অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

বাবুনগরী-মামুনুলদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ১৯ মে 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০২:১৬ পিএম, ১ এপ্রিল ২০২১ বৃহস্পতিবার   আপডেট: ০২:১৮ পিএম, ১ এপ্রিল ২০২১ বৃহস্পতিবার

বাবুনগরী-মামুনুলদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ১৯ মে 

বাবুনগরী-মামুনুলদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ১৯ মে 

শেখ মজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নিয়ে সমালোচনা ও হুমকি দেওয়ায় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী, খেলাফত মজলিসের নেতা মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন বৃহস্পতিবারও (১ এপ্রিল) দাখিল হয়নি। এ জন্য আগামী ১৯ মে নতুন ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট  সত্যব্রত শিকদার প্রতিবেদন দাখিলের এ তারিখ ঠিক করেন।

এদিন মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি। এজন্য বিচারক নতুন করে এ তারিখ ধার্য করেন।

গত বছরের ৭ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল মামলাটি দায়ের করেন।

ওইদিন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুল মালেক ওরফে মশিউর মালেক মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলাটিরও তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দাখিলের নির্দেশ দেন। 

মামুনুল হক মামলাতে বলা হয়, গত ১৩ নভেম্বর বিএমএ মিলনায়তনে বাংলাদেশ যুব  খেলাফত মজলিসের ঢাকা মহানগর শাখার সমাবেশে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মানের বিরোধিতা করে মামুনুল হক বলেন, "বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য গড়তে দেয়া হবে না। প্রয়োজনে লাশের পর লাশ পড়বে। আবার শাপলা চত্ত্বর হবে।" 

সমাবেশে যুব মজলিসের কর্মীদের এ জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেন তিনি। মামলায় অভিযোগ করা হয়, মামুনুল হকের বক্তব্যের পর একটি শ্রেনি বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মানের বিরোধিতা করে একের পর এক বক্তব্য দিচ্ছেন। দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে।

মামলায় সৈয়দ ফয়জুল করিম সম্পর্কে বলা হয়, গত ১৩ নভেম্বর এ আসামি যাত্রাবাড়িস্থ গেন্ডারিয়ায় তৌহিদী জনতার ব্যানারে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে , আন্দোলন করবো, সংগ্রাম করবো, জিহাদ করবো।

বাবু নগরী সম্পর্কে বলা হয়,  এ আসামি মামুনুল হক ও ফয়জুল করিমের পরামর্শ ক্রমে গত ২৭ নভেম্বর হাটহাজারীতে বলেছেন,  মদিনা সনদে যদি দেশ চলে তাহলে কোনো ভাস্কর্য থাকতে পারে না। ভাস্কর্য নির্মাণ থেকে সড়ে না দাঁড়ালে আরেকটি শাপলা চত্ত্বরের ঘটনা ঘটবে এবং ভাস্কর্য ছুড়ে ফেলবেন। 

আসামিদের এধরনের বক্তব্য রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। ধর্মকে কাজে লাগিয়ে আসামিরা রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে সাধারণ মুসলমানদের ক্ষেপিয়ে তুলে প্রকারান্তরে রাষ্ট্র ও সমাজের মধ্যে ঘৃণা ও শত্রুতার মনোভাব সৃষ্টি করেছেন।