অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

প্রধানমন্ত্রীকে হত্যাচেষ্টা মামলা: ১৪ জঙ্গির ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্ট

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০৫:০২ পিএম, ৬ এপ্রিল ২০২১ মঙ্গলবার   আপডেট: ০৫:০৫ পিএম, ৬ এপ্রিল ২০২১ মঙ্গলবার

প্রধানমন্ত্রীকে হত্যাচেষ্টা মামলা: ১৪ জঙ্গির ডেথ রেফারেন্স আদালতে

প্রধানমন্ত্রীকে হত্যাচেষ্টা মামলা: ১৪ জঙ্গির ডেথ রেফারেন্স আদালতে

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় জনসভাস্থলে বোমা পুঁতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় ১৪ জঙ্গিকে দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে এসেছে।

মামলাটির ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টের আসার বিষয়টি মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) নিশ্চিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র মোহাম্মদ সাইফুর রহমান।

**শেখ হাসিনাকে হত্যা ষড়যন্ত্রে ১৪ জঙ্গির ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদণ্ডের রায়

নিয়ম অনুযায়ী এখন মামলার পেপারবুক তৈরি হবে। এরপর শুনানির জন্য প্রধান বিচারপতি যে বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেবেন, সে বেঞ্চে যাবে। পরে ওই বেঞ্চে ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিলের বিষয়ে একসঙ্গে শুনানি হবে।

মামলার ২১ বছর পর গত ২৩ মার্চ ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান ১৪ জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে ‘ফায়ারিং স্কোয়াডে’ তা কার্যকর করতে নির্দেশ দেন।

মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামিরা হলেন- আনিসুল ইসলাম ওরফে আনিস, সরোয়ার হোসেন মিয়া, মফিজুর রহমান ওরফে মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজ, মাহমুদ আজাহার ওরফে মামুনুর রশিদ ওরফে মাহমুদ, রাশেদুজ্জামান ওরফে শিমুল খান ওরফে রাশেদ খাঁ, তারেক হোসেন ওরফে তারেক ওরফে মারফত আলী, আ: ওয়াদুদ শেখ ওরফে গাজী খান ওরফে হাসান ওরফে মেহেদী হাসান, মাওলানা আমিরুল ইসলাম ওরফে জেন্নাত মুন্সি ওরফে দেনত আলী মুন্সি, মাওলানা রফিকুল, মো. আজিজুল হক ওরফে শাহনেওয়াজ, মো. লোকমান, মো. ইউসুফ ওরফে মোছহাব মোড়ল ওরফে আবু মোছা হারুন, মোছাহেব হাসান ওরফে রাশু এবং শেখ মো. এনামুল হক।

এর মধ্যে পলাতক রয়েছেন আজিজুল, লোকমান, ইউসুফ, এনামুল, মোসাহেব হাসান। আসামিদের সবাই নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামীর (হুজি) সদস্য বলে তদন্তে উঠে এসেছে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ কলেজের মাঠে ২০০০ সালের ২১ জুলাই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশস্থলের পাশ থেকে ৭৬ কেজি ওজনের একটি বোমা উদ্ধার করা হয়। ওই মাঠেই পরদিন শেখ হাসিনার সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। এ ঘটনায় কোটালীপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক নূর হোসেন বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলাটি দায়ের করেন। 

এরপর ২০০১ সালের ১৫ নভেম্বর সিআইডির সাবেক এএসপি আব্দুল কাহার আকন্দ মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০০৪ সালের ২১ নভেম্বর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত।

তার মধ্যে হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় ২০১৭ সালের ২০ আগস্ট বিচারিক আদালত রায় দেন। রায়ে ১০ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড ও ১৩ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড হয়। এরপর সেটি হাইকোর্টে যায়।