অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

ভারতের করোনা বিপর্যয়ের জন্য মোদির অপরাধ ক্ষমার অযোগ্য বললো ল্যানসেট

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৫:০৮ পিএম, ৯ মে ২০২১ রোববার   আপডেট: ০৫:০৮ পিএম, ৯ মে ২০২১ রোববার

মোদি সরকারের ভুল স্বীকার করতে না চাওয়ার মনোভাবই সমস্যা বাড়িয়েছে: ল্যানসেট

মোদি সরকারের ভুল স্বীকার করতে না চাওয়ার মনোভাবই সমস্যা বাড়িয়েছে: ল্যানসেট

ভারতে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ যে অবস্থার সৃষ্টি করেছে, তার জন্য দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে দায়ী করেছে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন স্বাস্থ্যবিষয়ক গবেষণা সাময়িকী দ্য ল্যানসেট। এই জার্নালের সম্পাদকীয় প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নরেন্দ্র মোদির সরকারই দেশে কোভিড বিপর্যয়ের জন্য দায়ী।

সাময়িকীটির সম্পাদকীয় বিভাগে মোদি সরকারের সমালোচনা করে বলা হয়েছে, ‘বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও সরকার ধর্মীয় উৎসব পালন এবং রাজনৈতিক সভার মতো অতি সংক্রামক অনুষ্ঠান হতে দিয়েছে। এই ধরনের অতি সংক্রামক বা সুপার স্প্রেডার অনুষ্ঠানই বিপদ ডেকে এনেছে ভারতে। সমালোচকদের চুপ করিয়ে দেওয়া এবং খোলা মনে পরামর্শ নিতে না চাওয়ার সরকারি মনোভাবই ভারতের সংকট বাড়িয়েছে যাকে কোনোভাবেই ক্ষমা করা যায় না।’

আরও বলছে ‘এক এক সময় মনে হয়েছে, মোদি সরকার মহামারির মোকাবেলার চেয়ে টুইটারের সমালোচনা মুছতে বেশি ব্যস্ত।’

করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের আবহে ভারতে অক্সিজেন ও টিকায় ঘাটতি, হাসপাতালে শয্যার অভাবের মতো একাধিক সমস্যা দেখা গেছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সংক্রমণও। গত কয়েক দিন ধরেই দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা ৪ লাখে উপরে রয়েছে।

ল্যানসেট লিখেছে, ‘করোনা মোকাবেলায় মোদি সরকার তার প্রথম দফার সাফল্যকে তছনছ করে দিয়েছে। ভারত সরকার করোনা মোকাবেলার জন্য প্রথম পর্যায়ে যে টাস্কফোর্স তৈরি করেছিল,  এপ্রিল মাসের আগে বেশ কয়েক মাস যাবৎ তারা কোনও বৈঠকই করেনি।’

এই পরিস্থিতিকে মোদি সরকারের ‘নিজের তৈরি করা সংকট’ বলে মন্তব্য করে ল্যানসেট লিখেছে, ‘চাইলে এই বিপদ এড়ানো যেত। কিন্তু মোদি সরকারের ভুল স্বীকার করতে না চাওয়ার মনোভাবই সমস্যা বাড়িয়েছে।’

এর আগে রয়টার্সের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারের পাঁচ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি সেই মার্চে সতর্ক করেছিল। সরাসরি মোদিকেও অবহিত করা হয়। কিন্তু তিনি কানে তোলেননি!

ভারতে সংক্রমণের যে রকমফের দেখা যাচ্ছে তাতে বোঝা যাচ্ছে এটা অতি দ্রুত ছড়িয়ে পড়া করোনার একটা ধরন। কোভিডের অতি সংক্রামক এই ধরনটি 'বি.১.৬১৭' নামে পরিচিত, যা গত অক্টোবরে প্রথম ধরা পড়ে।