অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

বাংলাদেশের নেতৃত্ব অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০১:৩৬ পিএম, ৯ এপ্রিল ২০২১ শুক্রবার   আপডেট: ০১:৪৬ পিএম, ৯ এপ্রিল ২০২১ শুক্রবার

জলবায়ু দূত কেরিকে বাংলাদেশে স্বাগত এই বলে টুইট করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার। আর লিখেছেন  জলবায়ুর প্রভাবে দুর্গত দেশগুলোর পক্ষে বাংলাদেশের নেতৃত্ব এখন অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্ব রাখে।  যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ এক সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরাজমান এই সঙ্কটের মোকাবেলা করতে পারে।

**জলবায়ু সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানাতে ঢাকায় জন কেরি

টুইটে দুই দেশের পতাকার সঙ্গে একটি হ্যান্ডশেকের ইমোটিক যোগ করেছেন মিলার। সঙ্গে #ইউএসবিডি৫০। আর দুটি ছবি প্রকাশ করেছেন, যাতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বিমানবন্দরে ফুল দিয়ে স্বাগত জানাচ্ছেন জন কেরি কে। আর অপর ছবিতে বিমানবন্দর থেকে পাশাপাশি হেঁটে বেরিয়ে আসছেন জন কেরি ও আর্ল মিলার। অদূরে হাঁটছিলেন ড. মোমেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জলবায়ুবিষয়ক বিশেষ দূত জন কেরি শুক্রবার (৮ এপ্রিল) সকালে ঢাকায় এসে পৌঁছান। বেলা সাড়ে এগারোটায় জন কেরিকে বহনকারী মার্কিন বিমানবাহিনীর একটি বিশেষ উড়োজাহাজ ঢাকায় এসে পৌঁছায়। 

মূলত, মার্কিন প্রেসিডেন্টের পক্ষে জলবায়ুবিষয়ক ভার্চুয়াল শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানাতেই দিল্লি হয়ে ঢাকা আসেন জন কেরি। কয়েক ঘন্টার এই সফরে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে নিমন্ত্রণ পৌঁছে দেবেন। মূলত জলবায়ু সঙ্কট মোকাবেলায় বিশ্বে এখন সবচেয়ে জোরালো কণ্ঠ হিসেবে বিবেচনা করা হয় শেখ হাসিনাকে। 

আগামী ২২ ও ২৩ এপ্রিল ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে এই জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এতে বাংলাদেশ ছাড়াও রাশিয়া, চীন, জাপান, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্স, ভারতসহ ৪০টি দেশের নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রে জো বাইবেন প্রশাসন দায়িত্ব নেওয়ার পর জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে এই সম্মেলন। আর সম্মেলনকে গুরুত্ববহ করতে বাইডেনের বিশেষ দূত হয়ে এই যাত্রায় দিল্লি ও ঢাকা সফর করছেন জন কেরি। দিল্লিতে বৈঠকের পর তিনি টুইটে লিখেছেন, আমেরিকা যে ফিরে এসেছে, তারই প্রমাণ জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টিতে গুরুত্বারোপ। 

হোয়াইট হাউসের নতুন ডেমোক্র্যাট নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের কোনো প্রতিনিধির বাংলাদেশ সফর দুই দেশের সম্পর্কোন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলেও আশা করা হচ্ছে।