আন্তর্জাতিক নারী দিবস
সমতার পৃথিবী ছড়িয়ে দিক আলো
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: ০৯:৪৯ এএম, ৮ মার্চ ২০২১ সোমবার আপডেট: ০১:৫৯ পিএম, ৮ মার্চ ২০২১ সোমবার
সমতার পৃথিবী ছড়িয়ে দিক আলো
আজ আট মার্চ। আন্তর্জাতিক নারী দিবস। এই দিনটিতে পাশ্চাত্যের নারী শ্রমিকেরা সম অধিকারের দাবিতে লড়াই করে ইতিহাস গড়েছিলেন। তার পর থেকে দেশে দেশে নারীর পথচলা আর থেমে নেই। পাশ্চাত্যের মতো এই অঞ্চলের নারীরাও নিজেদের অধিকার আদায়ের পাশাপাশি দেশ রক্ষার লড়াই করেছেন।
প্রতিবাদের ইস্যু ছিল সুঁচ কারখানায় যে নারী পুরুষ পাশাপাশি কাজ করেন তাদের মধ্যে নারীকে কেনো একই বেতনের জন্য পুরুষের চেয়ে বেশি সময় কাজ করতে হবে? কেনোইবা নারীর ভোটাধিকার নেই? নেই সমঅধিকার? ১৮৫৭ সালের ৮ মার্চ এইসব গড়মিলের হিসাব মিলাতে পথে নামেন নারী সমাজ।
নানা ঘটনার পর ১৯০৮ সালে জার্মান সমাজতান্ত্রিক নেত্রী ও রাজনীতিবিদ ক্লারা জেটকিনের নেতৃত্বে প্রথম নারী সম্মেলন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭৫ সাল থেকে জাতিসংঘ দিনটি নারী দিবস হিসেবে পালন করছে।
প্রতিদিনই নারীর প্রতি নির্যাতন, হয়রানিসহ নানান ধরনের নেতিবাচক খবর আসে। বিশ্বজুড়ে নারীর অগ্রগতি ও মর্যাদা অর্জনের লক্ষ্যে অনেক পথ পাড়ি দেওয়া এখনো বাকি। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা-নির্বিশেষে মানুষ হিসেবে নারীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠার দাবি তাই সর্বজনীন।
তবুও ক্ষমতায়নের পথে নারী এখন হরদম কাজ করছেন ঘরের বাইরে। বার বার উচ্চারিত হচ্ছে অর্থনীতিতে নারীর অবদানের কথা। এখন কেবল সেই দিনের অপেক্ষা যখন নারী আর নারী বলে ঘরে বাইরে কোথাও বৈষম্য আর বঞ্চনার শিকার হবে না।
নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য ও অন্যায়-অবিচারের অবসান ঘটিয়ে সম-অংশীদারত্বের বিশ্ব গড়ার প্রত্যয় নিয়ে নারীর এগিয়ে চলা আরও বেগবান হবে, এটাই নারী দিবসের প্রত্যাশা।
নারী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তার বাণীতে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে নারী-পুরুষ সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
‘বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের সফল বাস্তবায়নের ফলে নারী উন্নয়ন আজ সুস্পষ্টভাবে দৃশ্যমান। ব্যবসা-বাণিজ্য, রাজনীতি, বিচার বিভাগ, প্রশাসন, কূটনীতি, সশস্ত্রবাহিনী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, শান্তিরক্ষা মিশনসহ সর্বক্ষেত্রে নারীর সফল অংশগ্রহণের মাধ্যমে দেশ ক্রমান্বয়ে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, এ দেশের নারী পুরুষের যৌথ প্রচেষ্টায় বিনির্মাণ হবে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ। নারী তার মেধা ও শ্রম দিয়ে যুগে যুগে সভ্যতার সকল অগ্রগতি এবং উন্নয়নে করেছে সম-অংশীদারিত্ব। আর তাই সারা বিশ্বে বদলে গেছে নারীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি। এখন নারীর কাজের মূল্যায়ন হচ্ছে, বৃদ্ধি পাচ্ছে স্বীকৃতি।
প্রধানমন্ত্রী বাণীতে আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় জীবনের সকল ক্ষেত্রে নারীর সম-অধিকারের বিষয়টি সংবিধানে নিশ্চিত করেছেন।