অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

সন্ত্রাসমুক্ত বিশ্বের জন্য বৃহত্তর আন্তর্জাতিক সংহতিতে জোর

প্রকাশিত: ১০:০৪ এএম, ১৩ মার্চ ২০২১ শনিবার  

“আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য সন্ত্রাসবাদ একটি বড় হুমকি এবং এটি ২০৩০ উন্নয়ন এজেন্ডা অর্জনের ক্ষেত্রে অন্তরায়। যে কোন ধরণের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে আমাদের প্রয়োজন আন্তর্জাতিক সংহতি ও সকল স্তরে একতাবদ্ধ প্রচেষ্টা।”

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে শুক্রবার (১২ মার্চ) অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের বৈশ্বিক সন্ত্রাসদমন কৌশলের উচ্চ পর্যায়ের প্লেনারি সভায় দেওয়া বক্তব্যে একথা বলেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। 

তিনি আরও বলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের রয়েছে অটল রাষ্ট্রীয় নীতি।

জাতিসংঘের বৈশ্বিক সন্ত্রাসদমন কৌশল বাস্তবায়নে কোভিড-১৯ এর প্রভাব বিষয়ক মহাসচিবের প্রতিবেদনটিকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। এক্ষেত্রে কোভিড-১৯ অতিমারির সময়ে সৃষ্ট ইনফোডেমিক, ঘৃণাত্বক বক্তব্য ও জাতিগত বিদ্বেষের মতো সন্ত্রাসবাদের নব্য ধারার প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেওয়ার উপর জোর দেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি।

সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করার জন্য জাতিসংঘ সদস্যদেশসমূহের মধ্যে নিবিড় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সৃষ্টি ও পারষ্পরিক আইনী সহায়তা দেওয়ার আহ্বান জানান রাবাব ফাতিমা। জাতিসংঘের বৈশ্বিক সন্ত্রাস দমন কৌশলের বাস্তবায়ন এগিয়ে নিতে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে অর্থায়ন প্রতিরোধ ও নির্মূল করতে সদস্যদেশসমূহকে প্রয়োজনীয় সকল প্রচেষ্টা গ্রহণ করা উচিত বলে উল্লেখ করেন তিনি। 

কৌশলটির বাস্তবায়নে সক্ষমতা বাড়ানোয় জোর দেন এবং আশা প্রকাশ করেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশসহ অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলো সক্ষমতা বিনির্মাণ ও প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে জাতিসংঘ থেকে যথোপযুক্ত সহায়তা পাবে।

উল্লেখ্য, সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে সদস্য দেশসমূহকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তার লক্ষ্যে ২০০৬ সালে জাতিসংঘ বৈশ্বিক সন্ত্রাসদমন কৌশল গ্রহণ করে। বর্তমানে কৌশলটির ৭ম দ্বি-বার্ষিক রিভিউ চলছে যা ২০২১ সালের জুন মাসের মধ্যে শেষ হবে।