অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

যুবদল নেতা মজনুসহ ৮ জন ২ দিনের রিমান্ডে 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০৪:২৬ পিএম, ৮ মার্চ ২০২১ সোমবার  

যুবদল নেতা মজনুসহ ৮ জন ২ দিনের রিমান্ডে 

যুবদল নেতা মজনুসহ ৮ জন ২ দিনের রিমান্ডে 

প্রেসক্লাবের সামনে ছাত্রদলের সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের মামলায় গ্রেপ্তার যুবদলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি রফিকুল আলম মজনুসহ ৮ জনকে দুইদিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।

সোমবার (৮ মার্চ) শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ রিমান্ডের আদেশ দেন।

রিমান্ড যাওয়া আসামিরা হলেন- রফিকুল আলম মজনু, আ: খালেক টিপু, রাসেল ওরফে সৌরভ রাসেল, দিল গনি, শহিদুল ইসলাম, মোশারফ, আবুল কাশেম এবং ওয়াহিদ।

কবির হোসেন, মনোয়ার ইসলাম, আরিফুল হক, আনিসুর রহমান খন্দকার অনিক, আবু হায়াৎ মো. জুলফিকার, আতিক মোরশেদ এবং রমজান আহমেদ তপন।

গত ৫ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার এসআই মো. আব্দুল্লাহ আসামিদের  প্রত্যেকের ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন। ওই দিন আদালত রিমান্ড শুনানির দিন সোমবার ধার্য করে দেন।

উল্লেখ্য, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি, লেখক মুশতাক আহমেদের কারাগারে মৃত্যু এবং নোয়াখালীতে সাংবাদিক মুজাক্কির হত্যার প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবে  জাতীয়তাবাদী যুবদলের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশে যোগ দিতে এসে পুলিশের হাতে আটক হন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সভাপতি রফিকুল আলম মজনু।

এছাড়া, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টায় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করার জন্য জড়ো হতে থাকেন। তবে পূর্ব অনুমতি না থাকায় পুলিশ তাদের সমাবেশ করতে বাধা দেয়। এ সময় তারা প্রেসক্লাবের ভেতরে ঢুকে অবস্থান নেয়। পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এরপর পুলিশ ও ছাত্রদল নেতাকর্মীরা উভয় গ্রুপের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়।

এরআগে মামলাটিতে ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেয় পুলিশ। এরা হলেন-মঞ্জুরুল আলম রিয়াদ, আতাউর রহমান, মাসুদ রানা, শফিকুল ইসলাম, শাহীরাজ, আহসান হাবীব ভূঁইয়া রাজু, কবির হোসেন, মনোয়ার ইসলাম, আরিফুল হক, আনিসুর রহমান খন্দকার অনিক, আবু হায়াৎ মো. জুলফিকার, আতিক মোরশেদ এবং রমজান আহমেদ তপন।