অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

বিদায়ী বক্তৃতায় দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ

রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি রক্ষায় আপস করেছি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০৩:২১ পিএম, ৮ মার্চ ২০২১ সোমবার   আপডেট: ০৩:২৩ পিএম, ৮ মার্চ ২০২১ সোমবার

রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি রক্ষায় আপস করেছি

রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি রক্ষায় আপস করেছি

দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) দায়িত্ব পালনের সময় রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি রক্ষায় আপস করেছেন বলে দাবি করেছেন সংস্থাটির বিদায়ী চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।

দুদকের প্রধান কার্যালয়ের কনফারেন্স লাউঞ্জে সোমবার (৮ মার্চ) বিদায়ী বক্তৃতায় তিনি এমন দাবি করেন। ২০১৬ সালে দুদক চেয়ারম্যান হিসেবে যোগ দেন ইকবাল। ৯ মার্চ দুদকে তার শেষ কর্মদিবস।

৩ মার্চ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মঈনউদ্দীনকে দুদকের নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

বিদায়ী বক্তব্যে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি রক্ষায় আপস করেছি। রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ছিল আমার কাছে বড়। এই ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হতে পারে ভেবে অনেক সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি। এতে নিজের ওপর চাপ অনুভব করেছি। তবে অন্য কারও কাছ থেকে কোনো চাপ পাইনি।

‘গত পাঁচ বছরে কতটা সফল এটা বলতে গেলে বলতে হয়, জন-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারিনি। তবে সকলের কাছে একটা বার্তা দিয়েছি, দিতে পেরেছি, কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়।’

ইকবাল বলেন, ‘দুদক এখন আর নখদন্তহীন নেই। দুদক এখন যথেষ্ট শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান। আইনিভাবে দুদক একটি শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান, যার ম্যান্ডেট আছে।

‘তবে দুদকের সীমাবদ্ধতা আছে। সবাই মনে করে, দুদকের কাজ সব দুর্নীতি দমন। কিন্তু আইন সে ক্ষমতা দেয়নি। এটা সবাই জানেন না।’

তিনি বলেন, ‘আমরা সমাজে দুর্নীতিবিরোধী একটা বার্তা দিতে পেরেছি: আইনের ঊর্ধে কেউ নেই। দুদকের বারান্দায় অনেক ক্ষমতাবান ব্যক্তিকেও আসতে হয়েছে।’

দুদকের বিদায়ী চেয়ারম্যান বলেন, ‘গত পাঁচ বছরে আমরা জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে পারিনি। এক কমিশনের পক্ষে শতভাগ সাফল্য অর্জন সম্ভব নয়। ভবিষ্যতে যারা আসবেন, তারা আরও কাজ করে শতভাগ সফল হবে বলে আশা করি।

‘তবে আমরা মামলার সফলতার হার বাড়িয়েছি। গত বছর আমাদের মামলায় সফলতার হার ৭৭ শতাংশ। এর আগে এই মামলার সফলতা ছিল ৫০ শতাংশ। এটি দিনে দিনে বাড়ছে।’

দদুকের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘দক্ষ জনবল নাই। কোয়ালিটি লোকের তীব্র সংকট। তদন্ত কর্মকর্তা দক্ষ ও মানসম্পন্ন নন। এ জন্য আমরা কাজ করেছি। নতুন কমিশনও করবে।’