অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

সংবাদপত্র জুড়ে আজ শতবর্ষী মহাকায় মুজিব

রাজীব নন্দী, শিক্ষক ও গবেষক

প্রকাশিত: ০৮:০০ পিএম, ১৭ মার্চ ২০২১ বুধবার   আপডেট: ০৯:১৮ পিএম, ১৭ মার্চ ২০২১ বুধবার

শতবর্ষী মুজিব ও মিডিয়া

শতবর্ষী মুজিব ও মিডিয়া

ইতিহাসের বুকে কোন কোন চরিত্র ‘অমর’। শারীরিক মৃত্যুর পরও যারা কাজের মাধ্যমে ‘বেঁচে’ থাকেন। বিভিন্ন উপলক্ষে তাঁরা দেশ-কাল-সমাজে এসে হাজির হন, জানান দেন তাঁদের উপস্থিতি। কাটগড়ার সামনে উকিল যেমন করে স্বাক্ষীর নাম ধরে ডাক দেন, তেমনিই মহাকালের ডাকে তাঁরা হাজির হন বিশেষ কোন দিনে। এই হাজিরার ভাগ্য সবার হয় না। সবাই ইতিহাসে অমরতা পান না। ইতিহাস তাঁদেরকেই অমর করে, সমাজে যাদের প্রাসঙ্গিকতা থাকে। তাঁরা ‘অতীত’কাল থেকে হয়ে উঠেন ‘মহাকাল’র চরিত্র। তেমনিই এক মহাকালের মহাকাব্যিক চরিত্রের নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন চলছে দেশে। আজ ১৭ই মার্চ, ঐতিহাসিক দিন। আজ মুজিবের জন্ম শততম দিবস, দেশ আজ মুজিবময়। আক্ষরিক অর্থেই আকাশে বাতাসে ধ্বনিত হচ্ছে মুজিব। গাড়িতে, বাড়িতে, পথচলতি পুরুষে-নারীতে সর্বত্র আজ মুজিব বন্দনা; বাদ যায়নি দৈনিক সংবাদপত্রও।

সংবাদপত্রকে বলা হয় একটি দেশের নিত্যদিনের জীবনী। প্রতিদিন একেকটি পৃষ্ঠা একেক দিনের গল্প বলে যায়। একটি সংবাদপত্রের প্রাণ সংবাদপত্রটির প্রথমপৃষ্ঠা। পাঠক প্রথমেই নজর দেয় এই পৃষ্ঠায়। সংবাদপত্রের প্রথম পৃষ্ঠায় বিরাট শিরোনাম, ছবি, ক্যাপশন, খবর, বিজ্ঞাপন এগুলো সবমিলে পাঠককে জানায়, দেশের অবস্থা কী। যদিও ডিজিটাল সাংবাদিকতার প্রসারে এনালগ সাংবাদিকতার প্রভাব কমছে বলে ধারণা করা হয়, কিন্তু পাঠকের মনোযোগ অনলাইনে অস্থায়ী, বিপরীতে ছাপা পত্রিকার প্রভাব সুদূরপ্রসারী। ‘‘সংবাদপত্রের পৃষ্ঠাসজ্জা নিছক সৌন্দর্যবোধ বা নান্দনিক বিষয় নয়। পৃষ্ঠাসজ্জার দ্বারা পত্রিকার চরিত্র ও দৃষ্টিভঙ্গি যেমন প্রকাশ পায়, তেমনই এর মাধ্যমে পাতার বিন্যাসে শৃঙ্খলা আনা হয় এবং পত্রিকাকে কার্যোপযোগী করে তোলা হয়। খবরকে গুরুত্ব অনুযায়ী বিন্যস্ত করে পাঠকের সঙ্গে পত্রিকার সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করা হয় পৃষ্ঠাসজ্জার মাধ্যমে’’ {সূত্র: মোসলেম, সীমা (১৯৯৮); সংবাদপত্রের পৃষ্ঠাসজ্জার সাম্প্রতিক ধারা, নিরীক্ষা, প্রেস ইনস্টিটিউটের গণমাধ্যম সাময়িকী, জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি ১৯৯৮, ৮৪তম সংখ্যা, পৃষ্ঠা নং-৩} আজ দেশের গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় দৈনিকগুলোতে অভিনব ও দৃষ্টিনন্দন কারুকাজে ছাপা হয়েছে মুজিবের অবয়ব। আজ দেশের দৈনিক সংবাদপত্রগুলোর প্রথম পাতার পৃষ্ঠাসজ্জা একদিকে যেমন ঐতিহাসিক, তেমনি নন্দনতাত্ত্বিকও বটে। যদিও কোন কোন পত্রিকার বিজ্ঞাপন আধিক্য নন্দনতত্ত্বকে ক্ষতি করেছে। কিন্তু বিজ্ঞাপন ছাড়া কি একটি সংবাদপত্র টিকে থাকতে পারে? তাই বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বের হয়েছে বিশেষ ‘মলাট’ পাতা। অর্থাৎ মূল সংবাদপত্রের বাইরে বিশেষ মোড়কে ‘মলাট’ সংখ্যা করেছে অনেক পত্রিকা। 

দৈনিক প্রথম আলো ‘স্মরণে উৎসবে মুক্তির নায়ক’ শিরোনামে লিড নিউজে প্রধান খবর করেছে মুজিবের জন্মদিন। পাশে কোভিড সংক্রমণের উর্ধ্বগতিও স্থান পেয়েছে গুরুত্ব নিয়। কিন্তু প্রথম পাতার নিচের অংশটি (লোয়ার ফোল্ড) পুরোটাই বিজ্ঞাপনে ঠাসা। সমকাল পত্রিকা দেশের বিভিন্ন দিবসে বিশেষ মোড়ক সংখ্যা প্রকাশ করার রেয়াজ তৈরি করেছে। তারা আজও এর ব্যতিক্রম নয়। অন্নদাশঙ্কর রায়ের সেই ঐতিহাসিক কবিতা ‘যতকাল রবে পদ্মা যমুনা..’কে প্রধান শিরোনাম করে বঙ্গবন্ধুর একটি ছবিকে বৃহৎ আকারে ৫ জন বিশিষ্টজনের লেখা ও একটি কবিতা দিয়ে মলাট সংখ্যা ছাপিয়েছে সমকাল। পুরো কাজটি লাল রঙের চৌকোণা বক্স টেনে লোয়ার ফোল্ডারের বিজ্ঞাপন থেকে আলাদা করা হয়েছে। 

দেশের অন্যতম প্রাচীন দৈনিক ইত্তেফাকের শিরোনামেও কাব্যময়তা প্রকাশ পেয়েছে ‘ঐ মহামানব আসে..’ লেখার মাধ্যমে। কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনামও যথারীতি ব্যাঞ্জনাময় ‘তাঁর মতো ক'জন জন্মায়’। কিন্তু দু’টি পত্রিকার স্বাভাবিক দৃষ্টিনন্দন সৌন্দর্য ম্লান হয়ে যায় সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের ‘শতবর্ষী মুজিবে’র লম্বাটে বিজ্ঞাপনের বেখাপ্পা ডিজাইনে। একই আকণ্ঠ ভরপেট মেজবানী খানার মতো বিজ্ঞাপনপ্রাপ্তি ঘটেছে আমাদের সময় এবং বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার ক্ষেত্রেও। আমাদের সময়ের প্রধান শিরোনাম ‘ইতিহাসের বটবৃক্ষ’।  বাংলাদেশ প্রতিদিন প্রধান শিরোনাম খুব সাদামাটা ‘শতবর্ষের বর্ণাঢ্য আয়োজন আজ’। 

দেশের অন্যতম বাণিজ্যমুখি সংবাদভিত্তিক দৈনিক পত্রিকা বণিকবার্তার প্রধান শিরোনাম কেবল একটি শব্দ ও একটি সংখ্যায় ‘বঙ্গবন্ধু ১০১’। বণিক বার্তা তাদের প্রথম পাতায় বঙ্গবন্ধুর মুখাবয়বকে বিশেষ গ্রাফিক্সে হাজির করলেও বিজ্ঞাপন আধিক্য পুরো পাতাটির দৃষ্টিনন্দন ডিজাইনে বড় বাধা হিসেবে দেখা যাচ্ছে। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করি, ‘‘আধুনিক প্রযুক্তির সুবিধা থাকায় সংবাদপত্রের মান বাড়ালেও ব্যবসায়িক মনোবৃত্তির বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে বলে অনেকে মনে করেন। প্রযুক্তিগত সুবিধার জন্য পৃষ্ঠাসজ্জা দৃষ্টিনন্দন হচ্ছে। তবে নৈতিকতা না মানার প্রবণতা সংবাদপত্রের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। বিজ্ঞাপন বেশি স্থান দখল করে নিলেও গুরুত্ব অনুযায়ী সঙ্গাব্দ ছাপানোর দিকে মনযোগ দেয়া হচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন’ {সূত্র: চৌধুরী, এ. কে. এম. শামীম (২০০৯); বাংলাদেশের সংবাদপত্রের প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত সংবাদ: সময়ের বিবর্তনে গুরুত্ব ও প্রবণতা, বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট, ঢাকা, বাংলাদেশ, পৃষ্ঠা নং-৭৪}। 

বিজ্ঞাপনহীন কি পত্রিকার প্রথম পাতা হয় না? হ্যাঁ, হয়েছে। চারটি দৈনিক পত্রিকা বিজ্ঞাপনহীন প্রথম পাতাজুড়ে বঙ্গবন্ধুকে উপস্থাপন করেছে। যেমন: ইংরেজি দৈনিক দি ডেইলি সান, বাংলা দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ, দেশ রূপান্তর এবং চট্টগ্রাম ভিত্তিক দৈনিক পূর্বকোণ। এই চারটির মধ্যে দি ডেইলি সান বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে প্রথম পাতার গ্রাফিক্সে যেমন বাহাদুরি দেখিয়েছে, তেমনি পূর্বকোণ তার নাম (লোগো)-এর উপরে বঙ্গবন্ধুকে রেখে ডিজাইনের অভিনবত্ব দেখিয়েছে। ঠিক একইভাবে ‘কালজয়ী পুরুষ’ শিরোনামে আলোকিত বাংলাদেশ এবং ‘আজো তিনিই নায়ক’ প্রধান শিরোনামে দেশ রূপান্তর পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠার বিশেষ ডিজাইন করেছে। দেশের প্রভাবশালী ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার প্রধান দু’টি শিরোনামই করেছে মুজিববর্ষ নিয়ে, সাথে আছে জাতীয় শিশু দিবসের প্রাসঙ্গিকতায় শিশুদের সাথে বঙ্গবন্ধুর একটি চিত্রকর্ম। ১৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন যে জাতীয় শিশু দিবস তা ডেইলি স্টারের চিত্রকর্মটিই আমাদের মনে করিয়ে দেয়, যা বাকি কোন পত্রিকার প্রথম পাতায় সেভাবে আমরা দেখিনা।

আজ মুজিব জন্মশত বর্ষের বিশেষ দিন ১৭ই মার্চ ২০২১ তারিখ। আজকের দৈনিক সংবাদপত্রের বর্ণাঢ্য উপস্থাপনাকে ‘সাংবাদিকতার রাজনীতি’এবং ‘রাজনীতির সাংবাদিকতা’ হিসেবে দেখছেন গণমাধ্যম গবেষক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সহিদ উল্যাহ। উন্নয়ন যোগাযোগ শাস্ত্রের বিশেষজ্ঞ গবেষক সহিদ উল্যাহ মনে করেন, ‘‘বাংলাদেশের সাংবাদিকতার বিকাশ ঘটেছে রাজনৈতিক বিকাশের হাত ধরে। এই দেশের সাংবাদিকতার ইতিহাস অনুসন্ধানে দেখা যায়, সাংবাদিকতা ও রাজনীতি দু’টি সমান্তরালভাবে বিকাশমান। তাই আজ মুজিব জন্মশতবর্ষে বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিকগুলোর সর্বাত্মক দৃষ্টিনন্দন উপস্থাপনার পাশাপাশি আমরা যেন ভুলে না যাই ১৯৭৫ সালের ১৬ই আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার পরদিন রাতারাতি ভোল বদলে ফেলেছিলো বাংলাদেশের গণমাধ্যম। এই দেশের গণমাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে ‘বঙ্গবন্ধু’ ছিলো অনুচ্চারিত কন্টেন্ট। অথচ মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ এসব নিয়ে আমাদের জাতীয় ঐক্যমত দরকার। আজকের দৈনিক পত্রিকা আগামী দিনের আর্কাইভ, ভবিষ্যতের নথি। আজ  বঙ্গবন্ধুকে গণমাধ্যমে মূল্যায়ন হতে দেখে আমরা আপ্লুত। কিন্তু এই প্রশ্নটিও জারি রাখতে চাই আমি, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে বঙ্গবন্ধুকে দৈনিক পত্রিকাগুলো এভাবে উপস্থাপন করতো কি?’’

অধ্যাপক সহিদ উল্যাহর পর্যবেক্ষণ এবং প্রশ্নটি মহাকালের কাছে রেখে দিলাম। আপাতত লেখাটির ইতি টানা জরুরি। সাংবাদিকতার শিক্ষার্থী হিসেবে জানি, সারা দুনিয়াজুড়ে খবরের কাগজের প্রথম পৃষ্ঠার কদর বেশি, কেননা দিনের খবরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও আকর্ষণীয় সংবাদগুলো থাকে এখানে। সংবাদপত্রের প্রবেশদ্বারই হলো প্রথম পৃষ্ঠা। প্রথম পৃষ্ঠা তৈরিতে সংবাদ কর্তৃপক্ষকে তাই দিতে হয় গভীর মনোযোগ। মুদ্রণ ব্যবস্থার প্রভূত উন্নতি ও প্রিন্ট সাংবাদিকতায় কম্পিউটার প্রযুক্তি যুক্ত হওয়ায় গ্রাফিক্স এর কাজও বেশ নতুনত্ব তৈরি করেছে। গতকাল রাতে বাংলাদেশের দৈনিক পত্রিকাগুলোর গ্রাফিক্স বিভাগতো বটেই, প্রথম পাতার বিশেষ ডিজাইন উপলক্ষে স্ব স্ব বার্তা বিভাগ, সম্পাদনা বিভাগ এবং সংবাদ বিভাগ যেভাবে একযোগে সমন্বয় করে কাজ করেছে তা নিঃসন্দেহে পরিশ্রমলব্ধ কাজ। এই সংক্ষিপ্ত মূল্যায়নে আজকের বাংলাদেশের দৈনিক পত্রিকাগুলোর একটি চিত্র হাজির করার চেষ্টা করেছি, যা সাংবাদিকতার ইতিহাসে প্রথম পৃষ্ঠার মুদ্রণ সৌকর্যের বিবর্তনটির স্বরূপ অনুসন্ধান বুঝতে আমাদের সাহায্য করবে।

মুজিবের দৈহিক উচ্চতারই প্রতিফলন যেন আজকের দৈনিক পত্রিকায়। কথায় আছে, যার যতটুকু প্রাপ্য, ততটুকু ফেরত দিতেই হবে। মুজিবকে অস্বীকার এবং ছোট করার মধ্যে কোন মহত্ব নেই। তাকে স্মরণ না করার মধ্যে কোন গৌরব নেই। মুজিব ছিলেন এবং থাকবে। বাংলাদেশের প্রথাবিরোধী পণ্ডিত ও প্রয়াত অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদের একটি উক্তি দিয়ে এই লেখার যবনিকা টানছি। তিনি লিখছেন ‘‘..রাজনীতিক আকাশে একটিই নক্ষত্র ছিলো, তাঁর নাম সূর্য ছিলো না, ছিলো শেখ মুজিব। এককালের এক উত্তেজিত ছাত্রনেতা পরে হয়ে উঠেছিলেন মহানেতা। আমি কখনো তাকে ‘বঙ্গবন্ধু’ বলি নি। দেবতাদের পুজো করার জন্যে ভক্তরা ১৯৯ টা নাম তৈরি করে। আমার কোনো দেবতা নেই। ওটা রাজনৈতিক শ্লোগান, ভক্তরা যেমন দেবতাদের বিভিন্ন নামে ভূষিত করে, এটাও তেমন একটি অভিধা; ভক্তরা বিভিন্ন অভিধায় তাদের দেবতাকে পুজো করে দেবতার কিছু মহিমা নিজের ভেতরে সঞ্চারিত করে ধন্য ও শক্তিমান হওয়ার জন্যে। .. শেখ মুজিব দৈহিকভাবেই মহাকায় ছিলেন, সাধারণ বাঙালির থেকে অনেক উঁচুতে ছিলো তাঁর মাথাটি- সহজেই চোখে পড়তো তাঁর উচ্চতা, এবং আমাদের বামন রাজনীতিবিদদের মধ্যেও তিনি ছিলেন মহাকায়’’। হুমায়ুন আজাদ আজ আমাদের মাঝে নেই, তবে আজকের দৈনিক পত্রিকাগুলোর প্রথম পৃষ্ঠাগুলো কি হুমায়ুন আজাদের কথারই প্রতিধ্বনি নয়?

লেখক: রাজীব নন্দী
সহকারী অধ্যাপক, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
ইমেইল: [email protected]