অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

খালেদা জিয়া করোনাক্রান্ত, জানালো বিএনপি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০৪:৫৫ পিএম, ১১ এপ্রিল ২০২১ রোববার   আপডেট: ০৫:৩১ পিএম, ১১ এপ্রিল ২০২১ রোববার

বেগম খালেদা জিয়ার করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর এবার দলীয়ভাবে জানালো বিএনপি। গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক জরুরি ব্রিফিংয়ে বেগম জিয়ার করোনাক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এর আগে রবিবার সকাল থেকে খালেদা জিয়া করোনায় আক্রান্ত এমন খবর ছড়িয়ে পড়ে গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। গণমাধ্যমে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরাত দিয়ে খালেদা জিয়ার করোনাক্রান্তের খবর প্রকাশিত হয়।

এমনকি খালেদা জিয়ার করোনা টেস্ট রিপোর্টের একটি কপিও ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। কিন্তু বিএনপি’র তরফ থেকে সেসময় নিশ্চিত করে কিছু জানানো হয়নি।

পরে রবিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডাকেন বিএনপি মহাসচিব। সেখানে তিনি খালেদা জিয়ার করোনাক্রান্ত হওয়ার খবর নিশ্চত করে জানান, তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে। তার চিকিৎসা শুরু হয়েছে।

খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তির জন্য দলীয় নেতা-কর্মী এবং দেশবাসীকে দোয়া করার অনরোধ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব।

ব্যক্তিগত চিকিৎসক এফ এম সিদ্দিকীর অধীনে খালেদা জিয়ার করোনা চিকিৎসা শুরু হয়েছে বলে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তিনি সম্পূর্ণরূপে স্টেবল আছেন। ভালো আছেন। তার কোনো টেম্পারেচার নেই, অন্যকোনো উপসর্গও নেই। চিকিৎসা শুরু হয়েছে ইতোমধ্যে।'

বলেন, ‘আমি দেশবাসীকে আশ্বস্ত বরতে চাই যে, উনার যারা ব্যক্তিগত চিকিৎসক আছেন তারা বেশ বরণ্য চিকিৎসক। তাদের তত্ত্বাবধানে তিনি আছেন এবং তিনি ভালো আছেন।’

চিকিৎসকদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলেও জানান মির্জা ফখরুল। বলেন, ‘যদি কোনো প্রয়োজন হয়, সেই অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

জানা গেছে, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার অংশ হিসেবে বিএনপির চেয়ারপারসন গতকাল শনিবার (১০ এপ্রিল) নমুনা দেন। সেদিন রাতেই তার করোনা পজিটিভের রিপোর্ট জানানো হয়।

৭৫ বছর বয়সী  খালেদা জিয়া দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত। দণ্ড নিয়ে তিন বছর আগে তাকে কারাগারে যেতে হয়। দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর পরিবারের আবেদনে সরকার এক নির্বাহী আদেশে গত বছরের ২৫ মার্চ মানবিক বিবেচনায় শর্তসাপেক্ষে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়। তখন থেকে তিনি গুলশানের ভাড়া বাসা ফিরোজায় থেকে ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছেন।