অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

চিকিৎসক, নার্সদের কোভিড -১৯ প্রশিক্ষণে ইউএসএআইডির ইমার্জেন্সি রেসপন্স প্রকল্প

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ০১:০৩ পিএম, ৪ মে ২০২১ মঙ্গলবার   আপডেট: ০১:০৩ পিএম, ৪ মে ২০২১ মঙ্গলবার

কোভিড-১৯ বিষয়ে চিকিৎসক, নার্সদের প্রশিক্ষণ চলছে

কোভিড-১৯ বিষয়ে চিকিৎসক, নার্সদের প্রশিক্ষণ চলছে

রাজধানীর মহাখালীতে সদ্য প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের বৃহত্তম কোভিড -১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতাল-ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) হাসপাতালে মানসম্মত ও কার্যকর সেবা নিশ্চিত করতে, ইউএসএআইডি'র মামনি  মাতৃ ও নবজাতক স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়ন প্রকল্প: ইমার্জেন্সি রেসপন্স টু কোভিড-১৯প্যানডেমিক কাজ করছে। করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের বিশেষায়িত সেবা নিশ্চিত করতে এখানকার সব ডাক্তার ও নার্সদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে এই প্রকল্প। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে সেভ দ্য চিলড্রেন বাংলাদেশ।

প্রথম পর্যায়ে প্রশিক্ষণ শুরু হয় ১৪ এপ্রিল যা ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত অব্যাহত ছিলো। হাসপাতালের প্রায় ১৪০ জন চিকিৎসক ও নার্স চারটি ব্যাচে প্রশিক্ষণ নেন। হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন প্রশিক্ষণ অধিবেশন উদ্বোধন করেন। চলমান মহামারিতে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা উর্ধগতির ফলে অন্যান্য হাসপাতালে রোগীদের চাপ সামলাতে  এবং মারাত্মক করোনা আক্রান্ত রোগীর বিশেষ সেবার জন্য যা যা প্রয়োজন সেসব যন্ত্রপাতি ও পথ্যের যথেষ্ট যোগান সম্বলিত এই হাসপাতালটি অতি সম্প্রতি তার সেবা শুরু করেছে ।

বাংলাদেশ লাং ফাউন্ডেশন ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কম্যুনিকেবল ডিজিস সেন্টার যৌথভাবে প্রতি ব্যাচে ২ জন করে প্রশিক্ষকের মাধ্যমে দুই দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণ সেশন চালিয়ে নিচ্ছেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনা ভাইরাসের বিবরণ, লক্ষণ, শনাক্ত ও কেস ভিত্তিক চিকিৎসার উপায়সহ ব্যক্তিগত সুরক্ষা এবং সংক্রমণ প্রতিরোধ, চেস্ট রেডিওলজি এবং রোগ নির্ণয়ের জন্য ইমেজিংয়ের ব্যবহার, আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়িতে চিকিৎসা ও করোনা পরবর্তী জটিলতা মোকাবিলা সম্পর্কে সম্মুখ জ্ঞান নিশ্চিত করা এই প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য।

প্রথম পর্যায়ের প্রশিক্ষার সুফলের পর, প্রকল্পটি আজ, ৪ মে থেকে এর পরবর্তী ব্যাচের প্রশিক্ষা কর্মূসূচি শুরু করেছে। আরও ছয় ব্যাচের  মাধ্যমে  এই হাসপাতালের মোট ৪০০ জন চিকিৎসক এবং নার্সদের আগামী কয়েক সপ্তাহের্ মধ্যে সম্পূর্ণভাবে তৈরি করতে প্রকল্পটি কাজ করবে।

বাংলাদেশ সরকারকে করোনা ভাইরাসের মহামারি মোকাবিলায়, ইউএসএআইডি সেভ দ্য চিলড্রেনের মাধ্যমে তার এই ইমার্জেন্সি রেসপন্স টু কোভিড-১৯ প্রকল্প পরিচালিত করছে। এর মাধ্যমে গত বছর থেকে বাংলাদেশি চিকিৎসক এবং চিকিৎসাসেবার সাথে সম্পৃক্ত অন্যান্য সম্মুখযোদ্ধাদের ক্লিনিকাল দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন পর্যায়ের সক্ষমতাবৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষার পাশাপাশি স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোকে চিকিৎসার জন্য উপযোগী করা, মাঠ পর্যায়ে জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি ও জাতীয় পর্যায়ে টিকা কার্যক্রমে বিভিন্নভাবে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরকার ইউএসএআইডি’র মাধ্যমে বাংলাদেশকে আট'শ কোটি ডলারেরও বেশি উন্নয়ন সহায়তা প্রদান করেছে। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বিভিন্ন অধিদপ্তরের মাধ্যমে বাংলাদেশের কোভিড-১৯ মোকাবিলায় ৫ কোটি ডলারের বেশি সহায়তা দিয়েছে। ২০২০ সালে ইউএসএআইডি বাংলাদেশের জনগণের জীবনমান উন্নয়নে ২০ কোটিরও বেশি ডলার প্রদান করেছে। ইউএসএআইডি বাংলাদেশে যে সকল কর্মসূচিতে সহায়তা দেয় সেগুলোর মধ্যে রয়েছে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও অনুশীলনের প্রসার, খাদ্য নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সুবিধাদির সম্প্রসারণ, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সেবার উন্নয়ন ও অভিযোজন এবং স্বল্প কার্বন উন্নয়নের মাধ্যমে জলবায়ুপরিবর্তন পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাওয়ানো।