অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

বজ্র মানিক দিয়ে গাঁথা

২ মে সত্যজিৎ জন্মশতবর্ষে অন্তর্জাল আলাপন অপরাজেয় বাংলা`য়

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯:৫৮ পিএম, ১ মে ২০২১ শনিবার   আপডেট: ০১:০৪ এএম, ২ মে ২০২১ রোববার

সত্যজিৎ রায়ের জন্ম শতবর্ষ

সত্যজিৎ রায়ের জন্ম শতবর্ষ

কালজয়ী বাংলা চলচ্চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের জন্ম শতবর্ষে অন্তর্জাল আলাপনের আয়োজন করেছে মাল্টিমিডিয়া ওয়েব পোর্টাল অপরাজেয়বাংলা.কম। ‘বজ্র মানিক দিয়ে গাঁথা’ শিরোনামে রবিবার (২ মে) বাংলাদেশ সময় রাত ৯ টায় অপরাজেয় বাংলা’র অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ https://www.facebook.com/aparajeobangla থেকে লাইভ ব্রডকাস্ট হবে এই অনুষ্ঠান। এতে অতিথি থাকবেন ড. নাদির জুনাইদ। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক এবং বিশিষ্ট চলচ্চিত্র গবেষক ও তাত্ত্বিক।

অপরাজেয় বাংলার উদ্যোগে করোনাকালে সমাজে নানাবিধ ইস্যু, বিষয় ও ব্যক্তির কাজ-তৎপরতাকে ঘিরে কথাবার্তার আসর জমানোর আয়োজন ‘অন্তর্জাল আলাপন’। অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করবেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রাজীব নন্দী।

অতিথি ড. নাদির জুনাইদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের কৃতি প্রাক্তনী। কমনওয়েলথ স্কলারশিপ অর্জনের মাধ্যমে কিংস কলেজ, ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডন থেকে তিনি ফিল্ম স্টাডিজে এমএ ডিগ্রি অর্জন ছাড়াও অস্ট্রেলিয়া সরকারের এনডেভার স্কলারশিপ অর্জনের মাধ্যমে ফিল্ম স্টাডিজে পিএইচডি করেছেন ইউনিভার্সিটি অফ নিউ সাউথ ওয়েলস, সিডনি থেকে। তাঁর পিএইচডি থিসিসের বিষয়: বাংলাদেশ এবং পশ্চিম বাংলার রাজনৈতিক চলচ্চিত্র। এ পর্যন্ত তার লেখা পাঁচটি বই প্রকাশিত হয়েছে। তার নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন অ্যাকাডেমিক জার্নালে এবং সম্পাদিত বইয়ে। দেশের বিভিন্ন বাংলা এবং ইংরেজি জাতীয় দৈনিকে তিনি নিয়মিত কলাম লিখছেন।

আরও পড়ুন: স্মরণে সত্যজিৎ

এমন একটি সময় সত্যজিৎ রায়ের জন্ম শতবর্ষ এলো যখন করোনা নামের এক অদৃশ্য অণুজীবের ‘শাখা-প্রশাখা’ বিস্তারে পৃথিবী আজ স্তব্ধ। সভ্যতার ইতিহাসে কখনো কি আমরা এতবড় ‘গণশত্রু’র মুখোমুখি হয়েছি? ‘ঘরে বাইরে’ সকলের ‘সীমাবদ্ধ’ পরিসরে ‘চিড়িয়াখানা’র বন্দী জীবনে ক্যালেন্ডারে ঘুরে এলো সত্যজিত রায়ের জন্মশতবর্ষ। করোনার নিস্তরঙ্গ অবসাদের অনলাইন ‘জলসাঘর’ থেকে হাজির হবো আমরা। করোনায় এখন এমন এক অবস্থা, আমাদের নেই কোন ‘পরশপাথর’, নিজদুয়ারে খিল এঁটে বসে আছেন ‘দেবী’। এমনকি ‘জয়বাবা ফেলুনাথ’ বলে যতই হাপিত্যেশ করি না কেন, কোন ‘নায়ক’ নেই যে আমাদের বাঁচাবে। করোনাকে হালকা ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ হিসেবে নেয়ার সুযোগ নেই। করোনায় কতজন যে ‘মণিহারা’ হয়ে গেলেন, তার হিসেবে মেলা ভার। তাই আসুন, আর ক’টা দিন ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’কে ফুলে ফলে ভরে উঠতে দিই? প্রকৃতি ফিরে পাক তার নিজের ‘চারুলতা’! করোনার পরই বোঝা যাবে বিজ্ঞানীরা সত্যিই ‘শতরঞ্জ কে খিলাড়ি’। করোনা একবার বিদায় নিক, বোঝা যাবে মানুষ না ভাইরাস, এই দুইয়ের মধ্যে প্রমাণ হবে কে ‘কাপুরুষ-মহাপুরুষ’। তাই ‘মহানগর’ থেকে ‘পথের পাঁচালী’ সবই যেহেতু স্থবির, তাই ‘সদগতি’র ইচ্ছা না থাকলে আসুন ‘সোনারকেল্লা’ বা ‘কাঞ্চনজঙ্ঘা’য় বেড়ানোর আশা বাদ দিয়ে  দেখার চেষ্টা না করে ‘অপুর সংসার’এ ‘অপরাজিত’ থাকি। সমাজের চারপাশটা যখন ‘হীরক রাজার দেশে’র মত মনে হয়, তখন না হয় ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’এর মতো সরল কিছু গল্প শুনি! আমাদের এই ‘অভিযান’ সফল হোক, করোনাক্রান্তির ভয়াবহ ‘অশনি সংকেত’র মধ্যেও আমাদের এই প্রচেষ্টা। ‘পোস্টমাস্টার’-এর যুগ সেই কবেই শেষ, তাই ‘আগন্তুক’র মতো হাজির হবো আমরা আপনারই স্মার্টফোনে বা ল্যাপটপ-কম্পিউটারের মনিটরের ‘জনঅরণ্যে’। বেশি লম্বা সময় নয়, ঘণ্টা দেড়েকের মধ্যেই ঘটবে আলোচনার ‘সমাপ্তি’।

আজ এই করোনাকালে যদি জটায়ু থাকতেন, নিশ্চয়ই লিখতেন- ভয়ঙ্কর ভাইরাস! আর ক’টা দিন ঘরে বসে থাকলেই ভ্যানিস হবে ভাইরাস। মনমোহন মিত্র তো সেই কবেই বলে গিয়েছিলেন সভ্যতার সংকট। মহামারীর বুকে দুনিয়াজুড়ে ডাঃ অশোক গুপ্তরা লড়ছে। আমরা সত্যজিৎ রায়কে স্মরণ করবো তাঁরই অমর চরিত্রগুলোকে আজকের মহামারীর প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে। চোখ রাখুন ২ মে রবিবার, বাংলাদেশ সময় রাত ৯ টায় https://www.facebook.com/aparajeobangla এখানে।