দারিদ্র বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০ শতাংশে: বিশ্বব্যাংক
সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: ০৯:৫৩ এএম, ১৩ এপ্রিল ২০২১ মঙ্গলবার
ছবি: সংগৃগীত
বাংলাদেশে দারিদ্র ফের মোট জনসংখ্যার ৩০ শতাংশ পৌঁছেছে। কোভিড-১৯ এর কঠোর আঘাতে এই দশা সৃষ্ট হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের সোমবার (১২ এপ্রিল) প্রকাশিত প্রতিবেদনে একথা বলা হয়েছে।
পারিবারিক আয় বাড়ানো ও দারিদ্র কমিয়ে আনার ধারাবাহিক অগ্রগতি গত দুই দশক ধরে বজায় রেখে আসছিলো দেশ, যা এখন এই মহামারি ঝুঁকিতে ফেলে দিয়েছে, বলা হয়েছে প্রতিবেদনে।
কাজের সুযোগ ও আয়ের ওপর কোভিড-১৯ মহামারি বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে এবং তাতে দারিদ্রসীমায় ঢুকে পড়েছে ৩০ শতাংশ জনগোষ্ঠী।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০১৯ সালের হিসাব মতে, বাংলাদেশের জাতীয় দারিদ্র হার ছিলো ২০.৫ শতাংশ। মাত্র এক বছরে তা ১০ শতাংশ বেড়ে গেছে।
বিশ্বব্যাংকের সংজ্ঞা অনুযায়ী ১.৯ ডলার ব্যয়ে যাদের দৈনিক জীবিকা নির্বাহ করতে হয় তারাই দরিদ্র।
২০২০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত একটি ফোন-ভিত্তিক জরিপের প্রসঙ্গ টেনে বিশ্বব্যাংক জানায় এই সময়ে দেশের অর্থনৈতিকভাবে সক্রিয় প্রতি ৫ জনের মধ্যে ১ জনই ছিলেন কর্মহীন, নয়তো দীর্ঘ সময় ধরে কাজের বাইরে। কোভিড-১৯ সঙ্কটই ছিলো যার মূল কারণ।
এই সময় কাজ রয়েছে এমন ব্যক্তিদের ৫১ শতাংশই জানিয়েছেন তাদের আয় কিংবা মজুরি বন্ধ হয়ে গেছে। জরিপের সময়টিতে ৫৪ শতাংশ উত্তরদাতা তাদের খাবার ফুরিয়ে যাওয়ার আশঙ্কার কথা বলেছেন। ৪১ শতাংশ বলেছেন তারা প্রিয় খাবারগুলো খাওয়া বন্ধ করেছেন, ৩২ শতাংশ বলেছেন, তাদের অর্থ ও খাদ্য উভয়ই ফুরিয়ে গেছে।
তবে পরবর্তী জরিপে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি নাগাদ শহরু কাজগুলো ফেরত পাওয়ার ঘটনা ঘটছিলো, বলে দেখতে পেয়েছে বিশ্বব্যাংক।
এতে দেখা যায় ২০২০ সালের জুনে বয়ষ্কদের সাপ্তাহিক কাজ পাওয়ার মাত্রা যেখানে ৫০ শতাংশে নেমে গিয়েছিলো ২০২১ এর ফেব্রুয়ারিতেত তা ৬৬ শতাংশে উঠে আসে। এই হার ঢাকায় ছিলো ৬৯ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৬২ শতাংশ।