শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে চলছে ১৪টি ফেরি, যাত্রী পারপার অনেকটাই স্বাভাবিক
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: ১১:৫৩ এএম, ১১ মে ২০২১ মঙ্গলবার আপডেট: ১২:০৫ পিএম, ১১ মে ২০২১ মঙ্গলবার
প্রতিটি ফেরিতেই অ্যাম্বুলেন্স, পিকআপ, প্রাইভেটকার ও পণ্যবাহী যানবাহন পারাপার করতে দেখা গেছে
মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারীপুর বাংলাবাজার নৌপথে গত কয়েকদিন ধরে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেলেও মঙ্গলবারের (১১ মে) ভিন্ন চিত্র। সকাল থেকে এই রুটে ১৪টি ফেরি চলাচল করছে। ফলে অনেকটাই স্বাভাবিক রয়েছে ঘাটের যাত্রী পারাপার।
বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সাফায়েত আহমেদ জানান, নৌরুটে ১৪টি ফেরি চলাচল করছে। এর মধ্যে ৩টি রো-রো ফেরি, ৫টি ডাম্প ফেরি ও ৬টি কে-টাইপ ফেরি রয়েছে।
প্রতিটি ফেরিতেই অ্যাম্বুলেন্স, পিকআপ, প্রাইভেটকার ও পণ্যবাহী যানবাহন পারাপার করতে দেখা গেছে। একই সঙ্গে পার হচ্ছেন ঘরমুখো যাত্রী সাধারণও।
দক্ষিণবঙ্গের এ নৌরুটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হওয়ায় শিমুলিয়া ঘাটে যাত্রী পারাপারে ভোগান্তি কমেছে। একের পর এক ফেরি ছেড়ে যাচ্ছে ঘাট থেকে। ফেরিতে যানবাহনের সঙ্গে যাত্রীরা পাড়ি দিচ্ছেন পদ্মা।
এদিকে শিমুলিয়া ঘাটের প্রবেশমুখ শিমুলিয়া-ভাঙ্গা সড়কে মোতায়েন আছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সদস্যরা (বিজিবি)। সেখানে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করা হলেও বিজিবির টহলের মধ্য দিয়ে যাত্রী ঘাটে আসছেন। ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে যাত্রীদের মধ্যে।
দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের প্রধান যাতায়াত হয় পদ্মার দুই ফেরিঘাট হয়ে। এগুলো হচ্ছে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারীপুরের বাংলাবাজার এবং মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ও রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া।
তবে ঢাকা-পাটুরিয়া মহাসড়কের টেপড়া এলাকায় বিজিবির চেক পোস্ট বসানো হয়েছে। চেক পোস্ট থেকে অনেক গাড়ি ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।