অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার আবেদন পর্যালোচনা করা হবে: আইনমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০৩:১২ পিএম, ৬ মে ২০২১ বৃহস্পতিবার   আপডেট: ০৩:১৪ পিএম, ৬ মে ২০২১ বৃহস্পতিবার

খালেদার বিদেশ যাওয়ার আবেদন পর্যালোচনা করা হবে: আইনমন্ত্রী

খালেদার বিদেশ যাওয়ার আবেদন পর্যালোচনা করা হবে: আইনমন্ত্রী

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নিয়ে যেতে সরকারের কাছে করা আবেদনটি মতামতের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। 

শামীম এস্কান্দারের করা আবেদনটি বুধবার রাতেই স্বরাষ্ট্র থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো নথিটি এখনও হাতে পৌঁছায়নি বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

মন্ত্রী বলেন, ‘আমার সচিব সাহেবের কাছে এসেছে। তারা পর্যালোচনা করছেন। আমার কাছে আসুক।’

পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রী বলেন, ‘পরবর্তী পদক্ষেপ হচ্ছে, আমার মতামত দিতে হবে। দেখা যাক। আসুক।’

বিষয়টি কীভাবে নিষ্পত্তি করা হবে জানতে চাওয়া হয় মন্ত্রীর কাছে। জবাবে তিনি বলেন, ‘কথা হচ্ছে, অবস্থার প্রেক্ষিতে খালেদা জিয়াকে যে শর্ত দেয়া হয়েছিল, সেই শর্ত শিথিল করা হবে কী, হবে না, এটাই হচ্ছে আসল বিষয়।’
এ ক্ষেত্রে সরকার মানবিক দিক বিবেচনা করবে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘সবসময় তো মানবিক দিক বিবেচনা করা হয়েছে।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় গত ২৭ এপ্রিল। খালেদা জিয়া গত ১১ এপ্রিল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। আনুষ্ঠানিকভাবে আরটিপিসিআর পরীক্ষায় তিনি করোনা নেগেটিভ হননি।  তবে খালেদা জিয়ার চিকিৎসক এ জে এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর দুই সপ্তাহ অনেক আগেই পার করেছেন খালেদা জিয়া। 

করোনা চিকিৎসার আন্তর্জাতিক গাইড লাইন অনুযায়ী দুই সপ্তাহ পর করোনার কোনো উপসর্গ শরীরে না থাকলে ধরে নেওয়া হয় ওই ব্যক্তির দ্বারা করোনা সংক্রমণ হবে না। এ কারণে খালেদা জিয়াকে নন-কোভিড রোগী হিসেবেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

৭৫ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত। দণ্ড নিয়ে তিন বছর আগে তাকে কারাগারে যেতে হয়। দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু পর পরিবারের আবেদনে সরকার গত বছরের ২৫ মার্চ ‘মানবিক বিবেচনায়  সরকার শর্তসাপেক্ষে  নির্বাহী আদেশে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়। বর্তমানে তিনি জামিনে আছেন।

তখন থেকে তিনি গুলশানে নিজের ভাড়া বাসা ফিরোজায় থেকে ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন খালেদা জিয়া। তার সঙ্গে বাইরের যোগাযোগ সীমিত।