শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ || ৭ বৈশাখ ১৪৩১ || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

ডিজিটাল বাংলাদেশ: লাভবান হচ্ছে রাজশাহীর কৃষকরা

বাসস

২৩:০০, ১২ জুন ২০২১

আপডেট: ২৩:০৬, ১২ জুন ২০২১

১১২৭

ডিজিটাল বাংলাদেশ: লাভবান হচ্ছে রাজশাহীর কৃষকরা

আধুনিক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে ভাগ্য বদলাচ্ছেন বরেন্দ্র ভূমি রাজশাহী অঞ্চলের কৃষকরা। ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রগতির সাথে সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে কৃষি উদ্যোক্তা, যা এ অঞ্চলের অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। 

রাজশাহীতে উচ্চমূল্যের ফল ও ফসলের চাষে বিনিয়োগের মাধ্যমে কোভিড-১৯ মহামারি দ্বারা সৃষ্ট ক্ষতি পুষিয়ে নিয়েছেন দুই বন্ধু সরোয়ার রশিদ এবং নুরুল্লাহ সাদেকিন সৌরভ। 

ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ পাস করার পর ঢাকার একটি আইটি ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন দুজন। কিন্তু করোনার কারণে সে ব্যবসায় লস করায় রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার ইশ্বরীপুরে ১২ বিঘা জমি লিজ নিয়ে শুরু করেন ডিজিটাল ফার্মিং। 

সরোয়ার রশিদ তাদের ব্যবসায়ের পরিকল্পনার চিত্র তুলে ধরে বলেন, "আমরা আমাদের আইটি জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা ব্যবহার করে আরও মুনাফা অর্জনের জন্য কৃষিতে আধুনিক যান্ত্রিকীকরণ এবং ডিজিটালাইজেশন যুক্ত করেছি।

তিনি আরও জানান, কৃষিকে কীভাবে আরও লাভজনক করা যায় সে বিষয়ে তারা উপজেলা কৃষি অফিসার শরীফুল ইসলাম ও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অতনু সরকারের পরামর্শ ও নির্দেশনা নিচ্ছেন।

সরোয়ার রশিদ বলেন, “আমরা ইতিমধ্যে তরমুজের গ্রাফ্ট-চারা উত্পাদন ও বিক্রয় করে সাফল্য পেয়েছি। বর্তমানে গ্রীষ্মের তরমুজ, ফুলকপি এবং বাঁধাকপির চারা সরবরাহ করছি।

এছাড়া খুব কম সময়ের মধ্যে কৃষি পণ্যগুলির প্যাকেজিং এবং প্রসেসিং ব্যবসায় প্রবর্তনের পাশাপাশি গ্রীষ্মকালীন টমেটো এবং পেঁয়াজ চাষের পরিকল্পনাও করছেন তারা। ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে ইতোমধ্যে ইজারা নেয়া হয়েছে ১৫ বিঘা জমি্। 

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অতনু সরকার জানান, যৌথ উদ্যোগে ইতিমধ্যে পণ্যগুলির অনলাইন বিপণনে সাফল্য অর্জন করেছে দুজন।সরোয়ার রশিদ এবং সাদেকিন সৌরভসহ এমন আরও অনেকে আছেন যারা এই অঞ্চলের কৃষিক্ষেত্রে সফল উদ্যোক্তা হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
গোদাগাড়ী উপজেলার ইশ্বরীপুরের এক অতি সাধারণ কৃষক ছিলেন আহাদ আলী। কিন্তু বর্তমানে ৩ বিঘা জমিতে পেয়ারা চাষের পাশাপাশি মৌসুমি ফল দিয়ে লাভ করে চলেছেন। 

তিনি বলেন, আমি ২০১৭ সালে দুই বিঘা জমিতে টমেটো চাষে প্রথম সাফল্য পাই, যেখানে প্রথম বছরে আমার এক লাখ টাকা লাভ হয়। 

উপজেলার চৌত্নাপুর গ্রামে মনিরুজ্জামান মনির ২০১৫ সালে তিন বিঘা জমিতে স্ট্রবেরি চাষে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জনের পর গত কয়েক বছর ধরে সাফল্যের সাথে ছয় বিঘা জমিতে ড্রাগন চাষ ও চার বিঘা জমিতে পেয়ারা চাষ করে আসছেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক (ডিএই) সিরাজুল ইসলাম বলেন, ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য সরবরাহে ফলন বাড়াতে প্রমাণিত উপায় হিসাবে আইসিটি ব্যবহারকে বিবেচনা করা হচ্ছে।

আধুনিক প্রযুক্তির পর্যাপ্ত ও টেকসই ব্যবহার হলে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব এবং কোভিড -১৯ মহামারিসহ বিদ্যমান সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায করে দেশকে খাদ্যে স্বাবলম্বী করার সম্ভব বলে মন্তব্য করেন তিনি। 

কৃষিবিদ ইসলাম বলেন, তৃণমূলের কৃষকদের আধুনিক কৃষির তথ্য ও বার্তা সরবরাহের লক্ষ্যে তারা জাতীয় কৃষি প্রযুক্তি কর্মসূচির আওতায় বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সে কৃষকের তথ্য ও পরামর্শ কেন্দ্র পরিচালনা করছেন।

তিনি আরও বলেন, কিছু জরুরী সেবাসহ মোট ১২ ধরনের পরিষেবা তৃণমূল কৃষকদের দেয়া হচ্ছে। মানুষ যাতে সহজে বুঝতে পারে তাই কৃষকদের কাছে মেসেজ, মেইল বাংলায় পাঠানো হচ্ছে। তিনি বলেন, এসএমএসের পাশাপাশি হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক মেসেঞ্জার, জুম এবং স্কাইপের মতো ওয়েব-ভিত্তিক প্রযুক্তিও ব্যবহার করা হচ্ছে

Kabir Steel Re-Rolling Mills (KSRM)

আরও পড়ুন

Rocket New Cash Out
Rocket New Cash Out
bKash
Community Bank
বিশেষ সংবাদ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত