অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

রাজস্থানের বোলিং হতাশায় খরুচে মোস্তাফিজ

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:১৯ পিএম, ১২ এপ্রিল ২০২১ সোমবার  

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএলে) বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে সাকিব আল হাসানকে নিয়ে মাতামাতি ছিলো বেশি। মোস্তাফিজকে নিয়ে তেমন কোন কথাই বের হয়নি বিশ্লেষকদের মুখে। অথচ রাজস্থান রয়েলসের প্রথম ম্যাচেই দেখা মিললো কাটার মাস্টারের।

কিভাবে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে মোস্তাফিজ একাদশে আসলেন সেটাও অবশ্য একটা রহস্য। কারণ আগে জানানো হয়েছিল কোয়ারেন্টাইনের সময় শেষ না হওয়ায় প্রথম ম্যাচে তো খেলবেনই না সন্দেহ আছে দ্বিতীয় ম্যাচে তাকে পাওয়া নিয়েও। রহস্য যাই থাকুক একাদশে ফিজকে দেখে নিশ্চয়ই খুশি হয়েছেন বাংলাদেশি দর্শকরা৷ 

সে খুশি আরও বেশি হতে পারতো যদি রাজস্থানের অধিনায়ক সানজু স্যামসন রিভিউটা নিতেন কিংবা জস বাটলার দৌড়ে না গিয়ে বেন স্টোকস ক্যাচটা ধরতেন। এই ইশ! উফ নিয়েই শেষ হয়েছে ফিজের ওভারগুলো। 

অন্যান্য অধিনায়ক ফিজকে পাওয়ার প্লের শেষ দিকে আনলেও স্যামসন তাকে ব্যবহার করলেন দ্বিতীয় ওভারেই। দুর্দান্ত এক ইনসুইঙ্গারে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন মায়াঙ্ক আগারওয়ালকে। কিন্তু আম্পায়ার আউট দেননি, বল লেগ স্ট্যাম্পের বাইরে ভেবে রিভিউ নেননি। পরে দেখা যায় বল লাইনে তো ছিলই, স্ট্যাম্পেরও ছিল মাঝ বরাবর। সে ওভারের শেষ বলে শিভম দুবের মিস ফিল্ডিংয়ে চার খেয়ে মোট ১১ রান দেন মোস্তাফিজ। 

পরে পঞ্চম ওভারে আবারও তার হাতে বল তুলে দেন স্যামসন। এ ওভারটা বেশ ভালই করলেন ফিজ। গেইলের লং অন দিয়ে ভাসানো বলে চারসহ দিলেন মোট আট রান।

দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে গেইল-কেএল রাহুল মিলে যখন ঝড় তোলা শুরু করেন তখনই টি-টোয়েন্টির ফেরিওয়লাকে সাজঘরে পাঠান রিয়ান পারাগ। কিন্তু রন্দীপ হুদা এসে তারচেয়ে বেশি গতিতে রান তুলতে থাকেন।

এ জুটি থামাতেই ফিজকে আবারও বোলিংয়ে আনা হয়। প্রথম বলেই আসতে পারতো সাফল্য। কিন্তু লং অফে উড়ে যাওয়া বলটি মঠোবন্দি করতে পারেননি উল্টো দিক থেকে আসা জস বাটলার। অথচ সহজেই ক্যাচটি ধরতে পারতেন বেন স্টোকস। সে ওভারের চতুর্থ বলটা একটু বেশি বাইরে করায় ছক্কা হাঁকান কেএল রাহুল। ওভারে আসে ১১ রান। 

১৯ তম ওভারে নিজের শেষ ওভারটি করতে আসেন কাটার মাস্টার। আবারও তিনটি বল করলেন ভালো। কিন্তু আম্পায়ার জানালেন তৃতীয় বলটি নো বল। সে বলে ডিপ এক্সট্রা কাভার দিয়ে বাউন্ডারি পার করলেন রাহুল। সে ওভারের শেষ বলে তাকে চার মারেন শাহরুখ খান। অভিনেতা শাহরুখ ভেবে ভুল বুঝবেন না। ইনি পাঞ্জাবের হয়ে খেলেন।

শেষ ওভারে ১৫ রান সহ মোট ৪৫ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকলে বাংলাদেশি পেসার। দল ২০ ওভারে ২২১ রান দেয়া তা খুব বেশি মনে না হলেও পরের ম্যাচ খেলা নিয়ে শঙ্কায় পড়লেন ফিজ৷ 

পাঞ্জাবকে বড় স্কোর এনে দিতে ৫০ বলে ৯১ রানের ইনিংস খেলেন অধিনায়ক কেএল রাহুল। সবচেয়ে বিধ্বংসী ছিলেন অবশ্য মন্দীপ হুদা। চারটি বাউন্ডারি ও ছয় ছক্কায় মাত্র ২৮ বলে ৬৪ রান করেন এই ব্যাটসম্যান। দুজনের এমন কীর্তিতে আড়াল হয়ে যায় গেইলের ২৮ বলে ৪০ রানের ইনিংস। 

বোলিং হতাশার দিনে রাজস্থানের হয়ে ৩১ রান খরচায় তিন উইকেট নেন চেতন শাকারিয়া। নিজের আইপিএল অভিষেকটা রাঙিয়ে নিয়েছেন এই তরুণ। এছাড়া ৪১ রানের বিনিময়ে দুই উইকেট নেন ক্রিস মরিস।