অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

থ্যালাসেমিয়া নিয়ন্ত্রণে প্রতিরোধের বিকল্প নেই: প্রধানমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১০:৫৭ এএম, ৮ মে ২০২১ শনিবার   আপডেট: ১১:০৩ এএম, ৮ মে ২০২১ শনিবার

বিশ্বের থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুর প্রায় ৯০ শতাংশ জন্ম নেয় নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে। অনেক রোগীই পর্যাপ্ত চিকিৎসা পায় না। অথচ এই রোগের বাহক নির্ণয়ে বিয়ের আগে রক্ত পরীক্ষা করে সহজেই তা প্রতিরোধ করা সম্ভব। 

বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস উপলক্ষে শুক্রবার (৭ মে) দেয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

অন্যান্য বছরের মতো এবারও বাংলাদেশ ৮ মে বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস পালন করছে। যার প্রতিপাদ্য ঠিক করা হয়েছে ‘বিশ্বব্যাপী থ্যালাসেমিয়া রোগীদের মধ্যে স্বাস্থ্য বৈষম্য মোকাবিলা’। 

নিজের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী থ্যালাসেমিয়া নিয়ন্ত্রণে তরুণ ও যুবকদের সচেতন হওয়া ও স্বেচ্ছায় রক্তদানের উপর গুরত্ব দেন। তিনি বলেন, থ্যালাসেমিয়া রোগীদের প্রতিমাসে এক থেকে দুই ব্যাগ রক্ত পরিসঞ্চালন করতে হয়। বাংলাদেশে স্বেচ্ছায় রক্তদানের মাধ্যমে রক্তের ৩০ শতাংশ চাহিদা মেটে, যার ফলে রোগীদের জন্য রক্তের অভাব বিরাজমান।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার থ্যালাসেমিয়া রোগীদের চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের চতুর্থ এইচপিএনএসপির আওতায় আটটি সরকারি মেডিকেল কলেজে থ্যালাসেমিয়া ম্যানেজমেন্ট সেন্টার গঠন করেছে। এসব সেন্টারে ‘ন্যাশনাল গাইডলাইনস অন থ্যালাসেমিয়া ম্যানেজমেন্ট ফর ফিজিশিয়ানস’ অনুযায়ী রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ সরবরাহ করা হবে। থ্যালাসেমিয়া রোগীদের রেজিস্ট্রেশন করে তথ্য সংরক্ষণ করা হবে। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ‘ক্যান্সার, কিডনি, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইজড, জন্মগত হৃদরোগ এবং থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগীদের আর্থিক সহায়তা কর্মসূচি’ থেকে আমরা থ্যালাসেমিয়া রোগীদের চিকিৎসার জন্য ৫০ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করছি।