এসকে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আরও একজনের সাক্ষ্য
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: ০৪:২৪ পিএম, ২৫ মার্চ ২০২১ বৃহস্পতিবার
এসকে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আরও একজনের সাক্ষ্য
ফারমার্স ব্যাংক (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) থেকে ৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহাসহ ১১ জনের মামলায় আরও একজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। সাক্ষ্য দেওয়া ব্যক্তি হলেন, তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের পরিচালক বেনজীর আহমেদ।
বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) ঢাকার চার নম্বর বিশেষ জজ শেখ নাজমুল আলমের আদালতে তিনি সাক্ষী দেন। এদিন তার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ না হওয়ায় আগামী ১ এপ্রিল পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন আদালত।
মামলাটিতে ২১ সাক্ষীর মধ্যে ২০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো। ২০১৯ সালের ১০ জুলাই দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলা তদন্ত করে একই বছরের ৯ ডিসেম্বর চার্জশিট দাখিল করেন দুদক পরিচালক বেনজীর আহমেদ।
মামলার আসামিদের মধ্যে ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতী (বাবুল চিশতী) কারাগারে, ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক এমডি এ কে এম শামীম , ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক, সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিন, টাঙ্গাইলের বাসিন্দা মো. শাহজাহান এবং একই এলাকার বাসিন্দা নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা জামিনে আছেন। সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা , ফারমার্স ব্যাংকের ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, রণজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী সান্ত্রী রায় পলাতক রয়েছেন।
২০১৯ সালের ১০ জুলাই দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে কমিশনের জেলা সমন্বিত কার্যালয় ঢাকা-১-এ এই মামলাটি দায়ের করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা ফারমার্স ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে চার কোটি টাকা ভুয়া ঋণ তৈরি করেন। একই দিনে পে-অর্ডারের মাধ্যমে আসামি এসকে সিনহার ব্যক্তিগত হিসাবে স্থানান্তর করেন। পরে এসকে সিনহা নগদ, চেক ও পে-অর্ডারের মাধ্যমে অন্য অ্যাকাউন্টে টাকা সরিয়ে নেন। যা দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।