অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

মানববন্ধনে ওলামা লীগের দাবি

মসজিদে তারাবি, ইফতারি বন্ধ হলে ধর্মপ্রাণ মুসলমান ক্ষুব্ধ হয়ে উঠবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০২:০৬ পিএম, ১৩ এপ্রিল ২০২১ মঙ্গলবার   আপডেট: ০৩:০১ পিএম, ১৩ এপ্রিল ২০২১ মঙ্গলবার

“তথাকথিত লকডাউন জারি রাখলে ৭৪ এর ন্যায় দুর্ভিক্ষ হবে। লকডাউনের অজুহাতে তারাবিহ, ইফতারি, মসজিদ বন্ধ রাখলে ধর্মপ্রাণ মুসলমান ক্ষুব্ধ হয়ে উঠবে। বিএনপি-জামাত-হেফাজত লকডাউনের উস্কানি দিয়ে সরকারের পতন ঘটাতে চায়। দেশ জাতি ও সরকারের স্বার্থে তাই লকডাউন প্রত্যাহার করতে হবে।”

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় এক বিশাল মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগসহ সরকারের পক্ষে ১৩টি সমমনা ইসলামি দল সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলছেন। 

তারা বলেন, জনবিচ্ছিন্ন দল বিএনপি বলেছে, সরকার সময়মতো লকডাউন না দেওয়ায় পরিস্থিতির অবনতি। (সুত্র: ১১ই এপ্রিল ২০২০) বিএনপি আরো বলেছে, সরকারের অব্যবস্থাপনায় কার্যকর হচ্ছে না লকডাউন। বিএনপির ফখরুল বলেছে, কঠোর লকডাউন দিন।

বক্তারা বলেন, লকডাউনের পক্ষে বিএনপি-জামাত-হেফাজতের কথা প্রকাশ্য ষড়যন্ত্র। বিএনপি জামাত এবং ’মুনাফেক’ কওমী মওলানা গোষ্ঠী ও ধর্মব্যবসায়ী মালানাদের সব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে অবিলম্বে আত্মঘাতি লকডাউন তুলে দিতে হবে। লকডাউন কোনো সমাধান না। লকডাউন দিয়ে দেশের অর্থনীতি ও জনগনের ক্ষতির কোনো মানে হয় না। লকডাউন দিয়ে কোনো সমাধানে পৌছানো যাবে না।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিএনপি জামাত-হেফাজত চায় লকডাউনের নামে দেশের মানুষকে না খাইয়ে মারতে। দেশে ৭৪ এর মত দুর্ভিক্ষ তৈরি করতে। মসজিদে জামাত, তারাবিহ, ইফতারি বন্ধ করে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তুলতে। সর্বোপরি লকডাউনের মাধ্যমে দেশে মহাঅস্থিতিশীল পরিবেশ, অরাজকতা তথা বিশৃঙ্খলা তৈরি করে বর্তমান মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকারের পতন ঘটাতে।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, করোনা ভাইরাস সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, করোনা ভাইরাস নিয়ে কোন প্যানিক তৈরি করবেন না। তারা প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতি তুলে ধরেন।

- করোনার ভয়ে মানুষকে না খাইয়ে মারতে পারি না: প্রধানমন্ত্রী (১৯ মার্চ, ২০২০-শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষ) 

পাশাপাশি ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক  এবং তথ্যমন্ত্রীর বহু বিবৃতিতেও বিএনপি যে উদ্দেশ্যমূলক ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে লকডাউন চাচ্ছে সে বিষয়টি ফুটে উঠেছে, বলেন বক্তারা। তথ্যমন্ত্রীর উদ্ধৃতিগুলোও বক্তব্যে তুলে ধরা হয়।
- সারা দেশে লকডাউন দীর্ঘায়িত করতে চায় বিএনপি -তথ্যমন্ত্রী। খেটেখাওয়া মানুষের কথা ভাবে না বলেই ‘লকডাউন’ প্রলম্বিত করতে চায় বিএনপি -তথ্যমন্ত্রী (প্রথম আলো, ১১ .৫.২০), 
- করোনা নিয়ে বিএনপি জনগণকে আতঙ্কিত করছে -তথ্যমন্ত্রী (কালের কণ্ঠ ১১.৫.২০), 
- খেটে খাওয়া মানুষের কথা ভাবে না বিএনপি -তথ্যমন্ত্রী (বাংলাদেশ প্রতিদিন ১১.৬.২০)

বক্তারা বলেন, লকডাউনের বিরুদ্ধে সারা দেশের মানুষ ক্ষেপে উঠেছে। কারণ লকডাউনে তারা না খেয়ে মরছে। বাংলাদেশের দোকান মালিক সমিতির নিজস্ব হিসাবে সারা দেশে গত বছরের লকডাউনে ৫৩ লাখ ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠানের দৈনিক ক্ষতি হয়েছে প্রায় এক হাজার ৭৪ কোটি টাকা। এদের পুজির পরিমাণ ৫০ হাজার  টাকা থেকে এক লাখ টাকা। গত করোনায় লকডাউনে তারা সব পুজি নষ্ট করেছেন। এই ক্ষুদ্র ব্যবসা খাতের উদ্যোক্তারা কোনোও প্রণোদনা পাননি। এবারো পাবেনা। দেশের গোটা জনসাধারণ লকডাউনের বিরুদ্ধে। লকডাউনের কারণে পত্রিকায় হেডিং হচ্ছে-

* বাংলাদেশের লকডাউনকে অবৈজ্ঞানিক মনে করছে বিশেষজ্ঞরা। (ঢাকা ট্রিবিউন, ০৬-০৪-২০২১)
* লকডাউনের প্রতিবাদে দোকান-মালিক-কর্মচারীদের বিক্ষোভ। (ঢাকা ট্রিবিউন, ০৫-০৪-২০২১)
* ‘লকডাউন মানি না, মানবো না’ সেøাগানে রাস্তায় কুমিল্লার ব্যবসায়ীরা। (সমকাল, ০৫-০৪-২০২১)
* লকডাউনে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন দুধের গরু খামারীরা। (আলোকিত বাংলাদেশ, ০৮-০৪-২০২১)
* লকডাউনে দেশীয় পোশাক বাজারের ক্ষতি। (ডিসিবি নিউজ, ০৫-০৪-২০২১)
* হঠাৎ লকডাউনে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত। (ঢাকা পোস্ট, ০৪-০৪-২০২১)
* লকডাউনের প্রতিবাদে ঢাকায় ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ। (মানবজমিন, ০৬-০৪-২০২১)

সমাবেশে বক্তারা বলেন, প্রতিদিন লকডাউনে দেশের ক্ষতি হয় ৫ হাজার কোটি টাকা। রফতানি সংশ্লিষ্ট খাত সব ধ্বংস হয়ে যায়। কাজেই জনগণ ও দেশের স্বার্থবিরোধী লকডাউন এখনি উঠিয়ে দিতে হবে।

ইতোমধ্যে লকডাউন পালন করতে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা বহিনীর উপর জনগনের আক্রমনের খবরও পত্রিকার শিরোনাম হয়েছে। যা উঠে আসে লিখিত বক্তৃতায়- ফরিদপুরে থানা ও সরকারি স্থাপনায় ‘উত্তেজিত জনতার আগুন’। (বিডিনিউজ২৪.কম ০৫-০৪-২০২১)। লকডাউনে দোকান বন্ধ করতে বলায় খুন হন আনসার সদস্য। (প্রবাসীর দিগন্ত ১১-০৩-২০২১)

সমাবেশে বক্তারা বলেন, লকডাউনে অতিষ্ট হয়ে এভাবে সাধারণ মুসলমানকে বিভ্রান্ত করে বিএনপি জামাত হেফাজত দেশের আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটিয়ে সরকার পতনের ষড়যন্ত্র করার বিশেষ সুযোগ নিবে। কাজেই সরকারকে সতর্ক হয়ে লকডাউন প্রত্যাহার করতে হবে।

বক্তারা বলেন, পবিত্র রমজান মাসে অনেক ধর্মপ্রাণ সাধারন মানুষ ও গরীব মুসলমান মসজিদে আয়োজিত ইফতারে শরিক হন। এবার মসজিদে ইফতারি বন্ধ করলে তারা সারাদিন রোজা রাখার পরও ইফতারিপাবেনা। বক্তারা বলেন, সারাদেশে লাখ লাখ হাফেজ রয়েছে খতমে তারাবিহ পড়িয়ে তাদের সারা বছর চলে। পাশাপাশি সাধারন মুসলমান মসজিদে খতমে তারাবিহ পড়ার মাধ্যমে পবিত্র কুরআন শরীফ তিলাওয়াত শুনে থাকে। কিন্তু লকডাউনের নামে তা বন্ধ করলে সাধারণ মুসলমানের দ্বীনি অনুভূতিতে আঘাত হানবে। বর্তমান সরকারকে ইসলাম বিরোধী ও বিদ্ধেষী প্রচার করতে বিএনপি, হেফাজত, জামাত-শিবির সুযোগ নিবে।

বক্তারা বলেন, করোনা ভাইরাস দেয়ার এবং তা থেকে রক্ষার মালিক মহান আল্লাহ পাক তিনি। সম্মানিত মসজিদে গেলে মাস্ক পড়তে হবে- এ প্রচারণার অর্থ সম্মানিত মসজিদে গেলে করোনা হয়। অথচ সম্মানিত মসজিদ মহান আল্লাহ পাক উনার ঘর তথা রহমতের ঘর। কাজেই সম্মানিত মসজিদের সম্মান রক্ষার্থে মসজিদে মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক করা যাবেনা। নামাযের মধ্যে মুখমন্ডল খোলা রাখার নির্দেশ রয়েছে। নামাযের মধ্যে চেহারা ঢেকে রাখলে নামায মাকরুহ হয়। আর নামাযে মাকরুহ তাহরীমি হলে নামায দোহরায়ে পড়া ওয়াজিব। কাজেই মাস্ক পড়লে বা মুখমন্ডল ঢাকলে নামায হবে না। কাজেই পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র সুন্নাহ শরীফ বিরোধী কোনো আইন পাশ হবেনা- এ নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির সরকারের ধর্ম মন্ত্রণালয় শরীয়তবিরোধী কাজ মাস্ক পড়ার নির্দেশ অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।

বক্তারা বলেন, বিএনপি জামাতের সুরে সুর মিলিয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাবেক দুর্নীতিবাজ ডিজির আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত বর্তমান জামাতী মালানা, মুফতী, মুহাদ্দিস, মুনাফেক কওমী মালানা এবং ধর্মব্যবসায়ী মালানারা করোনাকে ছোঁয়াচে ও মহামারী বলে ফতোয়া দিয়েছে এবং সরকারকে লকডাউন ঘোষণা করতে বাধ্য করেছে। অথচ খোদ ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, তিরমিযী শরীফ, আবূ দাউদ শরীফ, ইবনে মাজাহ শরীফের বাংলা অনুবাদে উল্লেখ আছে “সংক্রমণ বা ছোঁয়াচে রোগ বলতে যে কোন কিছু নেই”। সংক্রামক বা ছোঁয়াচে রোগ বলে বিশ্বাস করা কাট্টা কুফরী ও শিরকীর অন্তর্ভুক্ত। ইসলামিক ফাউন্ডেশন নিজেই নিজের প্রকাশিত অসংখ্য কিতাবের বিরুদ্ধে ফতওয়া প্রকাশ করে চরম মূর্খতার ও স্ববিরোধীতা এবং প্রতারণার ও ষড়যন্ত্রের পরিচয় দিয়েছে।

বক্তারা বলেন, ধর্মব্যবসায়ী মালানারা করোনাকে ছোঁয়াচে ও মহামারী বলে সরকারকে বিভ্রান্ত করছে এবং সরকারের উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ করার জন্য জামাতী এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে। করোনার অজুহাতে পবিত্র মসজিদ ও মাদরাসা বন্ধ করা, ফাঁক ফাঁক করে নামাজে দাড়ানো, ৫ জনের বেশি মুছল্লী না হওয়া, মাঠে ঈদের জামায়াত করতে না দেয়া ওহাবী-জামাতপন্থীদের ষড়যন্ত্রমূলক ফতওয়া; যা সম্পূর্ণ কুফরী হয়েছে। দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমান এতে সরকারের প্রতি যারপরনাই ক্ষুব্ধ হচ্ছে। এটা জামাতী ওহাবীদের ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র, অবিলম্বে তা প্রত্যাহার করতে হবে।

* সমাবেশে বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগ ততবারই নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করেছে যতবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ বিরোধী কোনো আইন হবেনা। অথচ বর্তমান ধর্ম মন্ত্রণালয় সুস্পষ্টভাবে এ নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে এবং চরম ধৃষ্টতা দেখিয়েছে (নাউযুবিল্লাহ)। কারণ কুরআন শরীফ, সুন্নাহ শরীফ ইজমা ক্বিয়াস এবং সমূহ তাফসীর  ও ফিক্বাহর কিতাব অনুযায়ী নামাজের মধ্যে পুরুষের তো অবশ্যই এমনকি মহিলাদেরও মুখমন্ডল খোলা রাখতে হয়। অথচ মাস্ক পড়লে মুখমন্ডল ঢেকে যায়। তাতে নামাজ আদায় হয়না। অথচ গত ৬ই অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে তিনি সকালে উঠে সবার আগে নামায পড়ার জন্য জায়নামায খুজেন। কিন্তু ধর্মমন্ত্রণালয়ের এ আদেশের কারণে দেশের ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের নামায নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কাজেই মাস্ক পড়ার ক্ষেত্রে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এ কুফরী নির্দেশ অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।

বক্তারা বলেন, মসজিদে মাস্ক পড়ে যেতে হবে এ কথার অর্থ হলো মসজিদে গেলে করোনা হয়। মসজিদে গেলে মাস্ক পড়ে যেতে হবে একথা দ্বারা মুসল্লীদের মনে মসজিদ সম্পর্কে করোনা আতঙ্ক তৈরী করে দেয়া হয়। অথচ মসজিদ হচ্ছে মহান আল্লাহ পাক উনার ঘর। যেখানে অবারিত রহমত নাযিল হয়। তাই মসজিদে গেলে উল্টো করোনা সেরে যায়। সারা বিশ্বে ঢাকা মসজিদের শহর হিসেবে সুবিখ্যাত। কাজেই মসজিদ সম্পর্কে মিথ্যা আতঙ্ক তৈরী করা যাবেনা। মসজিদে প্রবেশে মাস্ক বাধ্যতামূলক করা যাবেনা। ধর্ম মন্ত্রণালয়ে অধর্ম তথা অনৈসলামিক ফতোয়া অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।

সমাবেশ ও মানববন্ধনে সমন্বয় করেন, বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের সভাপতি- মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্জ মাওলানা মুহম্মদ আখতার হুসাইন বুখারী। বক্তব্য রাখেন- সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্জ কাজী মাওলানা মুহম্মদ আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী, সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদের সভাপতি- আলহাজ্জ হাফেজ মাওলানা মুহম্মদ আব্দুস সাত্তার, কার্যকরী সভাপতি- বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ। আওয়ামী ওলামা লীগের সহসভাপতি, হাফেয মাওলানা মুহাম্মাদ মোস্তফা হোসেন চৌধুরী (বাগেরহাটের হুজুর), সহ সভাপতি- মাওলানা মুহম্মদ শোয়েব আহমেদ গোপালগঞ্জী,  সাংগঠনিক সম্পাদক- হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল জলিল, মাওলানা মুহম্মদ আব্দুস সবুর মিয়া (রানীপুরা) সহ-দপ্তর সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ, রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ। হাফেজ ক্বারী মুহম্মদ শাহ আলম ফরাজী, হাফেজ মুহম্মদ আব্দুল বারী, কাজী অধ্যাপক মাওলানা মুহম্মদ নোমান চৌধুরী, হাফেজ মাওলানা মুহম্মদ আল আমীন, মাওলানা মুফতী মুহম্মদ আব্দুল গফুর, হাফিজ মাওলানা খালিদ হাসান, আলহাজ্জ মাওলানা মুহম্মদ রফিকুল ইসলাম সিদ্দীকি আল কুরাইশি, মাওলানা মুহম্মদ মোকাম্মেল হুসাইন চৌধুরী, ক্বারী মুহম্মদ মনিরুজ্জামান প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদ চেয়ারম্যান- আলহাজ্জ হাফেজ মাওলানা মুহম্মদ আব্দুস সাত্তার।