অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়া প্রসঙ্গে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত স্বরাষ্ট্রে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১১:৫০ এএম, ৯ মে ২০২১ রোববার   আপডেট: ১১:৫১ এএম, ৯ মে ২০২১ রোববার

খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার আবেদন সরকার মানবিকভাবে দেখছে, বললেন আইনমন্ত্রী

খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার আবেদন সরকার মানবিকভাবে দেখছে, বললেন আইনমন্ত্রী

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার আবেদনের বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। রবিবার (৯ মে) মতামতটি স্বারাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যায়।

তবে আইনমন্ত্রী কী মতামত দিয়েছেন, সেটি গণমাধ্যমকে জানাননি। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলবে বলে জানান তিনি।

বিএনপি চেয়ারপারসনকে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নিয়ে যেতে গত ৫ মে রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ধানমন্ডির বাসায় গিয়ে আবেদন করেন খালেদা জিয়ার ভাই শামীম এস্কান্দর। সেদিন রাতেই আবেদনটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।

পরে বৃহস্পতিবার আইনমন্ত্রী বলেছিলেন, আবেদনসংক্রান্ত ফাইলটি তিনি পেয়েছেন। দেখে এ বিষয়ে মতামত দেবেন। আবেদনটি মানবিকভাবে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

বিএনপি সূত্র জানিয়েছে, লন্ডনের একটি হাসপাতালে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে যুক্তরাজ্য সরকারের ইতিবাচক সাড়া পেয়েছে তার পরিবার। বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে ছাড়পত্র পাওয়া মাত্রই খালেদা জিয়ার পরিবার তাকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু করবে।

তবে, কোন হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে ভর্তি করানো হবে বা তাকে সেখানে নিয়ে যেতে বিশেষ ফ্লাইট বা এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের প্রয়োজন হবে কি না সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত জানা যায়নি। বিএনপি মহাসচিব সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এই প্রক্রিয়াটির সমন্বয় করছেন।

২০১৯ সালে খালেতা জিয়ার পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়। পাসপোর্টে ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও সই প্রয়োজন হলেও খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে এই নিয়ম শিথিল করা হয়েছে বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন।

খালেদা জিয়ার পারিবারিক সূত্র আরও জানিয়েছে, সরকারের অনুমতি পাওয়া মাত্রই তার ভিসার আবেদন করা হবে। তিনি যুক্তরাজ্যে যেতে চাইলে তখন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তাকে কোন হাসপাতালে ভর্তি করানো হবে।

বিএনপি নেত্রীর দ্বিতীয়বারের মতো করোনা পজিটিভ ধরা পড়ার তিন দিন পর গত ২৭ এপ্রিল তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এর আগে, গত ১১ এপ্রিল তার প্রথম করোনা ধরা পড়ে। এছাড়াও, তিনি দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস ও চোখের সমস্যায় ভুগছেন। গত ৩ মে শ্বাসজনিত সমস্যার কারণে তাকে হাসপাতালটির সিসিইউয়ে নেওয়া হয়।

৭৫ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত। দণ্ড নিয়ে তিন বছর আগে তাকে কারাগারে যেতে হয়। দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু পর পরিবারের আবেদনে সরকার গত বছরের ২৫ মার্চ ‘মানবিক বিবেচনায়  সরকার শর্তসাপেক্ষে  নির্বাহী আদেশে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়। বর্তমানে তিনি জামিনে আছেন।

তখন থেকে তিনি গুলশানে নিজের ভাড়া বাসা ফিরোজায় থেকে ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন খালেদা জিয়া। তার সঙ্গে বাইরের যোগাযোগ সীমিত।