অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

ত্রিদেশীয় বাণিজ্য রুট রহনপুর রেলস্টেশন সফরে রেলমন্ত্রী

ডিসট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ

প্রকাশিত: ০২:৫৯ পিএম, ১১ মার্চ ২০২১ বৃহস্পতিবার  

রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন চাঁপাইনবাবগঞ্জের ত্রিদেশীয় বাণিজ্য রুট রহনপুর রেলস্টেশন পরিদর্শন করবেন।

রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন চাঁপাইনবাবগঞ্জের ত্রিদেশীয় বাণিজ্য রুট রহনপুর রেলস্টেশন পরিদর্শন করবেন।

রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন চাঁপাইনবাবগঞ্জের ত্রিদেশীয় বাণিজ্য রুট রহনপুর রেলস্টেশন পরিদর্শন করবেন শুক্রবার (১২ মার্চ)। সেদিন সকালে তিনি ঢাকা থেকে বিমান যোগে রাজশাহী এসে দুপুরে রাজশাহী থেকে বিশেষ ট্রেনযোগে রহনপুর রেল স্টেশনে এসে পৌঁছাবেন। তাকে স্থানীয় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে গণ সংবর্ধনাও দেয়া হবে। 

গত মঙ্গলবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ ২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য  জিয়াউর রহমান তার সাথে সচিবালয়ে দেখা করে সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। রেলমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে রহনপুরে সাজ সাজ রব। সাবেক সাংসদ জিয়া তার নির্বাচনী এলাকার প্রায় ২০টি দাবী তার কাছে উপস্থাপন করবেন বলে জানা গেছে। দাবীগুলো হলো রহনপুর রেলস্টেশনকে পূর্ণাঙ্গ রেলবন্দরে রুপান্তর, রহনপুর রেলস্টেশনে ইয়ার্ড বৃদ্ধি, রেল স্টেশনের আশে-পাশে অবৈধ দখলে থাকা রেলওয়ের জায়গা দখলমুক্ত করে ভারত থেকে আসা মালামাল খালাসের ব্যবস্থা, ঈশ্বরদী-রহনপুর রুটে বন্ধ থাকা লোকাল ট্রেনসহ সব ট্রেন পূণরায় চালুকরা, রহনপুর-সিঙ্গাবাদ রুট দিয়ে বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল মৈত্রী ট্রেন, রহনপুর থেকে ঢাকাগামী ট্রেনের বরাদ্ধকৃত টিকিট দেয়াসহ আরো বেশ কিছু দাবি । 

এব্যপারে ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক উপ-সচিব এ.কে.এম. তাজকির-উজ-জামান জানান, মন্ত্রীর আগমনের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব আয়োজন সম্পন্ন করা হয়েছে। রহনপুরে একটি রেল বন্দর স্থাপনের জন্য সকল প্রকার তথ্য উপাত্ত মন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে। সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি জিয়াউর রহমান জানান, স্থানীয় আওয়ামলীলীগের পক্ষ থেকে মন্ত্রীকে গণ সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে।  

পশ্চিম রেলওয়ের ভূ সম্পত্তির রহনপুর-আমনুরা রেলপথের গোলাবাড়ী থেকে রহনপুর হয়ে ভারত সীমান্তবর্তী শিবরামপুর পর্যন্ত রেলওয়ের মোট ৩৭৮.৮৮ একর সম্পত্তি রয়েছে।  এর মধ্যে রহনপুর রেলস্টেশন ও তার আশেপাশে ১৪৭.৮৪ একর জায়গা রেলের দখলে রয়েছে। বাকি সম্পত্তি বেদখলে রয়েছে। এর মধ্যে ০.৪৫ একর জায়গা বানিজ্যিক ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য লীজ দেয়া হয়েছে। এছাড়া কৃষি জমি হিসেবে ৮১.২৪ একর জমি, জলাশয় হিসাবে ১২.০১ একর, বিএডিসির সার গুদামের জন্য ৫.০৩ একর জায়গা লীজ দেয়া হয়েছে। পতিত রয়েছে ৫৪.১৪ একর জমি এবং অবৈধ দখলে রয়েছে ৭৮.১৬ একর জমি।