অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

ভারতের করোনার ধাক্কায় বিপর্যস্ত নেপাল

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

প্রকাশিত: ০১:১৫ পিএম, ৮ মে ২০২১ শনিবার  

ভারতের করোনাভাইরাসের ভ্যারিয়েন্ট নেপালে প্রবেশ করায় বিপর্যয়ের মুখে পড়তে শুরু করেছে দেশটি

ভারতের করোনাভাইরাসের ভ্যারিয়েন্ট নেপালে প্রবেশ করায় বিপর্যয়ের মুখে পড়তে শুরু করেছে দেশটি

করোনাভাইরাস সংক্রমণের পর থেকে সবচেয়ে বেশি শনাক্তের খবর জানালো নেপাল।দেশটিতে ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড ৯ হাজার ৭০ জন শনাক্ত হয়েছে। যা এক মাস আগে ছিল মাত্র ২৯৮ জন। সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের করোনাভাইরাসের ভ্যারিয়েন্ট নেপালে প্রবেশ করায় বিপর্যয়ের মুখে পড়তে শুরু করেছে দেশটি।

দেশটির চিকিৎসকরা সতর্ক করে বলেছেন, এখনই ব্যবস্থা না নিলে আরও সংকটে পড়তে হবে। এরই মধ্যে রেকর্ড শনাক্ত হয়েছে, দেখা দিয়েছে অক্সিজেন সংকট, কোনো হাসপাতালেই আর বেড খালি নেই।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনাভাইরাস সংক্রমণের পর থেকে সবচেয়ে বেশি শনাক্তের খবর জানিয়েছে দেশটি। এখন পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় মৃত্যু হয়েছে সাড়ে তিন হাজার মানুষের। এর মধ্যে গত দুই সপ্তাহে মৃত্যু হয়েছে ৪০০ জনের।

কাঠমান্ডু অ্যাডভান্সড মেডিসিন অ্যান্ড সার্জারি হাসপাতালের প্রধান জতীন্দ্র শর্মা সংবাদ সংস্থা এপিকে বলেন, এই মুহূর্তে হাসপাতালে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য আর কোনো বেড খালি নেই।

‘যদিও কোথাও খালি থাকে, সেখানে কোনো অক্সিজেন সরবরাহ নেই। বলা যায়, আমরা এখন সংকটের শীর্ষে অবস্থান করছি।’

সংকট কাটাতে হাসপাতালে অতিরিক্ত বেড যুক্ত করা হচ্ছে। এতে করে কিছু রোগীকে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া যাচ্ছে।

শর্মা বলেন, ‘এ অবস্থা চলতে থাকলে চূড়ান্ত পরিস্থিতিতে মানুষ মরে রাস্তায় পড়ে থাকবে। কারণ, হঠাৎ করে এত দ্রুত হাসপাতালের বেড বাড়ানো সম্ভব নয়।’

সরকার পরিচালিত ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয় চিটিং হাসপাতালে কোভিড রোগীরা বেড না পেয়ে বারান্দাসহ অন্য জায়গাগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। সেখানে সিলিন্ডারে করে অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে জায়গা ও সরঞ্জামের অভাবে অনেক রোগীকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে।

পরিস্থিতি মোকাবেলায় এক মাস আগে থেকেই বড় শহরগুলোতে লকডাউন দেয় নেপাল। সেই সঙ্গে চলতি সপ্তাহ থেকে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক সব ফ্লাইট বন্ধ করে দিয়েছে নেপাল সরকার। সম্ভাব্য পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশটি আন্তর্জাতিক সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে।