অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

বাংলাদেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষণ দেখা গেছে: বিশ্বব্যাংক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০৪:১২ পিএম, ১২ এপ্রিল ২০২১ সোমবার   আপডেট: ০৪:৩৪ পিএম, ১২ এপ্রিল ২০২১ সোমবার

রফতানি বৃদ্ধি, বেশি পরিমাণ রেমিট্যান্স এবং চলমান টিকাদান কর্মসূচির জন্য বাংলাদেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর প্রাথমিক লক্ষণ দেখা যাচ্ছে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। 

সোমবার (১২ এপ্রিল) প্রকাশিত বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট-মুভিং ফরওয়ার্ড: কানেক্টিভিটি এন্ড লজিস্টিক টু স্ট্রেন্দেন কমপিটিটিভনেস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় বিশ্বব্যংক। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, কোভিড-১৯ এর কারণে দুই দশকে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ দারিদ্র হ্রাসের প্রবণতা নিম্নমুখী হয়েছে। তবে অর্থনীতি এখন পুনরুদ্ধার হচ্ছে। অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) শিল্প কারখানা খোলায় এবং রফতানি বাড়ায় এমনটা হয়েছে।  

সাম্প্রতিক গবেষণাগুলোতে দেখা যায়, ঢাকা ও চট্টগ্রামের শ্রম বাজার আগের মতো স্বাভাবিক হয়ে ওঠে। আস্তে আস্তে জীবিকা নির্বাহের সাথে সাথে দরিদ্র ও বস্তি অঞ্চলে খাদ্য সুরক্ষা উন্নত হয়েছে। 

বাংলাদেশ ও ভুটানের বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মের্সিং মিয়াং টেম্বন বলেন, কোভিড-১৯ এর ধাক্কা সত্তেও বাংলাদেশের অর্থনীতি ইতিবাচক অবস্থায় আছে। তবে সামনে করোনা ও টিকা পরিস্থিতি বাকিটা নির্ধারণ করবে। 

টিকাদান কার্যক্রম চলমান থাকলে সামনে বিনিয়োগ অব্যাহত থাকবে এবং বাজার চাহিদার ফলে রফতানিও বাড়বে। তাই মুদ্রাস্ফীতি ৫.৫ শতাংশে রাখার যে লক্ষ্যমাত্রা বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারণ করেছে তিা ঠিক থাকবে এবং বাৎসরিক জিডিপি ৬ শতাংশ স্পর্শ করবে। 

তবে বিশ্বব্যাপী আবারও করোনা সংক্রমণ বাড়ায় প্রতিবেদনে আশঙ্কার কথাও বলা হয়েছে। বলা হয়, যদি বৈশ্বিক অর্থনীতি আবারও ভঙ্গুর অবস্থায় যায় তাহলে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের চাহিদা কমবে এবং অভিবাসী শ্রমিকদের কাজের সুযোগও সীমাবদ্ধ হতে পারে। 

প্রতিবেদনে করোনায় সময়েও বাংলাদেশের অপরিশোধিত ঋণ. ব্যাংক ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনায় অদক্ষতার জন্য আর্থিক খাত ঝুঁকির মধ্যে আছে বলে উল্লেখ করা হয়।