অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

বাংলাদেশের সূবর্ণজয়ন্তী যেমন উদযাপন হলো ডার্লিংটনে

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:৪৮ এএম, ৩০ মার্চ ২০২১ মঙ্গলবার   আপডেট: ০১:৩২ পিএম, ৩০ মার্চ ২০২১ মঙ্গলবার

বাংলাদেশ থেকে ৭ হাজার ৯৯১ কিলোমিটার দূরের এক শহর ডার্লিংটন। কিন্তু বোঝার উপায় নেই এটি নয় বাংলাদেশের অংশ। কারণ পুরো শহরটি সেজেছিলো লাল-সবুজের আবহে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তীতে ডার্লিংটনের মানুষগুলো নানা আয়োজনে তার উদযাপন করলো। টাউনহলের ছাদে উড়লো বাংলাদেশের পতাকা। মেয়র ও মেয়রপত্নি সশরীরে উপস্থিত থেকে অংশ নিলেন এই আয়োজনে। 

কর্মসূচির শুরুতে মেয়র কাউন্সিলক ক্রিস ম্যাকওয়ান ও তার স্ত্রী আমান্ডা, কাউন্সিল হিথার স্কট, কাউন্সিল নেতা ও ডার্লিংটন বাংলাদেশ কল্যাণ সমিতির সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ বদরুল ইসলাম এক মিনিটের নিরবতা পালন করছিলেন কাউন্সিলক সাজনা আলীর সঙ্গে দাঁড়িয়ে। সাজনা আলীরা এই ডার্লিংটনে প্রথম কয়েকটি বাংলাদেশি পরিবারের একটির সদস্য। এখন ডার্লিংটনে ১৫০ টি বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত পরিবারের বাস। গত এক দশকে ইউরোপের বিভিন্ন স্থান থেকেও বাংলাদেশিরা গিয়ে আবাস গেড়েছেন এই ডার্লিংটনে।  

যুক্তরাজ্যের নর্থ-ইস্টে সাজনা আলীর পিতামহ যখন পৌঁছান তখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলছিলো। যে জাহাজে করে তারা সমুদ্র পাড়ি দিচ্ছিলেন সেটি ডুবে গেলে একটুকরো কাঠ আঁকড়ে সাতরে তিনি ওঠেন এই এলাকায়। তিনিই ছিলেন প্রথম কোনো দক্ষিণ এশীয় যিনি সেখানে পৌঁছালেন।

সাজনা আলীর বাবা ১৯৬০ এর দশকে সেখানে প্রথম ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্ট খোলেন একটি লাল গাড়িতে যার নাম ছিলো দ্য লাইট অব এশিয়া। পরে তারা ডার্লিংটনে যান। সেখানে নর্থ রোডে খোলেন তাজমহল নামের রেস্টুরেন্ট। সে সময়ে সেটিই ছিলো নর্থ-ইস্টে একমাত্র ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্ট। যা মূলত বাংলাদেশিদের তৈরি। 

ডার্লিটনে বাংলাদেশি কমিউনিটি ধীরে ধীরে বিস্তার লাভ করতে থাকে। এখন সেখানে বাংলাদেশিরাই সবচেয়ে বড় এথনিক মাইনরিটি। সে কারণেই বাংলাদেশের প্রতি, বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ডার্লিংটন কর্তৃপক্ষের এই আয়োজন।