বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেতা, ওপার বাংলায়? ওপার বাংলায় তিনি কখনো কলকাতার খোকা, কখনো পড়শি দেশের ভাতৃপ্রতিম বন্ধু। সব ছাপিয়ে তিনি ‘দুই বাংলার বন্ধু’, আক্ষরিক অর্থেই বঙ্গবন্ধু। সেই কথা মাথায় রেখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্ম নিয়ে দুই বাংলায় ভার্চ্যুয়াল স্মরণাঞ্জলি আয়োজন করা হয়েছে আজ ১৪ই জানুয়ারি রাতে। 

‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ: এপার বাংলা ওপার বাংলা’ শীর্ষক এই ভার্চ্যুয়াল আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ সময় রাত নয়টায় এবং ভারতীয় স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে আটটায়। ‘অপরাজেয় বাংলা’র ফেসবুক পেইজ থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে এই আলোচনা সভা।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ সরকার ঘোষিত (২০২০-২১ সাল) মুজিববর্ষের এই ভার্চ্যয়াল আলোচনার আয়োজক ‘ইন্দো-বাংলা মিডিয়া এডুকেটর্স নেটওয়ার্ক’। বাংলাদেশ-ভারত দু’দেশের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতার শিক্ষক, সাংবাদিক, গবেষক, মিডিয়া এডুকেটর্সদের (নিরীক্ষাধর্মী তৎপরতা) প্ল্যাটফর্ম এই নেটওয়ার্ক। সহ আয়োজক হিসেবে থাকছে বাংলাদেশের অনলাইন পোর্টাল ‘অপরাজেয় বাংলা’।

আলোচনায় অংশ নিবেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও সমকালীন রাজনীতি বিশ্লেষক অধ্যাপক আবদুল মান্নান, কলকাতা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও পশ্চিমবঙ্গের সিনিয়র মিডিয়া এডুকেটর্স স্নেহাশিস সুর, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. কামরুল হুদা, কলকাতার সিনিয়র সাংবাদিক ও কলামনিস্ট সুমন ভট্টাচার্য। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন অপরাজেয় বাংলা’র সম্পাদক মাহমুদ মেনন খান। ‘ইন্দো-বাংলা মিডিয়া এডুকেটর্স নেটওয়ার্ক’র সমন্বয়ক ও অনুষ্ঠানের সঞ্চালক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রাজীব নন্দী অনুষ্ঠানটি দেখতে সবাইকে আহ্বান জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, দুই বাংলাতেই বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকীর কর্মসূচি উদযাপন করা হচ্ছে। বাংলাদেশের প্রতিটি বিভাগ,  জেলা  ও  ওয়ার্ড পর্যায় পর্যন্ত  বছরব্যাপী সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সংগঠন নানান কর্মসূচি নিয়ে উদযাপন করছে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষ্যে কলকাতার কণ্ঠস্বর প্রকাশন থেকে সদ্য প্রকাশিত হয়েছে সাংবাদিক সুমন ভট্টাচার্য সম্পাদিত ‘এপারের চোখে মুজিব’। আলোচনাপূর্বক প্রতিক্রিয়ায় তিনি অপরাজেয় বাংলাকে জানান, আমার বইতে ভারতবর্ষের ৩৬ জন লেখক এবং ৫ জন প্রবাসী বাংলাদেশি বুদ্ধিজীবীর নিবন্ধ রয়েছে। এই প্রচেষ্টায় মূলত প্রতিবেশী রাজনীতিক, কূটনীতিক, সাংবাদিক, নাট্যকার, কবি বা অধ্যাপকরা মুজিবের অবদানকে মূল্যায়ন করেছেন।