অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

স্বজন হারানোর আহাজারিতে ভারী শীতলক্ষ্যার পাড় 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০১:১০ এএম, ৬ এপ্রিল ২০২১ মঙ্গলবার  

নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে সাবিত আল হাসান নামে যাত্রীবাহী লঞ্চ ডুবে যাওয়ার ঘটনায় মোট ২৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সর্বশেষ উদ্ধার করা হয় মানসুরা নামে সাত মাসের এক শিশুর মরদেহ। তার বাবা আনোয়ার হোসেন ও মা মাকসুদা বেগমের মরদেহ আগেই উদ্ধার করা হয়।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা বারিক বলেছেন, উদ্ধার করা ২৯ জনের মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের তালিকায় নিখোঁজের নাম ছিল ৩৬ জনের। তাদের মধ্যে ২৯ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। তালিকা অনুসারে এখনও ৭ জন নিখোঁজ রয়েছে।

নৌযানটিতে ৫০ জনের বেশি যাত্রী ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে ২০ জন সাঁতরে তীরে উঠেছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। ডুবে যাওয়ার ১৮ ঘন্টা পর সোমবার দুপুরে লঞ্চটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসন ৭ সদস্যের ও বিআইডব্লিউটিএ ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

নারায়ণগঞ্জ বিআইডব্লিটিআই এর ট্রাফিক পরিদর্শক বাবু লাল জানিয়েছেন, রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ স্টেশন থেকে এমবি হাবিব আল হাসান নামে লঞ্চটি বন্দর কালুঘাট শীতলক্ষ্যা নদী দিয়ে মুন্সীগঞ্জের দিকে যাচ্ছিল। ওই সময় পেছন থেকে একটি কার্গো জাহাজ লঞ্চটিকে ধাক্কা দিয়ে ভাসিয়ে ৫০ ফুট দূরে ব্রিজের নিচে নিয়ে যায়। সেখানে লঞ্চটি কাত হয়ে ডুবে যায়। কার্গো জাহাজটিকে আটক করতে নৌ পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।

সন্ধ্যার পর বৃষ্টি ও বৈরি আবহাওয়ার কারণে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হয়। এরপর রাতে আবার শুরু হয় উদ্ধার কাজ। সে সময় আহত ৫ নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় এবং ১১ জনকে হাসাপতালে নেওয়া হয়।

উদ্ধার অভিযানে আছে ফায়ার সার্ভিস,কোস্টগার্ড,নৌ পুলিশ ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। 

ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক (ঢাকা) মো.সালেউদ্দিন বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্ধার অভিযান শেষ করা হলেও ফায়ার সার্ভিস অভিযান চলমান রেখেছে। যতক্ষণ পর্যন্ত নিখোঁজ ব্যক্তিদের তথ্য পাওয়া না যাবে ততক্ষণ পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চলবে।