অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

ইউজিসির অভিন্ন নীতিমালা প্রত্যাখ্যান কুবি শিক্ষক সমিতির

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট, কুবি

প্রকাশিত: ০৩:১৩ পিএম, ১৬ এপ্রিল ২০২১ শুক্রবার  

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) প্রণীত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য অভিন্ন নিয়োগ ও পদোন্নতির নির্দেশিকাটি স্বায়ত্তশাসন, উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার পরিপন্থী আখ্যা দিয়ে প্রত্যাখ্যান করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো. শামীমুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দীন স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশিকাকে উচ্চশিক্ষাকে হুমকির মুখে ফেলে দেওয়ার অপচেষ্টা আখ্যা দিয়ে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি রাজনৈতিক ও আদর্শিক সিদ্ধান্ত। অভিন্ন নীতিমালা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সেই স্বায়ত্তশাসনের ওপর চূড়ান্ত আমলাতান্ত্রিক হস্তক্ষেপ বলে বিশ্বাস করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিল শিক্ষক নিয়োগ, পদোন্নয়ন ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যুগোপয়োগী ও মানসম্মত শর্ত ঠিক করবে এটাই কাম্য।

এতে আরও বলা হয়, নীতিমালা প্রণয়নে শিক্ষক প্রতিনিধি না রেখে, শিক্ষকদের মতামত না নিয়ে, ইউজিসি তার কর্মপরিধির বাহিরে গিয়ে অভিন্ন নিয়োগ ও পদোন্নতির নীতিমালা প্রণয়ন করেছে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের মানোন্নয়নকে নিয়ন্ত্রণ করার একটি সুক্ষ্ম প্রয়াস। নীতিমালাটি শিক্ষামন্ত্রণালয় ও ইউজিসি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে যেটি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি কখনই মেনে নেবে না। অধিকন্তু, দেশের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় উত্তরোত্তর উন্নয়নের নিমিত্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের গবেষণা বরাদ্দ বৃদ্ধি ও স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো তৈরি করা প্রয়োজন।

অনতিবিলম্বে অভিন্ন শিক্ষক নিযয়োগ ও পদোন্নতির নীতিমালাটি প্রত্যাহারের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির কাছে জোর দাবি জানায় সংগঠনটির নেতারা। এছাড়া ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন, উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার অন্তরায় কোন নীতিমালা ও নির্দেশিকা প্রণয়ন না করার অনুরোধও জানান তারা।

গত ১৮ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন কর্তৃক প্রনীত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য অভিন্ন নিয়োগ ও পদোন্নতির নীতিমালা সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুমোদিত হয়।