অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

ব্যাংক চালু রাখতে চায় সরকার, সিদ্ধান্ত জানাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০৫:০২ পিএম, ১৩ এপ্রিল ২০২১ মঙ্গলবার   আপডেট: ০৫:০৮ পিএম, ১৩ এপ্রিল ২০২১ মঙ্গলবার

সীমিত আকারে হলে ব্যাংক চালু রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে মন্ত্রিপরিষদের চিঠি

সীমিত আকারে হলে ব্যাংক চালু রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে মন্ত্রিপরিষদের চিঠি

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে জারি করা কঠোর বিধিনিষেধে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ দিলেও এখন ব্যাংক চালু রাখতে চায় সরকার। অন্তত সীমিত আকারে হলেও।

সোমবার (১২ এপ্রিল) সরকারের প্রজ্ঞাপনের পর কেন্দ্রীয় ব্যাংক কেবল বন্দর এলাকার ব্যাংক ছাড়া বাকিগুলো এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে। পাশাপাশি আর্থিক সেবা দেওয়া ব্যাংকের সব উপ-শাখা, বুথ ব্যাংকিং, এজেন্ট ব্যাংকিং সেবাও বন্ধ থাকবে বলে জানায়।

কিন্তু এ নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠার পর মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে ব্যাংক খোলা রাখার নির্দেশ দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছে চিঠি পাঠিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন তাদের সিদ্ধান্ত জানাবে।

সরকার এই এক সপ্তাহে সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ ঘোষণা করলেও জরুরি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো চালু থাকবে। ব্যাংক খাতকে জরুরি সেবা হিসেবেই ধরা হয়।

করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে গত ৫ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের জন্য বাইরে জনসমাগমে বিধিনিষেধের মধ্যে ব্যাংক খোলা ছিল আড়াই ঘণ্টার জন্য। সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চলেছে লেনদেন। এরপর কঠোর বিধি নিষেধের আগের দুই দিন সোমবার সকাল ১০টা থেকে দেড়টা আর মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল তিনটা পর্যন্ত লেনদেন চলে।

সে হিসেবে মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) ছিল ব্যাংকের শেষ কার্যদিবস। তাই দিনভর রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার ব্যাংকগুলোতে গ্রাহকের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে। বেশির ভাগ ব্যাংকেই বাইরে ছিল গ্রাহকের লম্বা লাইন। বেশির ভাগ গ্রাহককেই ঘন্টাখানেকের ওপর লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। বেলাবাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভেতরেও তৈরি হয় গ্রাহক জটলা। 

এদিকে এক প্রজ্ঞাপনে বাংলাদেশ ব্যাংক আগেই জানিয়েছে, ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল ব্যাংক বন্ধ থাকার কারণে এ সময়ে ব্যাংকগুলোর এটিএম বুথ থেকে দিনে এক লাখ টাকা পর্যন্ত তোলা যাবে। এ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক এক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। বর্তমানে বেশির ভাগ ব্যাংকের কার্ড দিয়ে দিনে ৫০ হাজার টাকা ও কিছু ব্যাংক থেকে বেশি টাকা করা যায়।