অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

সংশোধন নয়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০৫:২৯ পিএম, ১০ মার্চ ২০২১ বুধবার  

সংশোধন নয়, অবিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানিয়েছে বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলো।

সংশোধন নয়, অবিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানিয়েছে বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলো।

সংশোধন নয়, অবিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানিয়েছে বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলো। তারা বলছে, এই আইন সংশোধন করে সরকার তার অগণতান্ত্রিক চেহারা লুকাতে পারবে না।

বুধবার ( ১০ মার্চ )  ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল, ছাত্রনেতাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, শ্রমিকনেতা রুহুল আমিনসহ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার সবার মুক্তি ও লেখক মুশতাক হত্যার বিচারের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন বাম সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীরা। 

মিছিলটি শাহবাগ মোড় ঘুরে টিএসসিতে ফিরে আসে। সেখানে রাজু ভাস্কর্যের সামনে সমাবেশ হয়।

সমাবেশে কারামুক্ত ছাত্রনেতা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা তামজিদ হায়দার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ইউনিয়নের কর্মী আকিফ আহম্মেদকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেন বাম সংগঠনগুলোর শীর্ষ নেতারা।

সমাবেশে ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি তামজিদ হায়দার বলেন, এর আগে ৫৭ ধারা (তথ্যপ্রযুক্তি আইনে) দিয়ে লেখক-বুদ্ধিজীবীদের কণ্ঠরোধ করেছিল সরকার। এই সরকার মানুষের কণ্ঠকে ভয় পায়, ছাত্রদের কণ্ঠকে ভয় পায়, বুদ্ধিজীবীর কলম ও কার্টুনিস্টের কার্টুনকে ভয় পায়।

সমাবেশে সমাপনী বক্তব্যে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের সমন্বয়ক আল কাদেরী বলেন, বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দিয়ে জনগণের কণ্ঠ রোধ করতে চায়। কিন্তু এ দেশের ছাত্রজনতা লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে তার সমুচিত জবাব দিয়েছে। হামলা-মামলাকে তারা ভয় পান না। যত হামলা-মামলা হবে, আন্দোলন বন্ধ হবে না। তিনি বলেন, বাংলাদেশকে যতই কারাগার তৈরির চেষ্টা করা হোক, তা ভাঙার লড়াই চলবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বুঝে গেছে, অবৈধ নির্বাচন দিয়ে আর ক্ষমতায় থাকা সম্ভব নয়। তাই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও হামলা-মামলা দিয়ে ক্ষমতায় থাকতে চায় সরকার।

আল কাদেরী আরও বলেন, আন্দোলনের কারণে সরকার বলতে বাধ্য হয়েছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন করতে হবে। আগামী দিনে এই আইন বাতিল, ছাত্রনেতাদের বিরুদ্ধে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, শ্রমিকনেতা রুহুল আমিনসহ ওই আইনে গ্রেপ্তারকৃত সবার মুক্তি এবং লেখক মুশতাক হত্যার বিচারের দাবিতে আইন মন্ত্রণালয়ের সামনে বিক্ষোভসহ আরও বৃহত্তর কর্মসূচি দেওয়া হবে।