অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

হত্যা মামলায় বদলি জেলখাটা সেই মিনুর বিষয়ে আদেশ সোমবার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০৫:০৭ পিএম, ১ এপ্রিল ২০২১ বৃহস্পতিবার   আপডেট: ০৫:০৮ পিএম, ১ এপ্রিল ২০২১ বৃহস্পতিবার

হত্যা মামলায় বদলি জেল খাটা সেই মিনুর বিষয়ে আদেশ সোমবার

হত্যা মামলায় বদলি জেল খাটা সেই মিনুর বিষয়ে আদেশ সোমবার

হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কুলসুম আক্তারের হয়ে জেল খাটা মিনু আক্তারের বিষয়ে আগামী সোমবার আদেশ দেবেন হাইকোর্ট।

এ বিষয়ে শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) আদেশের জন্য ওই দিন ঠিক করে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

আদালতে মিনুর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সরোয়ার হোসেন বাপ্পী।

গত ২৪ মার্চ চট্টগ্রামে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কুলসুমের পরিবর্তে মিনুর সাজা খাটার ঘটনায় মামলার নথি হাইকোর্টে আসে। বুধবার বিষয়টি শুনানির জন্য আদালতে উপস্থাপন করেন শিশির মনির।

হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ড পাওয়া আসামির বদলে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে দুই বছর নয় মাস ধরে জেল খাটছেন মিনু। এ ঘটনা জানাজানি হলে মামলার নথি হাইকোর্টে পাঠানোর নির্দেশ দেয় চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চতুর্থ মহানগর দায়রা জজ।

কারা কর্তৃপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মিনুকে আদালতে হাজির করা হলে নতুন করে তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। সেই সঙ্গে মামলার নথি হাইকোর্টে পাঠানোর নির্দেশ দেয় বিচারক শরীফুল আলম ভূঁঞা। পরে নথি এক দিনের মধ্যেই হাইকোর্টে পৌঁছায়।

কারাগারে বালাম বই খুজতে গিয়ে বিষয়টি সামনে আসে। এরপরই বিষয়টি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হয়। পরে বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন চট্টগ্রামের আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, আদালতে হাজির হয়ে তিন সন্তানের জননী মিনু জবানবন্দিতে জানান, সময়টি ছিল ২০১৮ সালের রমজান মাস। ইফতারি দেয়ার কথা বলে কুলসুম ও মর্জিনা নামের দুইজন মিনুকে আদালতে নিয়ে যান। তাকে বলা হয়েছিল ‘কুলসুম’ নাম ডাকা হলে তিনি (মিনু) যেন হাত তোলেন। সে অনুযায়ী হাত তোলার পর কর্তৃপক্ষ তাকে ‘কুলসুম’ হিসেবে চিহ্নিত করে কারাগারে পাঠায়।

মিনুকে এভাবে কৌশলে অপরাধী সাজানো কুলসুম একটি হত্যা মামলার আসামি। তার পুরো নাম কুলসুম আক্তার কুলসুমি।

২০০৬ সালের জুলাইয়ে নগরীর কোতোয়ালি থানার রহমতগঞ্জ এলাকায় একটি আমগাছে ঝুলন্ত অবস্থায় পারভীন নামের এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তদন্তে বেরিয়ে আসে, পারভীনকে শ্বাসরোধে হত্যা করে আত্মহত্যা হিসেবে প্রচারের জন্য গাছে ঝুলিয়ে রাখেন কুলসুম।

২০০৭ সালের ২৬ অক্টোবর কুলসুমকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এক বছর তিন মাস পর তিনি জামিনে মুক্তি পান।

২০১৭ সালে মামলার রায় ঘোষণা করেন তখনকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম। তাতে কুলসুমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। সে সময় কুলসুম পলাতক ছিলেন।

পরে আইনজীবী নাছির উদ্দীনের মাধ্যমে ২০১৮ সালের জুনে কুলসুম আত্মসমর্পণ করতে চান। আত্মসমর্পণের দিনই মিনুকে কুলসুম হিসেবে সাজিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। তখন থেকেই কারাগারে আছেন মিনু।