বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪ || ১৪ চৈত্র ১৪৩০ || ১৬ রমজান ১৪৪৫

অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

মারাত্মক দুর্ঘটনার পরও যেসব গাছ বেঁচেছিল

সাতরং ডেস্ক

২০:০৫, ২২ জানুয়ারি ২০২২

৪৩২

মারাত্মক দুর্ঘটনার পরও যেসব গাছ বেঁচেছিল

পৃথিবী প্রতিনিয়ত দুর্যোগের সম্মুখীন হচ্ছে। সেটা কখনো প্রাকৃতিক, আবার কখনো বা মানুষের কুকীর্তি। এমন নানারকম দুর্যোগের মধ্যে যেসব দুর্যোগ চোখ দিয়ে দেখা যায়, যেগুলো ধ্বংসযজ্ঞ চালায় সেগুলোর আঘাতে একটি স্থানের রূপ পুরোপুরি বদলে যায়, বিকৃত হয়ে যায়।

যেমন ঘূর্ণিঝড়, দাবানল, বোমা বিস্ফোরণ ইত্যাদি। কিন্তু এসব দুর্যোগের পর দেখা যায় ওই স্থানে কিছু একটা এতকিছুর পরেও ঠায় দাঁড়িয়ে আছে।

গাছেদের ক্ষেত্রে এমনটা ঘটার অনেক নজির আছে। ভয়ংকর দুর্ঘটনার পরেও কোনো কোনো গাছ টিকে থাকে, ভেঙে পড়ে না। এরকম কয়েকটি দুর্ঘটনায় টিকে থাকা গাছের কথা জেনে নেওয়া যাক।

ক্যালেরি পিয়ার

ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছিল এ গাছটি। ১৯৭০ সালে সেখানে লাগানো হয়েছিল এটিকে। আট ফুট লম্বা গাছটির হামলার পর কেবল একটি শাখা বেঁচে ছিল।

তারপর যত্ন নেওয়া হলে এটি টিকে যায়। এখন এগাছের বীজ পৃথিবীর বাইরে বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হয়। যেসব জায়গায় কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা মানবসৃষ্ট ধ্বংসযজ্ঞ চলে, সেসব জায়গায় এ গাছের চারা লাগানো হয়।

আমেরিকান এম

যুক্তরাজ্যের ওকলাহোমায় ১৯৯৫ সালে বোমা বিস্ফোরণে ১৬৮ জন মারা যান। ফেডারেল ভবনে বোমা হামলা হওয়ার পর সেখানে থাকা শতবর্ষী এ গাছটি টিকে থাকে।

যদিও বিস্ফোরণে গাছের ডালপালা উড়ে গিয়েছিল, ভাঙা কাঁচ, বিভিন্ন ভাঙা টুকরা গাছের কাণ্ডে আটকে ছিল।

মিরাকল পাইন

২০১১ সালে জাপানে সুনামির আঘাতে পুরো বন ধ্বংস হলেও এ গাছটি টিকে গিয়েছিল। গাছটির বয়স তখন ছিল ২৫০ বছর।

হিবাকু জুমোকু

১৯৪৫ সালে হিরোশিমায় আণবিক বোমা হামলার পর সবাই ভেবেছিল সেখানে আর কিছু জন্ম নেবে না। কিন্তু পরের বছর থেকেই সে এলাকায় কিছু গাছ জন্মাতে দেখা যায়।

যুদ্ধের পর ৩২টি প্রজাতির ১৭০টি গাছ ওই ধ্বংসস্থলের আশপাশে জন্ম নেয়। এগুলোকে বর্তমানে হিবাকু জুমোকু বলে ডাকা হয়।

যে গাছ সব দেখেছিল

১৯৯২ সালে নেদারল্যান্ডের আমস্টারডাম শহরে একটি বোয়িং ৭৪৭ কার্গো বিমান বিধ্বস্ত হয়। ওই ঘটনায় ৪৩ জন মারা যান।

অকুস্থলের পাশে থাকা এ গাছটি অক্ষত থেকেছিল। পরে এটিকে মৃতের জন্য স্মৃতিস্তম্ভ হিসেবে রাখা হয়। গাছটি 'দ্য ট্রি দ্যাট স অল' বা স্থানীয় ভাষায় 'দে বুম দি অ্যালেস জাগ' নামে পরিচিত।

অ্যামিউজিং প্ল্যানেট অবলম্বনে

Kabir Steel Re-Rolling Mills (KSRM)
Rocket New Cash Out
Rocket New Cash Out
bKash
Community Bank