অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

এবার এলো ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ঢেউ, নতুন আশাবাদীতা

স্পটলাইট ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৪:৪৬ এএম, ৬ মে ২০২১ বৃহস্পতিবার  

জার্মানির কিউর ভ্যাক আনছে নতুন আরএনএ ভ্যাকসিন

জার্মানির কিউর ভ্যাক আনছে নতুন আরএনএ ভ্যাকসিন

করোনা যেমন প্রথম, দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় ঢেউ নিয়ে আছড়ে পড়েছে বিশ্ব জুড়ে মানবসমুদ্রে, তেমনি তার মোকাবেলায় ভ্যাকসিনের আবিষ্কারের প্রথম ঢেউটি আমরা এরই মধ্যে চাক্ষুস করেছি এবং তার ফলও পেতে শুরু করেছি। কিন্তু সেখানেই থেমে থাকলে চলবে না তা বিশ্বের বাঘা বাঘা চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা ঠিকই বুঝে নিয়েছেন। ফলে তারা এখন ভ্যাকসিন আবিষ্কারেরও দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে আসছেন। বিশেষ করে অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের জন্য এই আবিষ্কার বেশি জরুরি হয়ে পড়েছে। 

বেশ কিছু সম্ভাবনা এরই মধ্যে তৈরি হয়ে গেছে। তার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে নোভাভ্যাক্স আসছে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই দেশটির কর্তৃপক্ষের কাছে ভ্যাকসিন অনুমোদনের আবেদন করতে যাচ্ছে। ভারতীয় ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি বায়োলজিক্যাল ই এরই মধ্যে তাদের তৈরি ভ্যাকসিন পরীক্ষা চালাতে শুরু করেছে। এই ভ্যাকসিন তৈরি করেছেন টেক্সাসের গবেষকরা। এছাড়াও ব্রাজিল, মেক্সিকো, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামে একটি কোভিড-১৯ শট পরীক্ষা চালানো হচ্ছে। 

তবে গবেষকরা বিশেষ কৌতুহল দেখাচ্ছেন ছোট্ট একটি জার্মান কোম্পানি কিউর ভ্যাক'র তৈরি আরএনএ ভ্যাকসিনের বিষয়ে। এরা বায়োএনটেক ও মর্ডানার আগে থেকে ভ্যাকসিন তৈরিতে সিদ্ধহস্ত। ধারণা করা হচ্ছে কিউর ভ্যাক আগামী সপ্তাহের গোড়ার দিকেই তাদের ভ্যাকসিন পরীক্ষার শেষ পর্যায়ে পৌঁছানোর ঘোষণা দিতে যাচ্ছে। 

মর্ডানা ও ফাইজার-বায়োটেক একই ধরনের আরএনএ ভ্যাকসিন এনেছে যা এ পর্যন্ত তার কার্যকারিতা দেখাচ্ছে, সুতারাং কিউর ভ্যাকের ভ্যাকসিনটিও কার্যকর হবে বলেই ধারনা করছেন গবেষণা সংশ্লিষ্টরা। 

এই কিউর ভ্যাক'র ভ্যাকসিনটি কাজ করলে তা আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে ধরা দেবে কারণ অন্য আরএনএ ভ্যাকসিন, যেমন ফাইজার ও মর্ডানার ভ্যাকসিনগুলো ড্রিপ ফ্রিজারে রাখতে হয় সেখানে কিউর ভ্যাক'র ভ্যাকসিন সাধারণ রেফ্রিজারেটরে রাখলেই চলে। আর ব্যবহারের আগে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত রুম টেমপারেচারে রাখা যায়। এ থেকে ধারনা করা যায়, বিশ্বের যেসব দেশে ভ্যাকসিন পৌঁছানো জরুরি তাদের জন্য এই কিউর ভ্যাকের ভ্যাকসিনটিই হবে সবচেয়ে উপযোগী। 

আর কার্যকর হলে কিউর ভ্যাক আগামী বছর নাগাদ বিশ্বে ১০০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে পারবে। তবে আরএনএ ভ্যাকসিন তৈরির কাচামালের চাহিদা এখনও ব্যাপক। তাতে ভ্যাকসিনটির পরীক্ষার ফল ভালো এলেও কতটা দ্রুত তা বানানো সম্ভব হবে তা নিয়ে কিছুটা দুঃশ্চিন্তা থেকেই যাবে।