অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

চলে গেলেন সাবেক মন্ত্রী আবদুল মতিন খসরু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০৫:২২ পিএম, ১৪ এপ্রিল ২০২১ বুধবার   আপডেট: ০৭:৫১ পিএম, ১৪ এপ্রিল ২০২১ বুধবার

চলে গেলেন সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরু

চলে গেলেন সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরু

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সাবেক আইনমন্ত্রী ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি আবদুল মতিন খসরু মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহী ওয়া ইন্না ইলাইহী রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।

সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসা চলছিল তার। গতকাল মঙ্গলবার অবস্থার অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়। তার জুনিয়র (সহকারী আইনজীবী)ও ভাগ্নে তাসলিম আহমেদ খান মৃত্যুর এই খবর গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

আবদুল মতিন খসরু মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।বুধবার (১৪) এপ্রিল বিকালে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক শোক বার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, ‘একজন বিজ্ঞ আইনজীবী ও জনমানুষের নেতা হিসেবে মতিন খসরু চিরদিন মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন। দেশের আইন ও বিচার ব্যবস্থার উত্তরণে তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।’

**একজন জননেতা ও ন্যয়বিচার প্রতিষ্ঠায় দক্ষ সৈনিককে হারালাম

গত ১৫ মার্চ সংসদ সচিবালয়ে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন প্রাজ্ঞ এই আইনজীবী। ১৬ মার্চ সকালে তার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। ওই দিনই তাকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিন খসরু কুমিল্লা-৫ আসনে পাঁচবারের সংসদ সদস্য। ১৯৯৬-২০০১ আওয়ামী লীগ সরকারে তিনি আইনমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি আইনমন্ত্রী থাকাকালে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মম হত্যার বিচারের ব্যবস্থা করেন।

দশমের পর ও একাদশ জাতীয় সংসদে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

১৯৯১ সালে পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে তিনি কুমিল্লার বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা (বর্তমানে কুমিল্লা-৫) নিয়ে গঠিত ওই বছর তিনি প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৯৬, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনেও তিনি জিতে সংসদে আসেন।

১৯৫০ সালে ১২ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মিরপুর গ্রামে জন্ম নেয়া এই রাজনীতিক ১৯৮২ সালের ১৩ জুলাই আইনজীবী হিসেবে অন্তুর্ভুক্ত হন। ১৯৯০ সালের ১১ জুলাই সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সদস্য পদ লাভ করেন তিনি।

আইনজীবীদের মধ্যেও ব্যাপক জনপ্রিয় ছিলেন মতিন খসরু। ২০১২ সালের ১৮ জুলাই বাংলাদেশ বার কাউন্সিল নির্বাচনে তিনি সর্বোচ্চ সংখ্যক ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন এবং ২০১৫ সালে পুনরায় বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন।

বার কাউন্সিল এর সদস্য থাকাকালে তিনি আইনজীবীদের কল্যাণে ১৫ তলা একটি আধুনিক ভবন নির্মাণের পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।

আইনমন্ত্রী থাকাকালে বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় বাংলাদেশ লিগ্যাল অ্যান্ড জুডিশিয়াল ক্যাপাসিটি বিল্ডিং প্রজেক্ট নামে দুইশ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেন।

তিনি ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন এবং কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ছিলেন।