অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

বন্ধ সাধারণের বাহন, ভোগান্তি আর ঝুঁকি নিয়েই চলাচল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০২:১৮ পিএম, ৬ এপ্রিল ২০২১ মঙ্গলবার   আপডেট: ০৫:৩০ পিএম, ৬ এপ্রিল ২০২১ মঙ্গলবার

গণপরিবহন বন্ধ, ঝুঁকি নিয়েই যাতায়াতে সাধারণ মানুষ

গণপরিবহন বন্ধ, ঝুঁকি নিয়েই যাতায়াতে সাধারণ মানুষ

ক্রমবর্ধমান করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে দেশজুড়ে চলমান সরকারি নিষেধাজ্ঞার দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) রাজধানীতে মধ্যবিত্তের বাহন গণপরিবহন বন্ধ ছাড়া, জীবনযাত্রার অন্যান্য মাধ্যমে অনেকটা স্বাভাবিকতা দেখা গেছে। পায়ে হেঁটে, রিকশা, সিএনজি, ভ্যান, পিকাপভ্যান বা লেগুনায় চড়ে ঝুঁকি নিয়ে কাজে বা গন্তব্যে যাতায়াত করছে সাধারণ মানুষ।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দেশজুড়ে সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে সরকারিভাবে নানা বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার বেলা যত বেড়েছে তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রাজধানীর সড়কে বেড়েছে মানুষের সংখ্যা। বিধিনিষেধে গণপরিবহন বন্ধের সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকায় এদিনও দেখা যায়নি বাস চলতে।

তবে অন্য সব গাড়ি চলতে দেখা গেছে। দ্বিতীয় দিনেও গতকালের মতো অফিসগামীদের ভোগান্তির শেষ নেই।

সরকারি কিছু প্রতিষ্ঠানসহ বেসরকারি প্রতিষ্ঠান খোলা আছে। এদিকে গণপরিবহনও বন্ধ। এতে রাজধানীর বিভিন্ন মোড়ে অফিসগামী মানুষকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। যেতে আসতে গুণতে হচ্ছে বাড়তি খরচ।

রাজধানীর মতিঝিল, ফকিরাপুল, কাকরাইল, পল্টন, শান্তিনগর বেইলি রোড, দৈনিক বাংলা, মৎস্য ভবন, মগবাজার, মালিবাগ, বাংলামোটর, শাহবাগ, কাওরান বাজার, পান্থপথসহ প্রায় সবজায়গাতেই একই চিত্র। 

জনসমাগম হচ্ছে, মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি না মানার প্রবণতাও দেখা যাচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মানা ও চলাচলে নিয়ন্ত্রণ ঠেকাতে বিভিন্ন রাস্তায় অভিযান চালাচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের । 

তথ্যমন্ত্রণালয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে মানুষের হাতে মাস্কও তুলে দেওয়া হচ্ছে।

বলা হচ্ছে, মাস্ক পরা, স্বাস্থ্যবিধি মানা এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা—এই তিন হচ্ছে স্বাস্থ্য সুরক্ষার মূল। এগুলো ছাড়া কোনো কিছুতেই উপকার হবে না। বাসার বাইরে বের হলেই এগুলো মানা বাধ্যতামূলক।