উন্নয়ন-অধিকারসহ সকল মানবাধিকারের সুরক্ষায় গুরুত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৫তম অধিবেশনের আওতায় তৃতীয় কমিটির সাধারণ বিতর্কে অংশ নিয়ে মানবাধিকার সুরক্ষা ও অগ্রায়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবিচল প্রতিশ্রুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।

তিনি বলেছেন, ‘জন-কেন্দ্রিক’ ও ‘সমগ্র সমাজ কেন্দ্রিক’ দৃষ্টিভঙ্গি বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ তার জনগণের সকল মানবাধিকারের সুরক্ষা ও অগ্রায়নে কাজ করে যাচ্ছে।

• সামাজিক উন্নয়ন,
• নারী ও বালিকাসহ সকল নাগরিকের মানবাধিকার রক্ষা,
• আইনের শাসন এবং এ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহকে শক্তিশালীকরণ,
• সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস উগ্রবাদের মতো বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলা এবং
• সাইবার অপরাধ ও
• মাদকসহ অন্যান্য অপরাধ দমনে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করেছে, জাতিসংঘে তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।

বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ এর ফলে সৃষ্ট স্বাস্থ্য ঝুঁকি এবং চলমান আর্থ-সামাজিক কর্মকান্ডে এর সম্ভাব্য প্রভাব মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের নেওয়া ত্বরিত ও কার্যকর পদক্ষেপসমূহের কথা উল্লেখ করেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানায় নিউই্য়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধির কার্যালয়।

এতে বলা হয়, জাতিসংঘ মহাসচিব তৃতীয় কমিটিতে দাখিল করা বিভিন্ন প্রতিবেদনে মানবাধিকার রক্ষাসহ সামাজিক খাতে বাংলাদেশের অর্জনসমূহের যে স্বীকৃতি দিয়েছেন তা এই বক্তব্যে তুলে ধরেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি।

রাষ্ট্রদূত ফাতিমা রোহিঙ্গা সমস্যার বিষয়টিও এই কমিটিতে তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানের আলোকে এই সমস্যার সমাধানে তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান। রোহিঙ্গা বিষয়ে তৃতীয় কমিটিতে গৃহীতব্য রেজুলেশনে সমর্থন জানাতে সদস্য দেশসমূহের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

কোভিড-১৯ এর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, বৈশ্বিক এই মহামারির কারণে এসডিজি অর্জনের ক্ষেত্রে সৃষ্ট প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে তুলতে “প্রচলিত কার্যধারা”-এর বাইরে এসে সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে। 

কোভিড-১৯ এর কারণে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে অনুষ্ঠিত তৃতীয় কমিটির এই সভা সংক্ষিপ্ত আকারে এবং সামাজিক দূরত্ব অনুসরণ করে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে উল্লেখ করে স্থায়ী প্রতিনিধির কার্যালয়।