বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণই স্বাধীনতার প্রকৃত ঘোষণা
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: ০৫:০৮ পিএম, ৭ মার্চ ২০২১ রোববার
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণই স্বাধীনতার প্রকৃত ঘোষণা
৭ মার্চের ভাষণেই বঙ্গবন্ধু যুদ্ধের সব ধরণের প্রস্তুতি নেবার নির্দেশনা দিয়েছিলেন। বলেছিলেন সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তোলা থেকে শুরু করে যার যা আছে সবাইকে তা নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুত হতে। তাই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণই ছিল স্বাধীনতার প্রকৃত ঘোষণা। এসব কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
৭ মার্চের অনুষ্ঠানের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, একাত্তরের ওই দিনগুলিতে বঙ্গবন্ধু ৩২ নম্বরের বাড়ি থেকে যে নির্দেশনা দিয়েছেন, সে নির্দেশনাতেই দেশ চলতো। ৩২ নম্বরের বাড়ি থেকেই নিয়ন্ত্রণ হতো সবকিছু। বলেন, রেসকোর্সের ময়দান থেকে বঙ্গবন্ধু তার ভাষণে যা নির্দেশনা দিয়েছিলেন, দেশের মানুষ তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছেন।
প্রধামন্ত্রী বলেন, শেখ মুজিবুর রহমানের রণকৌশল ছিল একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। রণকৌশল ছিল বাস্তমূখী। মুক্তিযুদ্ধের সময় আন্তর্জাতিক সমর্থন পেতেও তাই বেগ পেতে হয়নি। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন জননেতা। তিনি নিজের জীবন ঝুঁকিতে ফেলে রণকৌশল নিয়েছিলেন। দেশের মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। তার দিকনির্দেশনা আর কৌশল অনুযায়ী চলে যুদ্ধ। নয়মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে সবার সহযোগিতায় বিজয় অর্জিত হয়।
১৫ আগস্ট জাতির জীবনের কালো অধ্যায় মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ যখন অর্থনৈতিক মুক্তির পথে, ঠিক তখনই ঘটে ১৫ আগস্টের ঘটনা। যে বাঙালির জন্য বঙ্গবন্ধু সারাটা জীবন নির্যাতন ভোগ করলেন, জীবন উৎসর্গ করলেন, রাষ্ট্র দিয়ে গেলেন, দুর্ভাগ্য তাদের হাতেই তাকে জীবন দিতে হলো।
শেখ হাসিনা বলেন, ইতিহাসকে এতো সহজে মুছে ফেলা যায়না, সত্যকে মুছে ফেলা যায়না, দাবিয়ে রাখা যায়না। সত্য উদ্ভাসিত হয়েছে। জাতিসংঘের প্রতিটি ভাষায় বঙ্গবন্ধুর ভাষণ অনুবাদ করা হয়েছে। যে ভাষণ এক সময় শোনা যেত না, বিশ্বে আজ তা স্বীকৃতি পেয়েছে।
বাঙালি জাতি আজ মাথা উচু করে দাঁড়িয়েছে এমন মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, দেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। দেশের মানুষ রাজনৈতিক, অর্থনেতিক, সাংস্কৃতি মুক্তি পাবে। সে লক্ষ্যে অনেক দূর এগিয়ে যাচ্ছে দেশ।