অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী

নির্বোধরা ৭ মার্চের ভাষণে কিছুই খুঁজে পায়না

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০৫:৩৭ পিএম, ৮ মার্চ ২০২১ সোমবার   আপডেট: ০৫:৩৮ পিএম, ৮ মার্চ ২০২১ সোমবার

নির্বোধরা ৭ মার্চের ভাষণে কিছু খুঁজে পায়না

নির্বোধরা ৭ মার্চের ভাষণে কিছু খুঁজে পায়না

যারা বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণে স্বাধীনতার কোন ঘোষণা পাননি, তারা পাকিস্তানী বাহিনীর পদলেহনকারী- এমন মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এ ভাষণ বাজানো হতো না। আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা ঝুঁকি নিয়ে প্রত্যেক বছর এ ভাষণ বাজাতেন। বলেন, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে এ ভাষণ স্বীকৃতি পেয়েছি। এটা একটা ঐতিহাসিক ভাষণ, অথচ কিছু নির্বোধরা এই ভাষণে কিছু খুঁজে পাননা। দেশের মানুষ যা বুঝতে পারে, তারা তা বুঝতে পারেনা।  

প্রধানমন্ত্রী বলেন,  দিনের পর দিন এদেশের মানুষ শোষিত, বঞ্চিত হয়েছে। পাকিস্তানী শাসকদের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর ভাষণে যুদ্ধের প্রস্তুতির কথা ছিল। গেরিলা যুদ্ধের জন্য যা দরকার, বঙ্গবন্ধু সব নির্দেশনা দিয়েছিলেন। “এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম”- এ ডাক দিয়ে জাতির পিতা যুদ্ধ করে বিজয় অর্জনের নির্দেশনা দিয়েছিলেন। 

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ সবাইকে অনুপ্রাণিত করেছে। কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র সব শ্রেণির মানুষ প্রস্তুতি নিয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। সমগ্র জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিজয় অর্জন করেছে। 

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর  ভাষণের ভিতরে একেকটা লাইন, একেকটা নির্দেশনা। জনশক্তিই ছিল বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে বড় শক্তি। যুদ্ধ বিদ্ধস্ত  বাংলাদেশকে খুব অল্প সময়ে গড়ে তোলার জন্য বঙ্গবন্ধ কাজ শুরু করেন মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন একটা উন্নত বাংলাদেশের। কিন্তু ১৫ আগস্ট জাতির পিতার সে স্বপ্ন ঘাতকের বুলেট কেড়ে নিয়েছিল। বাঙালির বিজয় মানতে পারেনি হত্যাকারীরা। অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে এগিয়ে যাবে, উন্নত দেশ হিসেবে দাড়াবে বাংলাদেশ এটাও তারা চায়নি। যে কারণে আঘাত হেনেছিল। 

শেখ হাসিনা বলেন, ইতিহাস থেকে জাতির পিতার নাম মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র হয়েছে, ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। অথচ এ ভাষণ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে স্বীকৃতি পেয়েছিল। একটা ভাষণ একটা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল।