মুশফিকের সেঞ্চুরিতে বৃষ্টি বাধা
মুশফিকের সেঞ্চুরিতে বৃষ্টি বাধা
প্রথম ম্যাচে ৮৪ রানে আউট হয়ে ছিলেন হতাশ। ম্যাচ সেরা হলেও মাইলফলক ছোঁয়ার আক্ষেপ তো থেকেই যায়। সে আক্ষেপ আজ পুষিয়ে নেয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। সেখানে এখন বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বৃষ্টি।
বাংলাদেশ-শ্রীলংকা সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটি হওয়ার কথা ছিল ২৬ মে। কিন্তু বঙ্গোপসাগর ও আন্দামান সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ একই দিনে আঘাত হানার সম্ভাবনা থাকায় খেলা একদিন এগিয়ে আনা হয়। কিন্তু লাভ হয়নি। বৃষ্টি বাধায় একবার বন্ধ হয়ে শুরু হওয়ার পর আবারও থেকেছে। এবার এত জোরে বৃষ্টি হচ্ছে যে সহজে তা থামার সম্ভাবনা কম।
অন্যদিনে টাইগারদের উইকেট বৃষ্টিতে ছাতার মতো দাঁড়িয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। একদিনে যখন তামিম-সাকিব-মোসাদ্দেকরা ছিলেন আসা যাওয়ার মিছিলে তখন তিনি উইকেটে ছিলেন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হয়ে। ৭৩ বলে করা তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৪১তম ফিফটিতে ছিল মাত্র একটি বাউন্ডারি। তার অপরাজিত ৯৬ রানে শেষ পর্যন্ত বাউন্ডারি সংখ্যা মাত্র ৫ টি।
বৃষ্টি বাধায় খেলা থামার আগে বাংলাদেশের স্কোর ৪৩ ওভার ৩ বলে ২১৩-৭। মুশফিকের পাশাপাশি অপরাজিত আছেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ পায় উড়ন্ত সূচনা। ইসুরু উদানার করা প্রথম বলেই আসে বাউন্ডারি। থার্ড আম্পায়ার চেক করে দেখেন এটা ছিল নো বল। ফ্রি হিটে আসে আরেক বাউন্ডারি। পরে একটি ওয়াইডের পর আবারও চার। ফলে ম্যাচের প্রথম দুই বলে ১৪ রানের বিরল দৃশ্য দেখা যায়।
কিন্তু পরের ওভারেই টাইগারদের দুশমন হয়ে আসেন পেসার দুস্মান্ত চামিরা। তার প্রথম বলেই এলবিডব্লিই হয়ে সাজঘরে ফেরেন তামিম ইকবাল। চামিরার দ্রুত গতির নিচু হয়ে আসা বলটি গিলে লাগে তামিমের প্যাডে। আম্পাায়ার আউট না দিলে রিভিউ নেয় শ্রীলংকা। দেখা যায় বল গিয়ে লাগছে লেগ স্ট্যাম্পে।
তার তিন বল পরই একই পরিণতি হয় সাকিব আল হাসানের। বল তার প্যাড ছুঁলে লিটন দাসের পরামর্শে রিভিউ না নিয়ে মাঠ ছাড়েন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
পাওয়ার প্লে শেষে স্কোর ছিল ৪৪-২। তারপরের ওভারে আসে ৫ রান। তবে দ্বাদশ ওভারের প্রথম বলেই আউট হন লিটন। সান্দাকেন করা প্রথম বলটি ছিল অনেকটা শর্ট ও বাইরে। কিন্তু ব্যাট চালিয়ে পিছনে পয়েন্টে থাকা হাসারাঙ্গার মুঠোবন্দি হন লিটন।
৭৪ রানে মোসাদ্দেকও সাজঘরে ফেরার পর হাল ধরেন মুশফিক-মাহমুদুল্লাহ। প্রথমে দেখেশুনে খেললেও ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে রানের গতি। প্রথম ১০০ রান যেখানে আসে ২৫ ওভারে পরের ৮ ওভারেই আসে ৫০ রান।
ধনাঞ্জায় ডি সিলভাকে দুই ওভারে দুই ছক্কা হাঁকিয়ে বড় কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। কিন্তু বড়ই দুর্ভাগা তিনি। লাকসান সান্দাকানের বলে স্কুপ করতে গিয়েছিলেন, বুঝতে পেরে নিজের বাঁহাত বাড়িয়ে দেন লঙ্কান কিপর কুশাল পেরেরা। বল গিয়ে তার মুঠোবন্দি হয়। সাজঘরে ফেরার আগে ৫৮ বলে ৪১ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে নেমে বাউন্ডারি দিয়ে রানের খাতা খোলেন আফিফ হোসেন। পরে চামিরার ওভারে আসে আরও এক চার। একই কাজ ইসুরু উদানার ওভারে করতে গিয়ে ধরা পড়েন নাথুম নিশাঙ্কার হাতে। আটে নেমে ভালো করতে পারেননি মেহেদি হাসান মিরাজও। ওয়াহিন্দু হাসারাঙ্কার লেগ স্পিনে বোল্ড হন।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশি বোলারদের আধিপত্য
- ফুটবল দিয়ে মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই বড় অর্জন: শেষ সাক্ষাৎকারে ম্যারাডোনা
- পৃথিবীর দিকে হাত বাড়াও ঈশ্বর, ফুটবল ঈশ্বর তোমার দিকে হাত বাড়িয়েছে
- ফিরে যাচ্ছেন সাকিব
- এভারিস্তো: যে ব্রাজিলিয়ানকে সমান ভালোবাসে রিয়াল-বার্সা
- ফিরলেন মুমিনুল-মুশফিকও, উইকেটে শেষ দুই স্বীকৃত ব্যাটসম্যান
- দেশের ফুটবল আবারও সালাউদ্দিনের হাতে
- আইপিএল ২০২০
সূর্য কিরণে পুড়লো রাজস্থান - ঠিক হলো এল ক্লাসিকোর দিনক্ষণ
- কাল শুরু হচ্ছে ৫ দলের লড়াই
বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে কোন দল কেমন, সম্ভাব্য একাদশ