অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

শুক্র থেকে শব্দ ধরে এনেছে নাসা

সাতরং ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৬:২৯ পিএম, ৪ মে ২০২১ মঙ্গলবার  

ভেনাসিয়ান রেডিও। এটাই নাম দিয়েছে নাসা। টিউন-অন করলে শোনা যাবে সে রেডিও। তাতে কানে আসবে শুক্রগ্রহ থেকে পাওয়া শব্দ। সম্প্রতি শুক্রের পাশে দিয়ে উড়ে আসার সময় সেই শব্দ রেকর্ড করে এনেছে নাসার মহাকাশ যান। বস্তুত সূর্যকে নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে শুক্রের কাছাকাছি থেকে উড়ে এসেছে সে যান। পার্কার সোলার প্রোব নামের এই স্পেসক্র্যাফট থেকে ইথার থেকে ভেসে আসা প্রাকৃতিক সেই ধ্বনি শোনা যায়। নাসার বিজ্ঞানীরা বহুদিন ধরেই ধরিত্রী মাতার কোনো জমজ ভাইবোন রয়েছে কিনা জ্যোতিষ্কমণ্ডলে তা খুঁজে দেখছে। নতুন এই রেকর্ডেড শব্দ তাদের সে অনুসন্ধানে নতুন মাত্রা যোগ করবে বৈকি। 

মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি তাদের এই পার্কার প্রোবকে শুক্রের কাছাকাছি দিকটা থেকে ঘুরিয়ে এনেছে। গ্রহটির উপরিতল থেকে ৫১৭ মাইলের মধ্যে চলে যায় এটি। নাসা'র গোডার্ড স্পেস সেন্টার থেকে এই গবেষণা চালানো হচ্ছে। এ পর্যন্ত তিন দফা শুক্রের কাছাকাছি থেকে উড়ে এসেছে। তার মধ্যে তৃতীয় দফায় এই পূর্ণাঙ্গ সাউন্ড ট্র্যাকটি রেকর্ড হয় নাসার অভিযানযন্ত্রে। 

পার্কার সোলার প্রোব নামের এই স্পেশ ক্র্যাফট মহকাশে উড়তে শুরু করে ২০১৮ সাল থেকে। নাসার উদ্দেশ্য ২০২৫ সালের মধ্যে সূর্যের ৪৩ লাখ মাইল কাছাকাছি পর্যন্ত জ্যোতিষ্কমণ্ডলে যা কিছু আছে, তার খোঁজ খবর নেওয়া। এবারই স্পেসক্র্যাফটি শুক্রের সবচেয়ে কাছে দিয়ে উড়ে এলো। বস্তুত এটি উড়ছিলো শুক্রের উপরিতলের উর্ধ্ব আকাশে। শুক্রের আবহমণ্ডলে ৩০ বছর ধরে চলমান গবেষণায় এই প্রথম গ্রহটির মধ্যে কিছুটা ভিন্নতাও দেখতে পায়।  তারা শুক্রের আবহমণ্ডলে কিছু দুর্বোধ্য পরিবর্তন দেখতে পেয়েছেন। যা তারা মনে করছেন সূর্যের সঙ্গে ১১ বছরের একটা চক্র। ধারণা করা হচ্ছে, এ থেকে বিজ্ঞানীরা বুঝে নিতে পারবেন কেনো শুক্র আর পৃথিবী পরস্পর থেকে আলাদা। যদিও দুটি গ্রহেরই জন্মপদ্ধতি ছিলো একই রকম। 

নাসার গবেষকরা তো শুক্রকে পৃথিবীর জমজ বলেই মানেন। দুটি গ্রহই প্রস্তরময়। আকারেও এক, কাঠামোও অভিন্ন। জন্ম নেওয়ার পদ্ধতিও এক। কিন্তু সেই জন্ম থেকেই একে অপর থেকে বিচ্ছিন্ন ও ভিন্ন।