অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

আরমানিটোলায় রাসায়নিকের গুদামের আগুনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪, দগ্ধ ২১

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১০:৫৪ এএম, ২৩ এপ্রিল ২০২১ শুক্রবার   আপডেট: ১২:৩২ পিএম, ২৩ এপ্রিল ২০২১ শুক্রবার

আরমানিটোলায় রাসায়নিকের গুদামের আগুন

আরমানিটোলায় রাসায়নিকের গুদামের আগুন

ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিটের প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় আরমানিটোলার একটি আবাসিক ভবনে রাসায়নিকের গুদামের আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আগুনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ জনে। আহত হয়েছেন অন্তত ২১ জন, তাদের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের ৩ জন কর্মী আছেন।

নিহত চারজনের একজনের নাম আক্তার সুমাইয়া আক্তার। সুমাইয়া ইডেন মহিলা কলেজের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। পরিবারের সঙ্গে চারতলায় থাকতেন। অচেতন অবস্থায় তাকে মিটফোর্ড হাসপাতালে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 

দ্বিতীয়জন ওই ভবনের নিরাপত্তা কর্মী রাসেল মিয়া। তার গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে ভবনটির চিলেকোঠা থেকে আরও দুই জনের মরহেদ উদ্ধার করে। তারা হলেন দোকান কর্মচারী রাসেল মিয়া এবং ওই ভবনে বেড়াতে আসা কবির নামের একজন।

এ ছাড়া আহত সবাইকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও মিডফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে ফায়ার সার্ভিস থেকে জানানো হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসেন জানান,  শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) রাত সোয়া ৩টার দিকে হাজি মূসা ম্যানশন নামের ছয়তলা আবাসিক ভবনের নিচতলার রাসায়নিক গুদামে আগুন লাগে। ভবনের ভেতরে আটকে পড়া বাসিন্দাদের বিভিন্ন ফ্ল্যাটের গ্রিল কেটে মই দিয়ে নামিয়ে আনা হয়। নিচতলা থেকে ধোঁয়া অন্য তলাতেও ছড়িয়ে পড়ায় অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন।

সকাল সোয়া ছয়টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এখন আর আগুন বাড়ার কোনো সম্ভাবনা বা হতাহতের আশঙ্কা নেই। ভবনের দ্বিতীয় থেকে ষষ্ঠ তলা পর্যন্ত খুঁজে দেখা হয়েছে। ভেতরে কেউ আটকা পড়া নেই। সবাইকে বের করে আনা হয়েছে।

আগুনের কারণ সম্পর্কে এখনও জানা যায়নি। এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি করা হবে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক।

এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ভবনের পাশের এটিএম বুথের নিরাপত্তারক্ষী বজলুর রহমান জানান, ভবনের নিচতলা ও দোতলার মাঝামাঝি জায়গায় সামনের দিকে বিকট শব্দ হয়। সামনে এসে দেখেন আগুন ধরে গেছে। 

তখন তিনি ও আরেকজন মিলে এই ভবনের কলাপসিবল গেটের তালা ভেঙে একজনকে বাইরে নিয়ে আসেন। এরপর ভেতরের দিকেও আগুন ধরে যাওয়ায় তারা সেখান থেকে সরে আসেন।