অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

চলে গেলেন মিতা হক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১০:৪৯ এএম, ১১ এপ্রিল ২০২১ রোববার   আপডেট: ১১:২১ এএম, ১১ এপ্রিল ২০২১ রোববার

রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী মিতা হক

রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী মিতা হক

দেশের বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী মিতা হক আর নেই। রবিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৬টা ২০ মিনিটে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। 

করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন মিতা হক। তবে চারদিন আগে করোনা নেগেটিভ হয়েছিলেন তিনি। এরপর বাসায় আনা হলেও আবার কিডনি এবং করোনা-পরবর্তী সমস্যার কারণে শনিবার তাকে ভর্তি করা হয় রাজধানীর শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে। সেখানেই মৃত্যু হয় তার।

রবিবার বেলা ১১টার পরে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য তার মরদেহ ছায়ানটে নেওয়া হয়। দাফন করা হবে কেরানীগঞ্জের বড় মনোহারিয়ায়, বাবা-মায়ের কবরের পাশে। একুশে পদক পাওয়া এই শিল্পীর বয়স হয়েছিল ৫৯ বছর। 

মিতা হক পাঁচ বছর ধরে কিডনি রোগে ভুগছিলেন। নিয়মিত ডায়ালাইসিস নিয়ে ভালোও ছিলেন তিনি। কিন্তু এবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে মানসিক ও শারীরিকভাবে কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়েন। 

শোক-

মিতা হকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী মরহুমার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

মিতা হকের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। শোকবার্তায় তিনি জানান, মিতা হক তার গানের মধ্য দিয়ে এ দেশের রবীন্দ্রসংগীতপ্রেমীদের হৃদয়ে চিরকাল বেঁচে থাকবেন।

মিতা হকের জীবনী

মিতা হকের জন্ম ১৯৬২ সালে। সংগীত শিক্ষা শুরু চাচা ওয়াহিদুল হকের কাছে। পরে ওস্তাদ মোহাম্মদ হোসেন খান ও সনজীদা খাতুনের কাছে গান শেখেন। ১৯৭৭ সাল থেকেই বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারে সংগীত পরিবেশনা শুরু করেন তিনি।

মিতা হকের এককভাবে মুক্তি পাওয়া অ্যালবামের সংখ্যা ২৪টি। এর মধ্যে ১৪টি ভারত থেকে ও ১০টি বাংলাদেশ থেকে। সুরতীর্থ নামে একটি সংগীত প্রশিক্ষণ দল পরিচালনা করতেন তিনি। এ ছাড়া তিনি ছায়ানটের রবীন্দ্রসংগীত বিভাগের প্রধান ছিলেন এবং রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদের সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

২০১৬ সালে শিল্পকলা পদক লাভ করেন মিতা হক। সংগীতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ২০২০ সালে পান একুশে পদক।

মিতা হকের স্বামী অভিনেতা-পরিচালক খালেদ খান ২০১৩ সালের ২০ ডিসেম্বর মারা যান। এই দম্পতির একমাত্র কন্যাসন্তান ফারহিন খান জয়িতা।