অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

দেশের ফুটবল আবারও সালাউদ্দিনের হাতে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১০:২১ পিএম, ৩ অক্টোবর ২০২০ শনিবার  

পরিবর্তনের কথা শুনিয়েছিলেন অনেকেই। নীরব বিল্পব হয়ে যাবে, তাও বলেছিলেন কেউ কেউ। আদতে দেখা গেল, হাওয়া বইলো আগের দিকেই। টানা চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি নির্বাচিত হলেন কাজী  সালাউদ্দিন। ১৩৫ ভোটের মধ্যে ৯৪ ভোট পেয়ে দেশের ফুটবলের অভিভাবকত্ব থাকছে তারই হাতে। 

শনিবার (৩ অক্টোবর) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে দুপুর দুইটায় শুরু হয়ে এই ভোট চলে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত। এরপর গণনা শেষে আনুষ্ঠানিক ঘোষণায় কাজী সালাউদ্দিনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। 

নির্বাচনে সভাপতি পদে বাফুফের প্রাক্তন সহসভাপতি ও সাবেক ফুটবলার বাদল রায় ছিলেন কাজী সালাউদ্দিনের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। অসুস্থতার কথা বলে প্রথমে সরে দাঁড়ান তিনি। পরে শুক্রবার রাতে আবার নিজের প্রার্থিতার দাবি তোলেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সভাপতি পদে দাঁড়িয়েছিলেন সাবেক ফুটবলার ও কোচ শফিকুল ইসলাম (মানিক)।

ভোট গণনা শেষে জানা যায় সভাপতি পদে কাজী সালাউদ্দিন ৯৪টি, বাদল রায় ৪০টি এবং শফিকুল ইসলাম মানিকের ঝুলিতে ১টি ভোট পড়েছে। এছাড়া সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে আব্দুস সালাম মুর্শেদী ৯০টি এবং শেখ আসলাম পেয়েছেন ৪৫টি ভোট।

কাজী সালাউদ্দিনের সম্মিলিত পরিষদ থেকেই জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি হয়েছেন সালাম মুর্শেদী। একই প্যানেল থেকে এসেছে তিনজন সহসভাপতিও।
চারটি সহসভাপতি পদের মধ্যে নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ ইমরুল হাসান, কাজী নাবিল আহমেদ, আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক।
 
স্বতন্ত্র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও মহিউদ্দিন আহমেহ মহী সমান ৬৫টি করে ভোট পেয়েছেন। চতুর্থ সহসভাপতি পদের জন্য এই দুই প্রার্থীর মধ্যে আবারও নির্বাচন হবে। আগামী ৩১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে এই নির্বাচন।
 
সভাপতিসহ মোট ২১টি পদে এবারের নির্বাচনে মোট ৪৭ জন প্রার্থী লড়েছেন। নির্বাচনে মোট ভোট ছিল ১৩৯টি। এর মধ্যে জেলা ও বিভাগের ভোট ৭২টি। মোট ১৩৯টির মধ্যে মধ্যে ভোট পড়েছে ১৩৫টি।

কাজী সালাউদ্দিন ২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাফুফের সভাপতি নির্বাচিত হন। পরের দফায় নির্বাচন করতে হয়নি সালাউদ্দিনকে। ২০১২ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি নির্বাচিত হন কিংবদন্তি এই ফুটবলার। ২০১৬ এর নির্বাচনে কামরুল আশরাফকে হারিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো বাফুফে সভাপতি হন সালাউদ্দিন। এবার তার কাছে হার মানলেন জাতীয় দলের দুই সাবেক ফুটবলার শফিকুল ইসলাম মানিক ও বাদল রায়।