অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

১০ বছরে ৪ গুন বেশি জাপানি কোম্পানির বিনিয়োগ বাংলাদেশে

বিশেষ সংবাদদাতা

প্রকাশিত: ০৬:১৫ এএম, ১১ এপ্রিল ২০২১ রোববার  

গত ১০ বছরে বাংলাদেশে বিনিয়োগকারী জাপানি কোম্পানির সংখ্যা চারগুন বেড়েছে। এই সংখ্যা আরো বাড়বে। এই জন্য বাংলাদেশে ব্যবসার পরিবেশ সুচকে আরও উন্নতি চায় জাপান। জাপান এক্সটার্নাল ট্রেড অরগানাইজেশন (জেট্রো) বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগের বিষয়ে আশাবাদী। বাংলাদেশের স্বল্পখরচে শ্রম এবং মাথাপিছু আয়ের উর্ধ্বগতি আর অব্যহত অভ্যন্তরীণ চাহিদা বৃদ্ধিই এর কারণ।

জাপানের বাণিজ্য কূটনীতিকরা মলে করেন, এ জন্য বাংলাদেশকে বিনিয়োগে বাধাগুলো সরিয়ে ডুয়িং বিজনেস সুচকে উন্নতি নিশ্চিত করতে হবে। 

বর্তমানে বাংলাদেশে ৩২১টি জাপানি ফার্ম তাদের ব্যবসা পরিচালনা করছে। ২০১০ সালে এর সংখ্যা ছিলো ৮৩টি। এই এক দশকে সংখ্যাটি প্রায় চারগুন বেড়েছে। 

ইলেক্ট্রিক ও ভোক্তাপণ্যসহ নানাখাতে জাপানি উদ্যোক্তারা এখন বাংলাদেশে তাদের সম্ভাব্য বাজার দেখছে। কোভিড-১৯ মহামারির কারণে এই গতি কিছুটা স্তিমিত। তবে বাণিজ্য কূটনীতিকরা আশা করছেন বাংলাদেশ সরকার নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে যে জাপান ইকোনমিক জোন তৈরি করতে যাচ্ছে, তার পথ ধরে এখানে বাণিজ্য বিনিয়োগ বাড়তেই থাকবে। 

জাপানের অবকাঠানো উন্নয়ন কোম্পানিগুলো জাপানিজ অফিসিয়াল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিস্ট্যান্স (ওডিএ) প্রকল্পের মাধ্যমে এদেশে আসতে শুরু করেছে। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ। 

জাপানি উদ্যোক্তারা বাংলাদেশে তৈরি খাত, ভোগ্যপণ্য. অবকাঠামো উন্নয়ন, প্রযুক্তি ও ডিজিটাল ভিত্তিক স্টার্টআপ কোম্পানিগুলোতে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। তবে বাংলাদেশে এখনো অবকাঠামোগত ঘাটতি রয়ে গেছে। এছাড়া এদেশের কর ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কিছু জটিলতা দেখতে পাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। যা নিরসন প্রয়োজন। 

জাপানি বাণিজ্য কূটনীতিকরা বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় বিধানেও পরিবর্তন প্রয়োজন বলে মত দিচ্ছেন, যাতে করে সহজেই বিদেশি রেমিট্যান্স, বিদেশি ঋণ এনে এখানে পূঁজি বিনিয়োগ সম্ভব হয়।  এছাড়া নিবন্ধন প্রক্রিয়া সহজীকরণ, ট্যাক্স ও ভ্যাট এর ক্ষেত্রে সহজসেবা নিশ্চিত করণের কথা বলছেন তারা।