অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ভিডিও অপসারনের নির্দেশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০৬:০৩ পিএম, ৫ অক্টোবর ২০২০ সোমবার  

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনে যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, তা সামাজিক মাধ্যম থেকে অপসারন করতে বাংলাদেশ টেলি যোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন-বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি ভিডিওটি পেনড্রাইভ বা সিডিতে সংরক্ষণ করতেও বিটিআরসির চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সোমবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মোঃ মহি উদ্দিন শামীমের ভার্চুয়াল হাই কোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুলসহ বেশ কিছু আদেশ দেন। 

এ ঘটনায় করা মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নির্যাতিত নারী ও তার পরিবারকে সব ধরনের নিরাপত্তা দিতে নোয়াখালীর পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। দুস্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কোন অবহেলা আছে কি না কিংবা নিরাপত্তায় কোন অবহেলা ছিল কি না  তা অনুসন্ধানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নোয়াখালীর অতিরিক্ত  জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের  একটি কমিটি করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এই কমিটি আইনী ব্যবস্থা নিতে কোন গাফিলতি ছিল কি না তা খতিয়ে দেখবে।  
 
কমিটিকে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে হাই কোর্টের রেজিস্ট্রারের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা বলা হয়েছে। জেলার সমাজ সেবা কর্মকর্তা ও চৌমুহনী সরকারি এস এ কলেজের অধ্যক্ষকে কমিটিতে রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের একটি গ্রামে এক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করা হয়। নির্যাতনের দৃশ্য ভিডিও মোবাইলে ধারণ করা হয়। পরে ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেওয়া হলে, ঘটনাটি সবার নজরে আসে। এক মাসেরও বেশি সময়ের আগের এই ঘটনার ভিডিও রোববার ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর তীব্র ক্ষোভ দেখা দেয়। নির্যাতনকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি আসে বিভিন্ন মহল থেকে। 

ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন যুবক একজন নারীকে বিবস্ত্র করে মারধর করছে। পা দিয়ে একজন ওই নারীর মুখ চেপে ধরেছে। বার বার আকুতি জানানোর পরও নির্যাতন করা বন্ধ করেনি তারা।

নির্যাতনের শিকার ওই নারী রবিবার দিবাগত রাতে বেগমগঞ্জ থানায় দুটি মামলা করেন। একটি মামলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে, অন্যটি পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে। দুই মামলাতেই ৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারের নারী উল্লেখ করেন, ঘটনার দিন প্রথমে তার স্বামীকে বেঁধে রাখা হয়। পরে আসামিরা তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। সে সময় এ ঘটনার ভিডিওচিত্র ধারণ করা হয়। গত একমাস ধরে তাকে ওই ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে অনৈতিক কাজের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল আসামিরা। তাতে রাজি না হওয়ায় ভিডিও ছেড়ে দেওয়া হয়।

এ ঘটনায় হওয়া মামলার প্রধান আসামি বাদলসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া বাকি তিনজন হলেন দেলোয়ার, রহমত উল্লাহ ও আবদুর রহিম।