অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

‘নিকাব’ নিষিদ্ধে সুইজারল্যান্ডে ভোট চলছে

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৪:৫৮ পিএম, ৭ মার্চ ২০২১ রোববার  

আইন পাস হলে হর হোক বা গ্রামে কোন ব্যক্তিই জনসম্মুখে পুরো মুখ ঢাকতে পারবেনা।

আইন পাস হলে হর হোক বা গ্রামে কোন ব্যক্তিই জনসম্মুখে পুরো মুখ ঢাকতে পারবেনা।

জনসম্মুখে ‘পুরো মুখ ঢাকা’ যাবে কিনা এ বিষয়ে ভোট চলছে সুইজারল্যান্ডে। ইউরোপের দেশ ফ্রান্স, বেলজিয়াম ও নেদারল্যান্ডসে বোরকা/নিকাব নিষেধাজ্ঞার পর দীর্ঘ বিতর্ক শেষে ভোটাভুটিতে গেছে সুইসরা। 

সুইজারল্যান্ডের নিয়ম অনুযায়ী কোন বিষয়ে ১ লাখ মানুষ সাক্ষর করে আবেদন করলেই তা জাতীয় নির্বাচনে যাবে। দেশটির মোট জনসংখ্যা ৮৬ লাখ। জরিপে জানা গেছে অধিকাংশই এই নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে সম্মতি জানাবেন। 

নিষেধাজ্ঞার ফলে কী হবে?

প্রস্তাবনা অনুযায়ী, শহর হোক বা গ্রামে কোন ব্যক্তিই জনসম্মুখে পুরো মুখ ঢাকতে পারবেনা। তবে প্রার্থনার জায়গা এবং ব্যক্তিগত পরিসরে এমন আইন প্রযোজ্য হবে না। 

প্রস্তাবনায় বোরকা বা নিকাবের (যে পোশাকে চোখ ছাড়া কিছু দেখা যায় না) মতো শব্দ ব্যবহার না হলেও এটা স্পষ্ট যে মুসলিম নারীদের লক্ষ্য করেই এমন আইন করা হয়েছে। 

সুইজারল্যান্ডের দুটি অঞ্চেলে ইতোমধ্যে এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর আছে। 

কারা পক্ষে কারা বিপক্ষে
এমন আইনের পক্ষে কাজ করছে দ্য সুইস পিপল’স পার্টি। ডানপন্থি দলটি দেশটির শীর্ষ রাজনৈতিক দলগুলোর একটি। তাদের একটি ক্যাম্পেইনে নিকাব পরা নারীর ছবির নিচে ‘স্টপ ইসলামিক রেডিক্যালিজম’ লেখা থাকতেও দেখা যায়। 

দলটির প্রতিনিধি জেয়ান লুক অ্যাডর জানান, “যদিও সুইজারল্যান্ডে বোরখা পরা নারী খুব একটা দেখা যায় না। তবে পরিস্থিতি ‘নিয়ন্ত্রণের বাইরে’ যাওয়ার আগেই তার লাগাম ধরা উচিত”। 

তবে দেশজুড়ে নিষেধাজ্ঞায় নারাজ সরকার ও সংসদ। তাদের বিকল্প প্রস্তাবে বলা হয়েছে সীমান্তের মতো প্রয়োজনীয় জায়গায় মানুষকে চেহারা দেখাতে হবে। 

নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে লাগানো পোস্টারে লেখা ছিল, “এমন অযৌক্তিক, অকেজো, ইসলামোফোবিক এবং 'অ্যান্টি-বোরকা' আইনের কোনও দরকার নেই।”