অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

বাবার মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ও পেনশন তুলতে সৎ মাকে অস্বীকার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, লালমনিরহাট

প্রকাশিত: ০৩:৪০ পিএম, ৬ এপ্রিল ২০২১ মঙ্গলবার  

সৎ মাকে অস্বীকার করার ঘটনায় অভিযুক্ত আজিজুল ইসলাম।

সৎ মাকে অস্বীকার করার ঘটনায় অভিযুক্ত আজিজুল ইসলাম।

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা বাবার সম্মানী ভাতা ও চাকুরীর পেনশন তুলতে সৎ মাকে অস্বীকার করার অভিযোগ উঠেছে প্রথম সংসারের ছেলের বিরুদ্ধে। 

এ ঘটনায় বিচার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ করেছেন মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরল হকের দ্বিতীয় সংসারের একমাত্র কন্যা নজিমা বেগম। 

মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরল হকের বাড়ি হাতীবান্ধা উপজেলার সিঙ্গিমারী গ্রামে। প্রথম সংসারে তার ৪ পুত্র হলেন, ফরিদুল ইসলাম, সহিদুল ইসলাম, আজিজুল ইসলাম ও হাফিজুল ইসলাম।

জানা গেছে, মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরল হক ভূমি অফিসের একজন অবসর প্রাপ্ত কর্মচারী। মৃত্যুর পর মুক্তিযোদ্ধার সম্মানী ভাতা, চাকুরীর পেনশনসহ জমি জমার ভাগ বন্টন করতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ওয়ারিশ সনদ নেন নুরুল হকের পুত্র আজিজুল ইসলাম।

তিনি ওই ওয়ারিশ সনদের তার বিমাতা বোন নজিমা বেগমকে নিজের বোন বলে দাবী করলেও সৎ মা মনজিরন নেছাকে আস্বীকার করেন। এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সামিউল আমিনের নিকট লিখিত অভিযোগ করেন নজিমা বেগম।

আজিজুল ইসলাম বলেন, নজিমা বেগমের মা  মনজিরন নেছাকে আমার বাবা বিয়েই করে নাই। তাহলে নজিমাকে নিজের বোন হিসেবে স্বীকার করলেন কি কারণে এমন  প্রশ্ন উত্তরে আজিজুল ইসলাম বলেন, মানবিক কারণে তাকে বোন হিসেবে স্বীকার করেছি। 

সিঙ্গিমারী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন দুলু বলেন, আজিজুল ইসলাম তথ্য গোপন করে আমার কাছে ওয়ারিশ সনদ নিয়েছেন। পরে আমি সংশোধন করে আবারও ওয়ারিশ সনদ দিয়েছি। 

হাতীবান্ধার ইউএনও সামিউল আমিন বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।