অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

মোদির দেশ ভারতেই পালাচ্ছে হেফাজতিরা!

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১১:২১ এএম, ৬ মে ২০২১ বৃহস্পতিবার  

হেফাজতের তাণ্ডব, ফাইল ছবি

হেফাজতের তাণ্ডব, ফাইল ছবি

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশে আসায় গাত্রদাহ ছিলো যে হেফাজতিদের তাদেরই শীর্ষ নেতারা এখন মোদীর দেশ ভারতে গিয়েই আশ্রয় খুঁজতে চাইছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে এমন তথ্য দিয়ে বলা হয়েছে বাংলাদেশ থেকে গোয়েন্দা বিভাগ ভারতীয় গোয়েন্দা বিভাগে এমন সতর্কতা জানিয়ে, এই আহ্বান জানিয়েছে যাতে হেফাজতি উগ্রপন্থীরা ভারতে আশ্রয় না পায়। 

ভারতের নিকটতম দুই অঙ্গরাজ্য পশ্চিমবঙ্গ ও আসাম থেকে হেফাজতিরা ভারতে পালানোর চেষ্টা করছে। 

খবরে ভারতীয় গোয়েন্দা বিভাগের উর্ধ্বতন সূত্রের বরাতে জানানো হয়েছে বাংলাদেশের গোয়েন্দা বিভাগের উর্ধ্বতন পর্যায় থেকেই এই হেফাজতিদের পলায়নের তথ্য দেওয়া হয়েছে। তথ্যে বলা হয়েছে কোনো কোনো উগ্রপন্থি হেফাজতি নেতা এরই মধ্যে ভারতে ঢুকে পড়েছে নয়তো ঢোকার চেষ্টা করছে বলে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে।

নির্বাচনী ডামাডোলের মধ্যে এই সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করেছে বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে উগ্রতা দেখানো ইসলামভিত্তিক দলটি। যার একজন অন্যতম প্রধান মামুনুল হক এরই মধ্যে গ্রেফতার হয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় রয়েছেন। এবং গোয়েন্দা বিভাগ জানাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে উৎখাত করার একটি নীল-নকশা নিয়ে তারা কাজ করছিলেন। এবং এরাই গত মার্চে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফরে এলে তার প্রতিবাদের নামে জ্বালাও, পোড়াও ও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছেন। 

দেশে এরই মধ্যে পুলিশের কব্জায় রয়েছে ৫০ জন হেফাজতি ও অন্যান্য উগ্রবাদী নেতা। তবে পুলিশের কাছে অন্তত ৩০০ জনকে চিহ্নিত করা তালিকা রয়েছে। যাদের মধ্যেই কেউ কেউ ভারতে পালানোর চেষ্টা করছে। 

খবরটিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের গোয়েন্দা বিভাগের সঙ্গে তথ্য বিনিময়ের চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে ভারতীয় গোয়েন্দা বিভাগের। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ থেকে জানানো হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ ও আসাম সীমান্ত দিয়ে বেশ কিছু হেফাজতি নেতা ভারতে পালিয়েছে, নয়তো পলায়নের চেষ্টা করেছে। 

ভারতীয় গোয়েন্দার উর্ধ্বতন কর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে একটি খবরে বলা হয়েছে, তারা বাংলাদেশের দেওয়া এই তথ্য গুুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছেন। কারণ এই উগ্রপন্থীরা ভারতে ঢুকে খুব সহজেই পশ্চিমবঙ্গ ও আসামের মানুষের সঙ্গে মিশে যেতে পারে। তাছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে এখানকার পুলিশ গত কিছুদিন নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত থাকার সুযোগ নিয়ে তাদের ঢুকে পড়াও অসম্ভব নয়। 

এরই মধ্যে দুই রাজ্যের পুলিশ ও সীমান্তরক্ষীদের এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে বলেও ওই উদ্ধৃতি থেকে জানা যায়।