করতে গিয়ে ধরা পড়েন নাথুম নিশাঙ্কার হাতে। আটে নেমে ভালো করতে পারেননি মেহে,দি হাসান মিরাজও। ওয়াহিন্দু হাসারাঙ্কার লেগ স্পিনে বোল্ড হন।
স্কোরকার্ড:
বাংলাদেশ ২৪৬। মুশফিক ১২৫, মাহমুদউল্লা'হ ৪১, লিটন ২৫। চামিরা ৪৪-৩, সান্দাকান ৫৪-৩, উদানা ৪৯-২।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশি বোলারদের আধিপত্য
- ফুটবল দিয়ে মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই বড় অর্জন: শেষ সাক্ষাৎকারে ম্যারাডোনা
- পৃথিবীর দিকে হাত বাড়াও ঈশ্বর, ফুটবল ঈশ্বর তোমার দিকে হাত বাড়িয়েছে
- ফিরে যাচ্ছেন সাকিব
- এভারিস্তো: যে ব্রাজিলিয়ানকে সমান ভালোবাসে রিয়াল-বার্সা
- ফিরলেন মুমিনুল-মুশফিকও, উইকেটে শেষ দুই স্বীকৃত ব্যাটসম্যান
- দেশের ফুটবল আবারও সালাউদ্দিনের হাতে
- আইপিএল ২০২০
সূর্য কিরণে পুড়লো রাজস্থান - ঠিক হলো এল ক্লাসিকোর দিনক্ষণ
- কাল শুরু হচ্ছে ৫ দলের লড়াই
বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে কোন দল কেমন, সম্ভাব্য একাদশ